|
|
|
|
| |
বোমাবাজি, কেশপুরে জখম দু’জন
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
ফের তৃণমূলের গোষ্ঠী-সংঘর্ষে উত্তেজনা ছড়াল কেশপুরের দামোদরচকে। বোমাবাজিও হয়েছে। বোমার আঘাতে দু’জন গুরুতর জখম হয়েছেন। ওই দুই তৃণমূল কর্মীর চিকিৎসা চলছে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। তৃণমূল নেতৃত্ব অবশ্য ঘটনাটিকে গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের পরিণাম বলে মানতে নারাজ। তাঁদের বক্তব্য, বোমাবাজি করেছে দুষ্কৃতীরা। দলের জেলা কার্যকরী সভাপতি প্রদ্যোৎ ঘোষ বলেন, “এটা গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব নয়। স্থানীয় ব্যাপার। চা দোকানে বচসা থেকে একটা গোলমাল হয়েছে।” খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিশ। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তিনজনকে আটক করা হয়। পুলিশ জানিয়েছে, দামোদরচকে একটা গোলমাল হয়েছে। দু’জন জখম হয়েছেন। তদন্ত চলছে। এ ক্ষেত্রে অভিযোগ খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপই করা হবে।
চলতি মাসের গোড়ায় এই দামোদরচকেই সংঘর্ষে জড়িয়েছিল তৃণমূলের দুই গোষ্ঠী। তখনও দু’জন গুরুতর জখম হন। ওই ঘটনার পর থেকে কেশপুরের এই এলাকায় উত্তেজনা ছিল। তার জেরেই বৃহস্পতিবার সকালে দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষ বাধে। স্থানীয় সূত্রে খবর, এ দিন সকালে স্থানীয় চা দোকানে কয়েকজন তৃণমূল কর্মী কথা কাটাকাটিতে জড়িয়ে পড়েন। বচসা থেকে পরে হাতাহাতি বেধে যায়। শুরু হয় বোমাবাজি। বোমার ঘায়ে জখম হন দামোদরচকের দুই তৃণমূল কর্মী হাবিবুল হোসেন এবং নজরুল আলি। দু’জনেরই হাতে আঘাত রয়েছে। |
আহত হাবিবুল হোসেন মেদিনীরপুর মেডিক্যালে। —নিজস্ব চিত্র। |
স্থানীয় ও তৃণমূলের দলীয় সূত্রে খবর, তৃণমূল জেলা পরিষদ সদস্য মহিউদ্দিন আহমেদের সঙ্গে বিরোধ রয়েছে দলেরই কেশপুর ব্লক সভাপতি সঞ্জয় পানের। এ দিন সকালে দু’জনের অনুগামীরা সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। যদিও তৃণমূল নেতৃত্ব এমনটা মানতে নারাজ। তৃণমূলের জেলা পরিষদ সদস্য মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, “দীর্ঘদিন ধরে ওই এলাকায় গোলমাল চলছে। তার জেরেই বৃহস্পতিবারের ঘটনা।” কী গোলমাল? মহিউদ্দিনের ব্যাখ্যা, “ সিপিএম মরে যায়নি। আমাদের দলেই ওদের কিছু লোক আত্মগোপন করে আছে। ওরা এলাকায় অশান্তি তৈরি করছে।” তৃণমূলের কেশপুর ব্লক সভাপতি সঞ্জয় পানের বক্তব্য, “এলাকায় একটা গোলমাল চলছিল। আমি বুধবার স্থানীয় নেতৃত্বের সঙ্গে আলোচনা করেছি । শীঘ্রই গোলমাল মিটে যাবে।” সঞ্জয়বাবুরও বক্তব্য, “এই ঘটনার সঙ্গে গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের কোনও সম্পর্ক নেই।”
কেশপুরে মাঝেমধ্যেই তৃণমূলের গোষ্ঠী সংঘর্ষ বাধে। চলতি মাসে এই নিয়ে চারবার সংঘর্ষের ঘটনা ঘটল। প্রথমে দামোদরচকে সংঘর্ষ হয়। তারপর মুগবসান এলাকায়। গত মঙ্গলবার কেশপুরের সরিষাকোলার পীতাম্বরচকে গোলমাল হয়। তৃণমূলের পঞ্চায়েত সমিতির সদস্যার বাড়িতে হামলার অভিযোগ ঘিরে উত্তেজনা ছড়ায়। তার রেশ কাটতে না কাটতে বৃহস্পতিবার সকালে ফের সংঘর্ষ হয় দামোদরচকে। পশ্চিম মেদিনীপুরে কেশপুরই একমাত্র ব্লক, যেখানে গত আড়াই বছরে চারবার ব্লক সভাপতি বদল করতে হয়েছে তৃণমূলকে। তারপরেও কোন্দলের রাশ টানতে না পারায় তৃণমূলের অন্দরেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। |
|
|
 |
|
|
