|
|
|
|
আপ-এ উৎসাহী অসম, মুখ ফিরিয়ে মেঘালয়
রাজীবাক্ষ রক্ষিত • গুয়াহাটি
২৩ জানুয়ারি |
অসমে সদস্য হওয়ার তুমুল উৎসাহ। মেঘালয়ে ভিড়ই নেই ‘আপ’ শিবিরে।
পাশাপাশি দুই রাজ্যে আম আদমি পার্টির জনপ্রিয়তার এমনই বিপরীত ছবি। এ নিয়ে উত্তর-পূর্বের ভারপ্রাপ্ত আপ নেতারা ধন্দে। আপাতত, অসমের জনজোয়ারই উপভোগ করতে চাইছেন তাঁরা। জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহেই একসঙ্গে আড়াইশো আইনজীবী ও চিকিৎসক ‘আপ’-এ যোগ দিয়েছেন। ঠিক হয়েছে, আদালত চত্বর থেকেই দুর্নীতির ‘সাফাই অভিযান’ শুরু করবেন তাঁরা।
অসমে ‘আপ’-এর মুখপাত্র প্রাঞ্জল বরদলৈ জানান, “রাজ্যে ‘আপ’-এ যোগ দিতে চেয়ে ৮০ হাজার আবেদন জমা পড়েছে। শিক্ষক, আইনজীবী, চিকিৎসকদের মতো সমাজের বিভিন্ন শ্রেণির মানুুষ ভিড় করছেন।”
গুয়াহাটি হাইকোর্ট ও নিম্ন আদালতের ২২০ জন আইনজীবী একসঙ্গে ‘আপ’-এ যোগ দিয়েছেন। আইনজীবীরা জানান, রাজ্যে দুর্নীতির আখড়া আদালত চত্বর। তাই শীঘ্রই আদালত চত্বর থেকে দুর্নীতি দমনে ‘সাফাই অভিযান’ শুরু করবেন তাঁরা।
উকিলদের পাশাপাশি শহরের দুটি হাসপাতালের চিকিৎসকদের একটি দলও ‘আপ’-এ যোগ দিয়েছেন।
আম আদমির উৎসাহ একদিকে যেমন দলের শক্তি বাড়াচ্ছে, অন্য দিকে সাধারণ সদস্যদের মন রাখতে গিয়ে জটিলতার মুখে পড়ছেন প্রদেশ ‘আপ’-এর নেতারা। সম্প্রতি, অগপ নেতা বৃন্দাবন গোস্বামী ও মেঘালয়ের প্রাক্তন রাজ্যপাল রঞ্জিৎশেখর মুশাহারি ‘আপ’-এ যোগ দেওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেন। কিন্তু প্রাঞ্জলবাবু জানান, দলের সাধারণ সদস্যদের মতে যে সব নেতারা পুরনো রাজনীতির ফসল, তাঁদের দলে নিলে পরে বিষবৃক্ষের আকার নিতে পারেন। মুশাহারি প্রাক্তন রাজ্যপাল হয়েও দেহরক্ষী নিয়ে ঘোরেন। তাঁরা কিছুতেই ‘আম আদমি’ হতে পারবেন না। জনমতের চাপে তাই এই দুই নেতা-সহ কোনও রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বকেই দলের সদস্যপদ দিচ্ছে না প্রদেশ ‘আপ’।
মেঘালয়ে ‘আপ’-এর সদস্য হতে চেয়ে কোনও আবেদনপত্র জমা না পড়ায় দল বিস্মিত। মেঘালয়ের তথ্য অধিকার কর্মী অ্যাঞ্জেলা রাংগাদের মতে, “নতুন করে বহিরাগত দলের প্রয়োজন নেই। ভূমিপুত্ররাই সরকারের বিরুদ্ধে লড়াই চালাবেন। আমাদের সমাজ ও রাজ্যকে যাঁরা ঠিকমতো চেনেন না, বোঝেন না, তাঁদের পক্ষে মেঘালয়ে লড়াই চালানো কঠিন।”
উত্তর-পূর্বের দায়িত্বে থাকা ‘আপ’ নেতা হেবু পায়েং মনে করেন, ‘আপ’-এর বিরুদ্ধে মেঘালয়ে ভুল বার্তা ছড়াচ্ছে। যে রাজ্যে কংগ্রেস, এনসিপি-র মতো ‘বহিরাগত’ দল দীর্ঘদিন ধরে শাসন চালাচ্ছে, সেখানে নিছক বাইরের দল বলে ‘আপ’-কে সাধারণ মানুষ ব্রাত্য করে রাখতে পারেন না। |
|
|
|
|
|