কাজ আটকে সজলধারার গ্রামেই
ধ কিলোমিটারের মতো রাস্তা হেঁটে পানীয় জলের লাইনে গিয়ে দাঁড়িয়েছেন আসমা বেওয়া। দুটি পাঁচ লিটারের পাত্রে জল ভরে তিনি রওনা হয় গ্রামে। তাঁর গ্রামে এক জল-প্রকল্পের কাজ শুরু হয়েছে, তবে তা কবে শেষ হবে জানেন না আসমা। কোচবিহারের হরিণচওড়ার গ্রামের আসমা বেওয়াই শুধু নন, কোচবিহারে অন্তত ১০০টি গ্রামের বাসিন্দা পানীয় জল পেতে এই ধরনের সমস্যায় পড়ছেন।
এলাকার বাসিন্দারা জানান, বাম আমলের সজলধারা প্রকল্পগুলি মুখ থুবড়ে পড়েছে। তৃণমূলের সময়েও পানীয় জল প্রকল্পের জল কবে গ্রামে পৌঁছবে তারও কোনও ঠিক নেই। জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতর আর জেলা পরিষদের তরফে শুধু আশ্বাস দেওয়া হয়েছে, পানীয় জল প্রকল্পের কাজ শেষ করার চেষ্টা চলছে। সজলধারা প্রকল্পগুলিও যাতে চালু করা যায় সে কাজ হচ্ছে। জেলা পরিষদের জনস্বাস্থ্য বিভাগের কর্মাধ্যক্ষ সুচিস্মিতা দেবশর্মা জানান, ন্যাশনাল রুরাল ওয়াটার সাপ্লাই প্রোজেক্টে জেলার পাঁচ জায়গায় পানীয় জল সরবরাহ প্রকল্পের কাজ শুরু হয়েছে। গুড়িয়াহাটি ১ পঞ্চায়েতের হরিণচওড়া, ডাওয়াগুড়ি, মাথাভাঙ্গার বড় শোলমারি, তুফানগঞ্জের ধলপল রয়েছে। তিনি বলেন, “সজলধারা প্রকল্পগুলির কয়েকটি ঘুরে দেখেছি। বাম আমলে কাজ না হওয়ায় সেগুলি চালু হয়নি। চেষ্টা করছি চালু করার।” জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতরে কোচবিহার জেলার নির্বাহী বাস্তুকার সুব্রত ধর বলেন, “জলের সমস্ত প্রকল্প খুব দ্রুত যাতে চালু হয়, সেই চেষ্টা চলছে।”
জনস্বাস্থ্য দফতর সূত্রে খবর, বছর চারেক আগে বাম আমলে কোচবিহার জেলায় পানীয় জলের সমস্যা মেটাতে অন্তত ৩০টি জায়গায় সজলধারা প্রকল্প চালুর সিদ্ধান্ত হয়। সুটকাবাড়ি, নাক কাটি, পানিশালা, ওকড়াবাড়ি, পুটি মারি, উনিশবিশা, ডাওউয়াগুড়ি, মাতাল হাট, কিসামতদশ গ্রাম-সহ তিরিশ জায়গায় ওই প্রকল্পে জায়গা নিয়ে মেশিন বসানোর কাজ শুরু হয়। কিন্তু চার বছর পার হয়ে গেলেও ২৫টি জায়গায় সজলধারা প্রকল্প চালুই হয়নি। সুটকাবাড়ির বাসিন্দাদের অভিযোগ, মসজিদ সংলগ্ন এলাকায় মেশিন বসানোর কাজ শেষ হয়েছে দু’বছর আগে। তার পর থেকে আর কাজ হয়নি। এলাকার তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্য জহিরুল হক, এলাকার বাসিন্দা নুরজামাল হক, আবু আলম আহমেদ জানান, বছরের পর বছর ধরে প্রকল্পের কাজ অর্ধেক হয়ে পড়ে রয়েছে। কবে যে জলের সমস্যা মিটবে কে জানে? অগভীর নলকূপের জল খেয়ে দিন কাটাতে হচ্ছে। সেখান থেকেও খারাপ অবস্থা নাককাটি, পানিশালা এলাকার সজলধারা প্রকল্পের। সেখানে মেশিন নষ্ট হচ্ছে বলে অভিযোগ।
এই অবস্থায়, ডাওয়াগুড়িতে দুই কোটি ৯ লক্ষ ৪৮ হাজার টাকা এবং দুই কোটি ৬৭ লক্ষ ৩৯ হাজার টাকার দু’টি প্রকল্পের কাজ শুরু হয়েছে। হরিণচওড়ায় এক কোটি ৬৩ লক্ষ ৪০ হাজার টাকার প্রকল্পের কাজ শুরু হয়েছে। পঞ্চায়েতের প্রধান আবদুল কাদের বলেন,“আশা করছি, খুব অল্প সময়ের মধ্যেই সমস্যা মিটে যাবে।”





First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.