ঘরের মাঠে আবার ধাক্কা খেল ম্যাঞ্চেস্টার ইউনাইটেড। সাম্প্রতিক কালে যে মাঠের আর এক নাম দাঁড়িয়েছে ‘দুঃস্বপ্নের স্টেডিয়াম’, সেই ওল্ড ট্র্যাফোর্ডেই সান্ডারল্যান্ডের কাছে পেনাল্টিতে ১-২ হেরে ক্যাপিটাল ওয়ান কাপ সেমিফাইনাল থেকে ছিটকে গেল ডেভিড মোয়েসের ম্যান ইউ।
দ্বিতীয় পর্বের ম্যাচে প্রথমার্ধেই ম্যান ইউ ডিফেন্ডার জনি এভান্সের গোলে ১-০ এগোয় ম্যান ইউ। প্রথম পর্বে ম্যান ইউ হেরেছিল ২-১। কিন্তু এভান্সের গোলে দু’পর্ব মিলিয়ে ম্যাচের ফল দাঁড়ায় ২-২। যার ফলে ম্যাচ চলে যায় অতিরিক্ত সময়ে। যেখানে ফিল বার্ডসলির গোলে সান্ডারল্যান্ড ৩-২ করলেও, হার্নান্দেজের গোলে ম্যাচ গড়ায় টাইব্রেকারে। কিন্তু অবিশ্বাস্য ভাবে স্টিভন ফ্লেচার ছাড়া কোনও ম্যান ইউ ফুটবলার শট গোলে রাখতে পারেননি। ওয়েলবেক থেকে জানুজাজ— সবাই নিজেদের স্পটকিক ফস্কায়। নিজভূমিতে হারের ফলে আবার মোয়েসের ভবিষ্যৎ ব্রিটিশ প্রচারমাধ্যমের শিরোনামে। প্রশ্ন উঠেছে, “ম্যান ইউ কি তবে এতটাই দুর্বল যে ধারাবাহিক ভাবে ঘরের মাঠে হারছে?” |
সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইটে ম্যান ইউ সমর্থকদের একটাই পোস্ট- “স্যর অ্যালেক্স ফার্গুসনকে আবার ফিরিয়ে আনা হোক।” ব্রিটিশ দৈনিক ‘দ্য সান’-এর খবর অনুযায়ী, জনৈক ম্যান ইউ সমর্থক নাকি ৯৯৯ ডায়াল করেছিলেন স্যর অ্যালেক্সকে ব্যক্তিগত ভাবে বোঝানোর জন্য যে অবসর ভেঙে আবার হটসিটে ফিরতেই হবে স্কটসম্যানকে। ম্যাচের পর দলের ফুটবলারদের একহাত নিয়ে মোয়েস বলেন, “আমরা আজ ভাল খেলতে পারিনি তাই হারলাম।”
পাশাপাশি আবার নতুন মোড় নিল খুয়ান মাতার দলবদলের নাটক। ব্রিটিশ প্রচারমাধ্যমের মতে চেলসি রাজি হয়ে গিয়েছে মাঝমাঠের তারকাকে ৩৭ মিলিয়ন পাউন্ডে ম্যান ইউতে বিক্রি করতে। যার পরেই জল্পনা তুঙ্গে যে ম্যান ইউ যখন রুনিকে চেলসিতে বিক্রি করতে নারাজ তখন কেন মোরিনহো দলের অন্যতম অস্ত্রকে মোয়েসের হাতে তুলে দিচ্ছেন। অনেক ফুটবল বিশেষজ্ঞদের মতে, মাতাকে ম্যান ইউয়ে বিক্রি করা মোরিনহোর চাল। কারণ এখনও ম্যান ইউর সঙ্গে আর্সেনাল এবং ম্যাঞ্চেস্টার সিটির খেলা বাকি আছে। যার আগে মোরিনহো চাইছেন ম্যান ইউর দলকে আরও শক্তিশালী করতে। কারণ ম্যান সিটি ও আর্সেনাল এখন চেলসির প্রিমিয়ার লিগ খেতাব জেতার রাস্তায় আসল কাঁটা। |