|
|
|
|
সিরপুরকে কেন্দ্র করে পর্যটনের উন্নয়নে উৎসব
তাপস সিংহ • মহাসমুন্দ (ছত্তীসগঢ়) |
মাওবাদী সন্ত্রাস ও হিংসাকে পিছনে ফেলে এগিয়ে যেতে চাইছে ছত্তীসগঢ়। শুধু শিল্প, শিক্ষা, পরিকাঠামো বা গ্রামোন্নয়নের মাধ্যমেই নয়, চাইছে সংস্কৃতি ও পর্যটনের বিপুল ভাণ্ডারকে আরও বিকশিত করে বাইরের মানুষের কাছে তুলে ধরতে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে ছত্তীসগঢ় সরকার চালু করেছে ‘সিরপুর ন্যাশনাল ডান্স অ্যান্ড মিউজিক ফেস্টিভ্যাল।’ রাজ্য পর্যটন দফতরের উদ্যোগে এই উৎসব চালু হয়েছে গত বছর থেকে। ছত্তীসগঢ়ের মহাসমুন্দ জেলার প্রখ্যাত পর্যটনস্থল সিরপুরে সম্প্রতি শেষ হল তিন দিনের এই উৎসব। এ বারের উৎসবে অংশ নিয়েছিলেন শোভা মুদগল, তিজনবাই-সহ দেশের নানা প্রান্তের সঙ্গীত ও নৃত্যশিল্পীরা। |
উৎসবে শোভা মুদগল। —নিজস্ব চিত্র। |
ষষ্ঠ থেকে দশম খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত মহানদের তীরে এই সিরপুর ছিল বৌদ্ধ ধর্মচর্চার অন্যতম প্রধান কেন্দ্র। ভূপর্যটক হিউয়েন সাং-ও এখানে এসেছিলেন। ভারতীয় পুরাতত্ত্ব সর্বেক্ষণ-এর (এএসআই) খননে উঠে এসেছে বৌদ্ধ স্তূপ-সহ বৌদ্ধ ধর্মচর্চার নানা নিদর্শন। এরই পাশাপাশি এখানে প্রায় দেড় হাজার বছরের প্রাচীন লক্ষ্মণ মন্দিরও রয়েছে। এই লক্ষ্মণ মন্দির চত্বরেই অনুষ্ঠিত হয় সিরপুর উৎসব। রয়েছে গন্ধেশ্বর মন্দির সমেত আরও বেশ কয়েকটি মন্দির। বৌদ্ধধর্মের সঙ্গে হিন্দুধর্মের মেলবন্ধনের এই স্থানকেই কাজে লাগাতে চায় ছত্তীসগঢ় পর্যটন। সিরপুরকে কেন্দ্র করে নানা উন্নয়নমূলক প্রকল্পও হাতে নিয়েছে রাজ্য সরকার। এই কারণে এই উৎসবের সূচনা করে মুখ্যমন্ত্রী রমন সিংহ সব মিলিয়ে মোট প্রায় ৫৯ কোটি টাকার প্রকল্পের ভূমিপুজোও করেন।
ছত্তীসগঢ়ের রাজধানী শহর রায়পুর থেকে সিরপুরের দূরত্ব প্রায় ৮৬ কিলোমিটার। পর্যটকদের সুবিধার জন্য জাতীয় সড়ক থেকে সিরপুর পর্যন্ত প্রায় ২২ কিলোমিটার দীর্ঘ ‘অল ওয়েদার রোড’ তৈরি করেছে রাজ্য সরকার। সিরপুরকে কেন্দ্র করে পর্যটন দফতর বারনাওয়াপাড়া অভয়ারণ্য, গাংরেল, রাজিম, চম্পারণ্য ঘুরে দেখার ব্যবস্থা করেছে। ছত্তীসগঢ় ট্যুরিজম বোর্ডের ম্যানেজিং ডিরেক্টর সন্তোষ মিশ্র বলেন, “ছত্তীসগঢ়ের অন্য রূপ দেখানোর জন্য আমরা পুরোপুরি প্রস্তুত। পর্যটকেরা বাধাবিঘ্নহীন ভাবে এখানে ঘুরে বেড়াতে পারেন।” এই ‘ট্যুরিস্ট সার্কিট’-এর সব ক’টি জায়গাতেই পর্যটন দফতরের রেস্ট হাউসও রয়েছে। |
|
|
|
|
|