নিরাপত্তা না থাকার অভিযোগে বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী দিল না এসএফআই। যদিও বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংসদ নির্বাচনের রিটানিং অফিসার কল্যান মুখোপাধ্যায়ের দাবি, “নির্বাচনের বিজ্ঞপ্তি জারি থেকে গণনার ফল প্রকাশ পর্যন্ত পুলিশকে নিরাপত্তা দিতে বলে চিঠি দেওয়া হয়েছে।”
এসএফআইয়ের বর্ধমান জেলা সম্পাদক দীপঙ্কর দের অভিযোগ, “৩ জানুয়ারি প্রশাসনের সঙ্গে ছাত্র সংসদ নির্বাচন নিয়ে বৈঠকে আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্বাচনে নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন করেছিলাম। তখন বলা হয়েছিল, কলেজ নির্বাচনের প্রশাসনিক কাজ মিটে যাওয়ার পরেই বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে আলোচনা করা হবে। কিন্তু এর দু’দিন পরেই ৬ জানুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংসদের নির্বাচনের দিন ঘোষণা করে দেওয়া হয়। কিন্তু আমাদের নিরাপত্তা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হয়নি।” এসএফআইয়ের দাবি, বিশ্ববিদ্যালয়ের কলেজ সমূহের পরিদর্শক দেবকুমার পাঁজাকে বার বার জানানো সত্ত্বেও তিনি নির্বাচনের সময়ে বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরের নিরাপত্তা নিয়ে কোনও কথা বলেননি। অভিযোগ অস্বীকার করে দেবকুমারবাবু বলেন, “আমি বিশ্ববিদ্যালয়ের আওতাভুক্ত কলেজগুলির নির্বাচনের দায়িত্বপ্রাপ্ত। বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংসদ নির্বাচন আমার এক্তিয়ারের মধ্যে পড়ে না। এসএফআই আমাকে অযথা দোষারোপ করছে।”
বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএমসিপির নেতা সন্তু ঘোষ বলেন, “আমরা বিজ্ঞপ্তি দেখে ছাত্র সংসদ নির্বাচনের কর্মসূচি জানতে পারলাম। কিন্ত এসএফআই-সহ অন্য বিরোধী ছাত্র সংগঠনগুলি সেটা জানতে পারল না? আসলে ছাত্রছাত্রীরা এসএফআইকে বর্জন করেছে। প্রার্থী খুঁজে না পেয়ে এখন তারা নিরাপত্তার দোহাই দিচ্ছে।” বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানানো হয়েছে, উপাচার্যের নির্দেশেই কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংসদ নির্বাচনের দিন ঘোষণা করা হয়েছে। ২৮ জানুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়ের আওতায় থাকা সব কলেজের সঙ্গেই বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংসদ নির্বাচন হওয়ার কথা। ২১ ও ২২ জানুয়ারি ছিল বিশ্ববিদ্যালয়ে মনোনয়ন জমা দেওয়ার দিন। আজ, ২৪ জানুয়ারি হল মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষ দিন। ১৮৬টি আসনের জন্য ১৮৮টি মনেনয়ন পত্র জমা পড়েছে। টিএমসিপির দাবি, সবকটি মনোনয়নই তাঁদের সমর্থকেরাই জমা দিয়েছেন। ২০১২ সালের ছাত্র সংসদ নির্বাচনে বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসে প্রথম বার অ-বাম ছাত্র সংগঠন হিসেবে ক্ষমতায় এসেছিল টিএমসিপি। |