এক দিকে পরপর দু’ম্যাচে হারের ধাক্কা। টিম কম্পোজিশন থেকে শুরু করে একাধিক ক্রিকেটারের ফর্ম নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। অন্য দিকে, সিরিজের মরণ-বাঁচন ম্যাচের আগে সুরেশ রায়নার চোট। শনিবারের ম্যাচে তিনি অনিশ্চিত।
দুইয়ে মিলে নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে অকল্যান্ড-যুদ্ধে নামার চব্বিশ ঘণ্টা আগে রীতিমতো বেকায়দায় মহেন্দ্র সিংহ ধোনির ভারত।
শুক্রবার তখন টিম ইন্ডিয়ার নেট সেশন চলছে। আচমকাই বাংলা পেসার মহম্মদ শামির একটা বল রায়নার বাঁ কনুইয়ের নীচে আছড়ে পড়ে। ব্যাট করা দূরে থাক, দেখা গেল ব্যাট তোলাও তার পর অসম্ভব হয়ে পড়ল রায়নার পক্ষে। পরে বিকেলের দিকে এক্স রে করে জানা গিয়েছে যে, রায়নার ‘টিস্যু ড্যামেজ’ হয়েছে। ভারতীয় টিমের পক্ষ থেকে সরকারি ভাবে বলা হল যে, ম্যাচ ডে-র সকালে তাঁকে নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। কিন্তু তিনি যদি শেষ পর্যন্ত নামতে না পারেন, তা হলে অম্বাতি রায়ডু বা স্টুয়ার্ট বিনির মধ্যে কাউকে খেলিয়ে দেওয়া হতে পারে বলে শোনা যাচ্ছে। |
রায়না। এখন ব্যাটটাও তুলতে পারছেন না।
|
চলতি সিরিজে রায়না এমনিতে খুব ভাল একটা ফর্মে নেই। শুধু দ্বিতীয় ওয়ান ডে-তে ৩৫ রানের ইনিংসটা ছাড়া। কিন্তু মুশকিল হচ্ছে, শুধু তিনি নন, ভারতের ওপেনিং জুটিও অফ ফর্মে ভুগছে। শিখর ধবন বা রোহিত শর্মা কেউ-ই এখনও পর্যন্ত বিশেষ কিছু করে দেখাতে পারেননি। যদিও যা ইঙ্গিত, তাতে অকল্যান্ডের উইকেটে রান থাকবে। শুধু দরকার, সেখানে ব্যাটসম্যানের প্রয়োগক্ষমতা। পিচ কিউরেটর ব্রায়ান ক্রিশ্চিয়ানসেন বলছিলেন, “আড়াইশো থেকে দু’শো সত্তর রান এই পিচে মোটামুটি আশা করা যায়। আর ব্যাটসম্যান যদি রানের জন্য ঝাঁপায়, তা হলে যে কোনও রান উঠতে পারে এখানে।” অর্থাৎ, বিরাট কোহলির আরও একটা রাজকীয় ব্যাটিংয়ের আশাবাদ খুব অন্যায় হবে না। উল্টো দিকে, নিউজিল্যান্ড আবার শুনিয়ে রাখল যে, শনিবারই তারা সিরিজ শেষ করে দিতে চায়। ভারতীয় ব্যাটসম্যানদের জন্য কী দাওয়াই হবে? সেই শর্ট বল? নিউজিল্যান্ড পেসার টিম সাউদি বলে গেলেন, “ওদের ব্যাটসম্যানদের সবার জন্যই আমাদের প্ল্যান আছে।”
বিকেলের দিকে টিম ইন্ডিয়াকে এক অনুষ্ঠানে পাওয়া গেল। ফুরফুরে মেজাজে। প্রশ্ন এখন একটাই— শনিবারের ম্যাচের পর ধোনিদের মেজাজ এমনই ফুরফুরে থাকবে তো? |