|
|
|
|
শ্রমিক অসন্তোষে বন্ধ ডুয়ার্সের ইনডং বাগান
নিজস্ব সংবাদদাতা • মালবাজার |
শ্রমিক অসন্তোষের অভিযোগ ঘিরে বন্ধ হয়ে গেল ডুয়ার্সের আরও একটি চা বাগান। মেটেলি ব্লকের ইনডং চা বাগানে বৃহস্পতিবার কাজ বন্ধ নোটিস জারি করে কর্তৃপক্ষ বাগান ছেড়ে চলে যান। বাগান সূত্রের খবর, গত মঙ্গলবার সন্ধ্যা থেকে শ্রমিক মালিক বিরোধ চরমে ওঠে। তার জেরে বাগান বন্ধ হয়ে যায়। সহকারী ম্যানেজারকে কাজে ফেরানো নিয়েই শ্রমিকদের সঙ্গে কর্তৃপক্ষের বিরোধ তুঙ্গে ওঠে। মহকুমাশাসক জ্যোতির্ময় তাঁতি বলেন, “ইনডং বাগান দ্রুত খোলার চেষ্টা করা হচ্ছে। শ্রম দফতরকে দেখতে বলা হয়েছে।”
বাগান সূত্রের খবর, ওই সহকারী ম্যানেজার মানস সরকার ২০০৩ সাল থেকে বাগানে কর্মরত ছিলেন। ২০১১ নভেম্বরে বাগানেরই এক যুবতীর সঙ্গে অভব্যতার অভিযোগ ওঠে মানসবাবুর বিরুদ্ধে। সেই সময় থানায় অভিযোগ দায়ের না হলেও শ্রমিক সংগঠনগুলি একযোগে মানসবাবুকে ইনডং বাগান থেকে সরানোর দাবিতে সরব হয়। ওই অফিসারকে সরান বাগান কর্তৃপক্ষ। ২১ জানুয়ারি ফের ওই সহকারী ম্যানেজারকে বাগানে নিয়োগ করেন কর্তৃপক্ষ। বুধবার তিনি যোগ দিতেই শ্রমিকেরা বেঁকে বসেন। শ্রমিক সংগঠন প্রোগ্রেসিভ টি ওয়ার্কার্স ইউনিয়ন, এনইউপিডব্লুউ ম্যানেজারের কাছে মঙ্গলবার থেকে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন।
দুই শ্রমিক সংগঠনের তরফে এতোয়া ভোক্তা, মিনু মুণ্ডারা বলেন, “সহকারী ম্যানেজারকে এ চা বাগানে ফিরিয়ে আনলে শ্রমিকরা খেপে যাবে তা কর্তৃপক্ষ জানত। শ্রমিক অসন্তোষ তৈরি করে বাগান বন্ধের চক্রান্ত করা হয়েছে। ৬০ দিনের রেশন-সহ ৯০ দিনের গ্র্যাচুইটির টাকা বকেয়া।” এ দিন বাগানে যান নাগরাকাটার কংগ্রেস বিধায়ক জোসেফ মুন্ডা। তিনি বলেন, “শীতকালীন মরসুমে চা গাছের কলম ছাঁটা হয়ে যাওয়ার পর বাগানে কার্যত উৎপাদন হয় না। এ সময় শ্রমিকদের যাতে মজুরি দিতে না হয়, সেই চক্রান্ত করে বাগান বন্ধ করা হয়েছে।”
যদিও বাগানের ম্যানেজার রজত দেব বলেন, “মানসবাবু একজন দক্ষ অফিসার। বাগানের উন্নয়নের কথা ভেবেই কর্তৃপক্ষ তাঁকে ফের বাগানে পাঠিয়েছিলেন। কিন্তু শ্রমিক বিক্ষোভ চরমে পৌঁছতেই বাধ্য হয়েই আমরা বাগান ছাড়তে বাধ্য হয়েছি। শ্রমিক মজুরি বকেয়া নেই। গত শনিবারও পাওনা মজুরি দেওয়া হয়েছে।” আর মানসবাবু বলেছেন, “বাগানের এক শ্রেণির লোক আমার বিরুদ্ধে বরাবর শ্রমিকদের ভুল বোঝাচ্ছে। ২০১১ সালেও আমরা বিরুদ্ধে চক্রান্ত করা হয়। আসলে বাগানে উন্নয়ন বা সঠিক ভাবে কাজ হোক তা অনেকে চান না। তাই নানা অভিযোগ তোলা হয়েছে। |
|
|
|
|
|