পড়ানোর নাম করে বাড়িতে ডেকে এক স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে এক শিক্ষককে গ্রেফতার করল পুলিশ। ধৃতের নাম, মোজাফ্ফর হোসেন। বুধবার নদিয়ার বাঙালজি হাই মাদ্রাসা থেকে গ্রেফতার করা হয় ওই শিক্ষককে। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতের বাড়ি পূর্বস্থলী ২ ব্লকের হালদি ন’পাড়া গ্রামে। বৃহস্পতিবার তাকে কালনা আদালতে তোলা হলে ৩ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত জেল হেফাজতের নির্দেশ হয়েছে।
ওই ছাত্রীর বাবার অভিযোগ, ২০১৩ সালের শুরুতে পারুলিয়া কুলকামিনী উচ্চ বিদ্যালয়ে পড়ত মেয়ে। ইংরাজি পড়তে গ্রামেরই যুবক মোজাফ্ফরের কাছে যেত সে। পড়ানোর নাম করে দ্বাদশ শ্রেণির ওই ছাত্রীকে ওই যুবক ধারাবাহিক ভাবে ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ। ঘটনার কথা কাউকে জানালে মেয়েটিকে খুনেরও হুমকি দেয় ওই যুবক। প্রথমে কিছু না বললেও পরে বাড়িতে বিষয়টি জানায় ওই ছাত্রী। কিন্তু পূর্বস্থলী থানায় বিষয়টি জানাতে গেলে পুলিশ পাত্তা দেয় নি বলে অভিযোগ। বাধ্য হয়ে ফেব্রুয়ারি নাগাদ কালনা মহকুমা আদালতে ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন মেয়েটির বাবা। আদালত ওই ছাত্রীর জবানবন্দি নথিভুক্ত করে। বুধবার অভিযুক্তকে গ্রেফতারের দাবিতে উচ্চ আদালতে মামলা দায়ের করা হলে পুলিশ নড়েচড়ে বসে এবং স্কুল থেকে ওই শিক্ষককে গ্রেফতার করে বলেও তাঁর দাবি।
তবে পুলিশ জানিয়েছে, অভিযোগ নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু ওই শিক্ষক পলাতক থাকায় তাকে গ্রেফতার করা যায়নি। ওই ছাত্রীর বাবার আরও দাবি, ২০১৩ সালের সেপ্টেম্বরের শেষ দিকে অভিযুক্ত শিক্ষকের মদতে কয়েকজন তাঁকে অপহরণ করে। মাথায় আগ্নেয়াস্ত্র ঠেকিয়ে বাড়িতে মেয়েকে ফোন করতে বাধ্য করা হয় বলেও তাঁর অভিযোগ। মেয়েকে ফোনে তিনি জানান, মোজাফ্ফর কিছু কাগজ নিয়ে যাবে, সেগুলিতে সই করে দিতে। মেয়েটি তাতে সইও করে দেয়। আদালতে এই ঘটনার কথা জানিয়েছেন বলেও ওই ছাত্রীর বাবার দাবি। ধৃত শিক্ষকের অবশ্য দাবি, তাঁকে চক্রান্ত করে ফাঁসানো হয়েছে। এ দিন আদালত থেকে জেলে যাওয়ার পথে ওই যুবক জানায়, মেয়েটির বাবা প্রচুর টাকা চেয়ে চাপ দিচ্ছিল। তা না দেওয়াতেই পরিকল্পনা করে তাঁকে ফাঁসানো হয়েছে। অপহরণের অভিযোগও অস্বীকার করেন তিনি। |