হাতে রয়েছে আর মাত্র ২৯ দিন। তারপরই শুরু হবে রাজ্যের মাধ্যমিক পরীক্ষা। কিন্তু পরীক্ষার্থীদের বসার জন্য লো বেঞ্চ ও উত্তরপত্র রাখার জন্য হাই বেঞ্চের অভাবে চরম সমস্যায় পড়েছেন মুর্শিদাবাদের লালগোলা ব্লকের লস্করপুর হাইস্কুল কর্তৃপক্ষ। অথচ পরীক্ষার্থীদের বেঞ্চের অভাব পূরণ করতে মাস চারেক আগে স্থানীয় বিধায়ক কংগ্রেসের আবু হেনার এলাকা উন্নয়ন তহবিল থেকে এক লক্ষ টাকা বরাদ্দ করা হয় সংশ্লিষ্ট ওই স্কুলের নামে। গত বছরের অর্থ্যাত্ ২০১৩ সালের ৫ অগস্ট মুর্শিদাবাদের জেলাশাসক, লালগোলার বিডিওকে লিখিত নির্দেশ দিয়ে বলেছিলেন, ৪০ দিনের মধ্যে ওই টাকায় বেঞ্চ তৈরি করাতে হবে। কিন্তু প্রায় সাড়ে চার মাস কেটে যাওয়ার পরও সেই নির্দেশ কার্যকর করা হয়নি।
স্কুল সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই স্কুলের পরীক্ষা কেন্দ্রে এ বার মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ৯৫০ জন। লস্করপুর হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক জাহাঙ্গির আলম গলায় একরাশ উদ্বেগ নিয়ে বলেন, “স্কুলে বেঞ্চের যে ব্যবস্থা রয়েছে তাতে মোটামুটি ৮৫০ জন পরীক্ষার্থী বসতে পারবে। বাকি ১০০ জনের জন্য ৫০ জোড়া বেঞ্চ খুবই জরুরি। মাসখানেক পরেই পরীক্ষা। অথচ এখনও বেঞ্চের কোনও ব্যবস্থা হল না। কী করব তা বুঝে উঠতে পারছি না।”
তিনি আরও বলেন, “সম্ভাব্য বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির কথা ভেবে বেঞ্চ চেয়ে লিখিত ও মৌখিকভাবে বেশ কয়েক বার এলাকার বিডিও-র কাছে আবেদন করেছি। সমস্যার সমাধান তো হয়নি। উল্টে উনি বিরক্ত হয়ে সপ্তাহ খানেক আগে আমাকে তাঁর কার্যালয় থেকে বের করে দেন।” প্রধান শিক্ষকের সঙ্গে দুর্ব্যবহারের কথা অস্বীকার করে বিডিও স্বপ্নজিত্ সাহা বলেন, “বেঞ্চের জন্য টেন্ডার করা হয়েছিল। কিন্তু মাত্র এক জন ঠিকাদার দরপত্র জমা দিয়েছেন। ওই ঠিকাদারের ক্রেডেনশিয়াল নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। তার ফলে তাঁকে ওই কাজের বরাত দেওয়া যায়নি।”
তবে সমস্যা মিটবে কী করে? বিডিও বলেন, “কয়েক দিনের মধ্যে লালগোলা পঞ্চায়েত সমিতির দু’জন কর্মাধ্যক্ষকে নিয়ে মিটিং করে এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। আশা করি ওই বৈঠকে একটা সমাধানসূত্র বেরিয়ে আসবে।” প্রধান শিক্ষক বলেন, “সিদ্ধান্ত যাই হোক না, তা কার্যকরী করার সময় কোথায়? মাধ্যমিক পরীক্ষার আগে এখন হাতে তো আর এক মাসও সময় নেই। জরুরি ভিত্তিতে ব্যবস্থা না নিলে সমস্যায় ভুগবে পরীক্ষার্থী ও পরীক্ষাকেন্দ্রের শিক্ষক-শিক্ষিকারা। আমরা তাই নিয়ে রীতিমতো আশঙ্কিত।” মুর্শিদাবাদের অতিরিক্ত জেলা শাসক (উন্নয়ন) সন্দীপ দত্ত বলেন, “নতুন বিডিও। তাই কাজ করতে কিছু সমস্যা হচ্ছে। আশা করি, অল্প দিনেই সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে।” |