বাড়িতে ঢুকে এক আদিবাসী ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে এক যুবককে। মঙ্গলবার সকালে মেমারির কুচুট গ্রামের ঘটনা। সপ্তম শ্রেণির ওই ছাত্রীর অভিযোগ, এ দিন বাবা-মা খেতে কাজ করতে যাওয়ায় বাড়িতে একাই ছিল সে। সেই সুযোগে সিডি দেওয়ার নাম করে পাড়ারই কচি হাঁসদা নামে ওই যুবক বাড়িতে ঢুকে তাকে ধর্ষণ করে।
মেমারি থানা সূত্রে জানা গিয়েছে, রাতে বাড়ি ফেরার পরে মেয়েটি তার বাবা-মাকে ঘটনাটি জানায়। পরের দিন সকালে মেয়েটির পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় অভিযোগ করা হয়। দুপুরেই গ্রেফতার করা হয় কচিকে। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, কচি হাঁসদা বিবাহিত। তার দুটি সন্তানও রয়েছে। বৃহস্পতিবার ধৃতকে বর্ধমান সিজেএম আদালতে তোলা হলে ৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত জেল হাজত হয়। বুধবারই ওই মেয়েটির ও ধৃতের মেডিক্যাল পরীক্ষা করানো হয় বলেও জানিয়েছে পুলিশ।
তবে এ দিন আদালতে আনা হলে কচি চিৎকার করে বলতে থাকে, আমি নির্দোষ। আমার বিধবা বৌদির সঙ্গে ওই মেয়েটির বাবার অবৈধ সম্পর্ক নিয়ে আপত্তি করাতেই আমাকে ফাঁসানো হয়েছে। তবে পুলিশের দাবি, মেয়েটিকে জেরা করে ধর্ষণের কথাই জানা গিয়েছে। জেলা পুলিশ সুপার সৈয়দ মহম্মদ হোসেন মির্জা বলেন, “সম্প্রতি আইজি পশ্চিম জোন সিদ্ধিনাথ গুপ্তা তাঁর অধীন জেলাগুলির পুলিশকে নির্দেশ দিয়েছেন, কোনও থানায় ধর্ষণের অভিযোগ নিয়ে কোনও মহিলা এলে, মহিলা কনস্টেবলের উপস্থিতিতে ধর্ষিতার বয়ানের ভিডিও রেকর্ডিং করাতে হবে। যাতে প্রশ্ন না ওঠে, পুলিশ ঠিকমতো অভিযোগ দায়ের করেনি। তাই আমরা ওই মেয়েটির বয়ানের ভিডিও করিয়েছি। আইজির নির্দেশ অনুসারে মেয়েটিকে ধর্ষণ সংক্রান্ত সমস্ত প্রশ্নও করা হয়েছে মহিলা কনস্টেবলের উপস্থিতিতেই।” |