|
|
|
|
দৌড় থেকে স্বাস্থ্য শিবির, জেলা জুড়ে সুভাষ-স্মরণ
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
সাড়ম্বরে সুভাষচন্দ্রের জন্মজয়ন্তী পালিত হল পশ্চিম মেদিনীপুরে। কোথাও আয়োজন করা হয়েছিল ক্রীড়া প্রতিযেোগিতার, কোথাও সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা আবার দিনটি দেশপ্রেম দিবস হিসাবে পালন করা হয়। প্রশাসন থেকে শুরু করে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, সংগঠন, সংস্থা, ক্লাব, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সর্বত্র সুভাষ-স্মরণে অনুষ্ঠান হয়েছে বৃহস্পতিবার।
প্রতি বছর ২৩ জানুয়ারি মেদিনীপুর অ্যাথলেটিক ক্লাব ১০ মাইল প্রতিযোগিতার আয়োজন করে। এ বারও তার ব্যতিক্রম হয়নি। এ বার দৌড় প্রতিযোগিতায় ৯৩ জন যোগ দেন। তাঁদের মধ্যে প্রথম ১০ জনকে পুরস্কার হিসাবে ট্রফি ও নগদ অর্থ দেওয়া হয়। আর যাঁরা ১ ঘন্টা ১০ মিনিটের মধ্যে দৌড় শেষ করেছেন, তাঁদের প্রত্যেককে দেওয়া হয় শংসাপত্র। |
২৩ জানুয়ারি মেদিনীপুর অ্যাথলেটিক ক্লাবে ব্যারেটো। |
এ বার প্রথম হয়েছেন অজয়বীর সিংহ, দ্বিতীয় অ্যারোজ মণ্ডল ও তৃতীয় শুভঙ্কর ঘোষ। তিনজনই মেদিনীপুরের তরুণ সঙ্ঘ ক্লাবের সদস্য। প্রথম স্থানাধিকারীকে ১০ হাজার টাকা, দ্বিতীয়কে ৭ হাজার ও তৃতীয় স্থানাধিকারীকে ৫ হাজার টাকা দেওয়া হয়। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন প্রখ্যাত ফুটবলার ব্যারেটো, মেদিনীপুরের বিধায়ক মৃগেন মাইতি, পুরসভার পুরপ্রধান প্রণব বসু।
মেদিনীপুর কলেজের সামনে নেতাজি মূর্তির কাছে অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিল যুব তৃণমূল। উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের জেলা সভাপতি তথা শালবনির তৃণমূল বিধায়ক শ্রীকান্ত মাহাতো, বিধায়ক মৃগেন মাইতি। ‘দেশপ্রেম দিবস’ হিসেবে দিনটি পালন করা হয়। শালবনিতেও ব্লক তৃণমূল দেশপ্রেম দিবস পালন করে। এ দিন জেলাশাসকের অফিস থেকে শুরু করে সব সরকারি দফতরে সুভাষচন্দ্র বসুর ছবিতে মালা দেওয়া হয়। মেদিনীপুর শহরের গোলকুয়াচকে অবশ্য নেতাজির প্রতিকৃতিতে মালা দেওয়া হয়নি। ছবি সামনে রেখে শ্রদ্ধা জানানো হয়। স্থানীয়দের মতে, সুভাষচন্দ্রের মৃত্যুর প্রমাণ মেলেনি। তাই গলায় মালা না দিয়েই শ্রদ্ধা জানানো হয়েছে। এ দিন আলেখ্যায়তন আর্ট অ্যান্ড কালচারাল অ্যাকাডেমির পক্ষ থেকে অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয় বিদ্যাসাগর হলে। নাচ, গান, আবৃত্তি, নাটক-সহ নানা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশিত হয়। |
কলেজ মোড়ে মাল্যদান। |
সুভাষচন্দ্রের জন্মজয়ন্তীতে স্বাস্থ্য শিবিরের আয়োজন করেছিল সিআরপি। এ দিন সিআরপি-র উদ্যোগে গোয়ালতোড় থানা এলাকার বড়াবাড়ি গ্রামে ওই স্বাস্থ্য শিবির হয়। প্রায় এক হাজার মানুষের স্বাস্থ্য পরীক্ষার পাশাপাশি নিখরচায় ওষুধ বিলি হয়।
অন্য দিকে, জেলা তথ্য ও সংস্কৃতি দফতরের উদ্যোগে এ দিন মৌপাল দেশপ্রাণ বিদ্যাপীঠে নেতাজী জন্মজয়ন্তী উদ্যাপন করা হয়। ছিলেন জেলা তথ্য ও সংস্কৃতি আধিকারিক কৌশিক নন্দী, অলোকবরণ মাইতি, বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক প্রসূন পড়িয়া প্রমুখ। মেদিনীপুর শহরের গোলকুঁয়াচক উন্নয়ন সমিতিও মোমবাতি প্রজ্জ্বলন করে নেতাজীকে স্মরণ করে। |
ছবি সৌমেশ্বর মণ্ডল। |
|
|
|
|
|