|
|
|
|
ট্রেন আঁটে না প্ল্যাটফর্মে
রাজা বন্দ্যোপাধ্যায় • হলদিবাড়ি |
প্ল্যাটফর্ম রয়েছে। তবে তাতে আঁটে না ট্রেন। লম্বা ট্রেন এলেই একাধিক কামরা চলে যায় প্ল্যাটফর্মের বাইরে। উঁচু কামরায় উঠতে নাকাল হন যাত্রীরা। পড়ে ঘটে দুর্ঘটনা। হলদিবাড়ি স্টেশনের এ অবস্থা নিয়ে রেল দফতরে জানানো হলেও কোনও ব্যবস্থা হয়নি বলে অভিযোগ উঠেছে। রেল দফতর সূত্রে জানা যায়, হলদিবাড়ি স্টেশনের একটিমাত্র প্ল্যাটফর্মটির দৈর্ঘ্য ২৫৫ মিটার। এক একটি কামরার মধ্যের দূরত্ব (দু’টি কামরার জোড়া অংশের মধ্যে) ২২ মিটার। প্ল্যাটফর্মে মোট ১১টি কামরা ধরতে পারে। কোনও ট্রেন ১১টির বেশি কামরা নিয়ে ঢুকলে বাকিগুলি আর প্ল্যাটফর্ম পায় না।
প্রতিদিন বিকেলে এনজেপি থেকে দার্জিলিং মেলের তিনটি কামরা নিয়ে (১টি এসি স্লিপার, ১টি স্লিপার এবং একটি সাধারণ বগি) এনজেপি-হলদিবাড়ি প্যাসেঞ্জার ট্রেনটি যখন হলদিবাড়ি স্টেশনে গিয়ে দাঁড়ায় তখন ওই তিনটি কামরায় ওঠা নিয়ে সবচেয়ে বড় সমস্যা দেখা দেয়। কারণ নিউ জলপাইগুড়ি হলদিবাড়ি যাত্রী গাড়িতে ১১টি কামরা থাকে। তিনটি কামরা জোড়ার ফলে ১৪টি বগির মধ্যে এই তিনটি কামরা প্ল্যাটফর্মের বাইরে চলে যায়। প্ল্যাটফর্মের বাইরে রেল লাইনের পাশে থাকা পাথরের উপর দিয়ে ৫ ফুট উঁচু কামরায় উঠতে হয়। যাঁরা কলকাতায় মালপত্র নিয়ে যাতায়াত করেন তাঁদের পক্ষে এই বগিতে ওঠা কষ্টসাধ্য হয়ে পড়ে। কখনও ওঠার জন্যে ভ্যানরিক্সা নিয়ে এসে তার ওপর দাঁড়িয়ে উঠতে হয়। কখনও রেলকর্মীরা টুল নিয়ে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেন। |
|
যাত্রীদের নিত্য-দুর্ভোগ হলদিবাড়ি স্টেশনে। —নিজস্ব চিত্র। |
হলদিবাড়ি পুরসভার চেয়ারম্যান গৌরাঙ্গ নাগের অভিযোগ, “আমরা রেল দফতরের কাছে এই অসুবিধার কথা লিখিতভাবে জানিয়েছি। তাদের প্ল্যাটফর্ম আরও লম্বা করার জন্যে অনুরোধ করা হয়েছে। রেল দফতরের উচ্চপদস্থ আধিকারিক হলদিবাড়িতে এলে তাদের সবসময় জানানো হয়েছে এই অসুবিধা দূর করার জন্য। কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।” ক্ষুব্ধ এলাকার ব্যবসায়ীরাও। হলদিবাড়ি পাইকারি সব্জি ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি তরুণ দত্ত বলেন, “আমরা কাটিহারের বিভাগীয় রেল আধিকারীকের কাছে এই সমস্যা সমাধানের জন্যে আবেদন করেছি। কিছুই করা হচ্ছে না।” হলদিবাড়ি ব্যবসায়ী সমিতির সম্পাদক বিশ্বজিৎ সরকার বলেন, “ট্রেনে ওঠার সমস্যা নিয়ে আমরা আলোচনা করেছি। সরাসরি রেলমন্ত্রীর কাছে এর প্রতিকার চেয়ে আবেদন করা হবে বলে আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি।”
তবে এই সমস্যাটির বিষয়ে জানতেন না বলে জানান উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলের নিউ জলপাইগুড়ির আধিকারিক পার্থ শীল। তিনি বলেন, “এ রকম হওয়ার কথা নয়। আমি সমস্যার বিষয়ে খোঁজ নিচ্ছি। প্রয়োজন হলে প্ল্যাটফর্ম বাড়িয়ে দেওয়া হবে।” |
|
|
|
|
|