|
|
|
|
মালখানের সঙ্গী-সহ ধৃত ২
পীযূষ সাহা • মালদহ
নিলয় দাস • ফালাকাটা |
প্রজাতন্ত্র দিবসে কেএলও বন্ধের ডাক দিতেই উত্তরবঙ্গ জুড়ে তল্লাশি অভিযান জোরদার করা হয়েছে। বুধবার রাত ১০টা নাগাদ মালদহের হবিবপুর থানার চুয়াকান্দর জঙ্গলে হানা দিয়ে পুলিশ ২ জনকে গ্রেফতার করেছে। পুলিশের দাবি, ধৃত কুমুদ মন্ডল ওরফে ঝাকাসু প্রশিক্ষিত কেএলও জঙ্গি। আর এক ধৃত আইতু রায় কেএলও-র ‘লিঙ্কম্যান’ বলে দাবি করেছে পুলিশ। তবে চুয়াকান্দরে অভিযানের সময় আরও ৮ জন লিঙ্কম্যান পালিয়েছে বলেও পুলিশ সূত্রের খবর। জেলার পুলিশ সুপার কল্যাণ মুখোপাধ্যায় বলেন, “ধৃত কেএলও জঙ্গি ঝাকাসু মালখান সিংহের ডান হাত। সে সমস্ত ধরনের অত্যাধুনিক আগ্নেয়াস্ত্র চালাতে পারদর্শী। গত ২৭ ডিসেম্বর হবিবপুরে যাত্রিবাহী বাসে গুলি চালানোর সঙ্গে সে যুক্ত ছিল। এ ছাড়া বিজেপি নেতা নৃপেন মন্ডল খুন ও গাজলে বিস্ফোরণের ঘটনাতেও মালখান সিংহের সঙ্গে কুমুদ মন্ডল ছিল বলে জানা গিয়েছে।”
কেপিপি-র তরফে অবশ্য অভিযোগ, অনেক এলাকায় তল্লাশির নামে নিরীহ কেপিপি সমর্থকদের হয়রান করা হচ্ছে। কেপিপি-র পক্ষ থেকে কেএলও-র বন্ধের বিরোধিতা করা সত্ত্বেও কেন পুলিশ তাদের সমর্থকদের হয়রান করছে, তা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন অতুল রায়-সহ অনেক কেপিপি নেতাই। কেএলও-র সাধারণ সম্পাদক কৈলাস কোচও কেপিপির ভূমিকার সমালোচনা করে বিবৃতি দিয়েছেন। এ দিন কৈলাস কোচ অভিযোগ করেন, “অতুলবাবুরা এখন তৃণমূলের কথায় চলছেন।” তবে তৃণমূলের সঙ্গে হাত মেলানোর বিষয়টি ভিত্তিহীন বলে দাবি করেছে কেপিপি। দলের কেন্দ্রীয় কমিটির নেতা সুবল রায় বলেন, “আমরা তৃণমূলের সঙ্গে হাত মেলাইনি। আমাদের বিরুদ্ধে ভিত্তিহীন অভিযোগ তোলা হয়েছে। অস্ত্র হাতে তুলে কোনও দাবি আদায় করা সম্ভব নয়, তা তাদের বুঝতে হবে।”
পুলিশ অবশ্য নাশকতার ছক রুখতে লাগাতার অভিযান চালাচ্ছে। মালদহের এসপি জানান, ধৃত ঝাকাসু ও তার সঙ্গীর কাছ থেকে ৬৪ হাজার টাকার জাল নোট উদ্ধার হয়েছে। বৃহস্পতিবার ধৃতদের আদালতে তোলা হলে ভারপ্রাপ্ত মুখ্য বিচারবিভাগীয় ম্যাজিস্ট্রেট ধৃতদের জামিন না মঞ্জুর করে ১৪ দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন। ঝাকাসুর বাড়ি মালদহের বামনগোলার শালালপুরে। আইতুর বাড়ি দক্ষিণ দিনাজপুরের কুশমন্ডির ইসনাইল গ্রামে।
পুলিশ সূত্রের খবর, এক মাসের অভিযানে মালদহে ১২ জন কেএলও লিঙ্কম্যানকে গ্রেফতার হয়েছে। কিন্তু মালখান ও তার দুই সঙ্গী ঝাকাসু ও নবানু বর্মন ফেরার ছিল। হবিবপুর, বামনগোলা, পুরাতন মালদহ ও গাজল ব্লকের বিভিন্ন গ্রামে তিন জন ঘুরে বেড়াচ্ছে বলে পুলিশ জানতে পারেন। এ মাসের ১৬ তারিখে মালখান, নবানু এবং ঝাকাসুর খোঁজ দিলে পুরস্কৃত করা হবে বলে তাদের ছবি দেওয়া পোস্টারও ছড়িয়ে দেয় পুলিশ। এর পরেই ভারত-বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী গ্রাম চুয়াকাটি জঙ্গলে ঝাকাসু ১০-১২ জনকে নিয়ে বৈঠক করছে বলে খবর আসে। পুলিশও অতর্কিতে অভিযান চালায়। তখনই ধরা পড়ে ওই দু’জন। |
|
|
|
|
|