|
|
|
|
নতুন মুখ পাঠাতে চান নীতীশ কুমার
স্বপন সরকার • পটনা
২৩ জানুয়ারি |
লোকসভা ভোটের লড়াই শুরুর আগে ‘এক ঢিলে দুই পাখি’ মারতে চাইছেন নীতীশ কুমার।
সেই লক্ষ্যেই জেডিইউ-এর তিন সাংসদ শিবানন্দ তিওয়ারি, সাবির আলি এবং এন কে সিংহকে ফের রাজ্যসভায় মনোনয়ন না-দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিলেন তিনি। তিন জনকেই লোকসভা ভোটে প্রার্থী হতে বলা হয়েছে। পরিবর্তে রাজ্যসভার জন্য নতুন মুখ খুঁজছেন মুখ্যমন্ত্রী।
জেডিইউ-এর সর্বভারতীয় সভাপতি শরদ যাদব আজ বলেন, “আমরা চিন্তাভাবনা করে দেখেছি, নতুনদের সুযোগ দিতে হবে। সেই কারণে ওই তিন নেতাকে লোকসভা ভোটে লড়াই করতে বলা হয়েছে।” তবে তিন জনই জানিয়েছেন, লোকসভা ভোটে লড়তে আগ্রহী নন।
কী চাইছেন নীতীশ? এক দিকে রাজ্যসভায় নতুন মুখের জন্য জায়গা তৈরি করতে। অন্য দিকে, তিন জনকে লোকসভায় প্রার্থী করে সেখানে পরিচিত মুখের অভাব ঘোচাতে। অনেকে অবশ্য বলছেন, শিবানন্দ, সাবিররা এখন নীতীশের চোখের বালি। তাই তাঁদের আর রাজ্যসভার নিশ্চিত আসন থেকে জিতিয়ে আনতে চান না তিনি। অন্য দিকে, ছ’বছর আগে যে ভাবে লালুর দল থেকে শিবানন্দকে ছিনিয়ে এনেছিলেন, এ ভাবে তেমনই কোনও ওজনদার নেতাকে আনতে পারেন রাজ্যসভার নিশ্চিত আসনে। আবার জেডিইউ নেতাদের একাংশ জানান, এলজেপি-র সঙ্গে নির্বাচনী সমঝোতার পথ আরও মসৃণ করতে রামবিলাস পাসোয়ানকে রাজ্যসভার একটি আসন দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন নীতীশ। প্রস্তাব গিয়েছে বিধানসভার বিরোধী দলনেতা, আরজেডি-র আব্দুল বারি সিদ্দিকির কাছেও।
শিবানন্দরা আচমকা নীতীশের ‘চোখের বালি’ হলেন কেন?
তিন জনের মধ্যে সব চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ নেতা শিবানন্দ তিওয়ারি। একাধিক বার বিতর্কিত মন্তব্যে মুখ্যমন্ত্রীকে বিড়ম্বনায় ফেলেন তিনি। কখনও বিজেপির সঙ্গে জোটে থাকার সময় সঙ্ঘের সমালোচনা, কখনও কংগ্রেসের সঙ্গে জোট গড়তে দলের অন্দরেই সওয়াল। সম্প্রতি রাজগিরে দলীয় সম্মেলনে নরেন্দ্র মোদীর প্রশংসা করেন। এই পরিস্থিতিতে কয়েক মাস আগে দলের মুখপাত্রের দায়িত্ব থেকে শিবানন্দকে সরিয়ে দেওয়া হয়।
সাবির আলি দিল্লিতে দলের প্রদেশ সভাপতি। সম্প্রতি সে রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনে জেডিইউয়ের ২৭ জন প্রার্থীর মধ্যে ২৬ জনের জামানত বাজেয়াপ্ত হয়েছে। হেরেছেন ‘সবেধন নীলমণি’ এক দলীয় বিধায়কও। এ সব কারণে সাবিরের উপরে যথেষ্ট রুষ্ট নীতীশ। কেন্দ্রের প্রাক্তন অর্থসচিব ছিলেন এন কে সিংহ। বিহারের ‘বিশেষ মর্যাদা’র বিষয়টি মনমোহন সরকারের কাছ থেকে আদায় করার দায়িত্ব তাঁকেই দেন নীতীশ। সফল হননি তিনি। তাই, তাঁকে রাজ্যসভায় প্রার্থী করতে নারাজ নীতীশ। |
|
|
|
|
|