|
|
|
|
মন্ত্রীর কাছে আর্জি মান্তুর
নিজস্ব সংবাদদাতা • শিলিগুড়ি |
ক্রীড়ামন্ত্রী মদন মিত্রের কাছে শিলিগুড়ি ইন্ডোর স্টেডিয়াম ব্যবহারের অনুমতি চাইলেন অর্জুন মান্তু ঘোষ। তাঁর সঙ্গে ছিলেন সদ্য টেবল টেনিসে জুনিয়র জাতীয় চ্যাম্পিয়ন ঐশ্বর্য দেব ও সাব জুনিয়র চ্যাম্পিয়ন আকাশ নাথ। বৃহস্পতিবার শিলিগুড়ি সার্কিট হাউসে ক্রীড়ামন্ত্রীর কাছে প্রতিদিন বিকেলে ঘণ্টা তিনেক অনুশীলনের অনুমতি দেওয়ার জন্য আবদার করেন তাঁরা। তাঁদের যুক্তি, হাতের কাছে স্টেডিয়াম থাকা সত্ত্বেও এটি ব্যবহার করা যাচ্ছে না। ফলে ব্যবহারের অভাবে এটি পড়ে থাকছে। অনুশীলন করার সুযোগ পেলে আরও বেশি করে আন্তর্জাতিক মানের খেলোয়াড় উঠে আসবে বলে মনে করছেন তিনি। উত্তরবঙ্গ টেবল টেনিস সংস্থার অন্যতম কর্তা মান্তু বলেন, “বহুবার শিলিগুড়ি পুরসভার কাছে চিঠি দিয়ে অনুশীলন করতে চাওয়ার দাবি জানিয়েছি। কিন্তু কোনও কাজ হয়নি। বিভিন্ন জায়গায় দরবার করেও ফল না হওয়ায় ক্রীড়ামন্ত্রীকে জানালাম। আশা করি এবার বঞ্চিত হতে হবে না।” মদনবাবু দ্রুত খতিয়ে দেখে সিদ্ধান্ত নেবেন বলে জানান।
মদনবাবু বলেছেন, “ অনুশীলনের দাবি শুনেছি। নায্য দাবি। বিষয়টি নিয়ে চিন্তাভাবনা করব।” বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় দুই জাতীয় চ্যাম্পিয়নকে ডেকে পাঠান মদনবাবু। সঙ্গে ছিলেন তাঁদের কোচও। সার্কিট হাউসের ঘরে বসে জেনে নেন, অনুশীলন কেমন চলচে, কোনও সাহায্য চাই কি না। ঐশ্বর্যকে তিনি বলেন, ‘‘তোমার শারীরিক গড়ন খেলোয়াড়োচিত। ধরে রাখলে অনেক দূর যাবে।’’ আকাশকে বলেন, “আরও অনুশীলন করো, যা সাহায্য দরকার তা সরকার দেবে। তোমরা খেলে যাও।” এর পরেই তিনজনকেই এক লক্ষ টাকা করে দেওয়ার কথা ঘোষণা করেন। তিনি জানান, কয়েকদিনের মধ্যেই শিলিগুড়ি জেলা স্কুল স্পোর্টস বোর্ডের সভাপতি মদন ভট্টাচার্যের মাধ্যমে চেকগুলি পাঠিয়ে দেওয়া হবে। মদনবাবু বলেন, “মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে এই ঘোষণা করা হয়েছে। রাজ্য ক্রীড়া দফতর থেকে এ অর্থ উৎসাহ দেওয়ার জন্যই।” এতে খুশি ঐশ্বর্য ও আকাশের পরিবার। ঐশ্বর্যের বাবা বিকাশরঞ্জন দেব বলেন, “টেবিল টেনিস খুব খরচ সাপেক্ষ হয়ে গিয়েছে। এই অর্থ উৎসাহের পাশপাশি খরচেও অনেকটা সাহায্য করবে। এতে আরও ভাল খেলার ইচ্ছেটা বৃদ্ধি পাবে। |
|
|
|
|
|