শহরে পর্যটক টানার লক্ষ্যে বৃহস্পতিবার সাইকেল র্যালিতে যোগ দিলেন কালনার ১৩ জন যুবক। শহরের ১০৮ শিবমন্দির থেকে শুরু হয়ে র্যালিটি পৌঁছবে বাঁকুড়া। যাওয়ার পথে তাঁরা মানুষকে বোঝাবেন, কালনায় রয়েছে প্রচুর দর্শনীয় স্থান। শুধুমাত্র প্রচারের অভাবেই তা জনপ্রিয় নয়। এ ছাড়াও বাঁকুড়ার মানুষের কাছে তুলে ধরবেন কালনার গুরুত্ব।
এ দিন সাইকেল র্যালির উদ্বোধন করেন কালনার বিধায়ক তথা পুরসভার চেয়ারম্যান বিশ্বজিৎ কুণ্ডু। ওই যুবকদের প্রয়াস এ বার ষষ্ঠ বছরে পড়ল। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এই যুবকেরা সারা বছর কেউ বৈদু্যুতিন মিস্ত্রি, কেউ রিকশা চালক, আবার কেউ বা বেসরকারি কোম্পানিতে অল্প বেতনের কাজ করেন। |
কালনায় তোলা নিজস্ব চিত্র। |
কালনা শহরের ১০৮ শিবমন্দির, প্রতাপেশ্বর মন্দির, গিরিগোবর্ধনের মন্দির, কৃষ্ণচন্দ্র জিউ মন্দির, মহাপ্রভু মন্দির-সহ বহু মন্দির রয়েছে। এই মন্দিরগুলি টেরাকোটার কাজে সমৃদ্ধ। দেখার এত জায়গা থাকলেও খুব বেশি সংখ্যক পর্যটক আসেন না এই শহরে। ২০০৮ সালে ওই যুবকেরা একটি বৈঠকে সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন, নিজেরা উদ্যোগী হয়ে দেশের নানা জায়গা ঘুরে শহরের সম্পদের কথা তুলে ধরবেন সকলের কাছে। ইতিমধ্যে নেপাল, ঝাড়খণ্ড, দেওঘরে প্রচারও করে এসেছেন ওই যুবকেরা।
এ দিন ১৩ জন যুবকের ওই দল যাওয়ার আগে ‘পর্যটনের শহর কালনা’ লেখা জ্যাকেট পড়ে নেন। কালনার দর্শনীয় স্থানগুলির সম্বন্ধে লেখা লিফলেটও ছিল তাঁদের সঙ্গে। শহরের নানা ছবি এবং বইও ছিল তাঁদের সঙ্গে। তবে এ বার বাঁকুড়া যাওয়ার সিদ্ধান্ত কেন? উত্তরে ওই দলের দলপতি মুকুন্দ বালা বলেন, “টেরাকোটার সৌন্দর্য দেখতে প্রচুর পর্যটক বাঁকুড়া আসেন। আমরা তাঁদের বোঝাব, কালনায় কম কিছু নেই। কালনায় এলে হতাশ হতে হবে না।” তিনি দাবি করেন, হুগলির কামাপুকুর, জয়রামবাটি হয়ে র্যালি বাঁকুড়ায় পৌঁছবে।
কালনার বিধায়ক তথা পুরসভার চেয়ারম্যান বিশ্বজিৎবাবু বলেন, “ওঁরা ধারাবাহিক ভাবে এই চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। ফেব্রুয়ারি মাসের মাঝামাঝি সময়ে শহরে বসতে চলেছে পর্যটন উৎসব। তার আগে এই উদ্যোগ দারুণ সাড়া ফেলবে।” পুরসভার পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ সুনীল চৌধুরি জানান, পুরসভার তরফে দলটিকে সাহায্য করা হবে। এ দিন র্যালির যাত্রার সময় ছিলেন পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান দেবপ্রসাদ বাগ, আলো বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত কাউন্সিলর আনন্দ দত্ত-সহ অনেকে। |