হঠাৎ প্রচণ্ড আওয়াজ। তার পরেই হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ল গোটা বাড়িটা। বুধবার রাতে কুলটির লছিপুর সংলগ্ন ব্রহ্মচারীস্থানে ঘটনাটি ঘটে। পরে ওই বাড়ি থেকে অগ্নিদগ্ধ অবস্থায় এক ব্যক্তিকে উদ্ধার করা হয়। পুলিশ জানিয়েছে অগ্নিদগ্ধ ব্যক্তি ওই বাড়িটিতেই থাকতেন। তবে কী কারণে এই ঘটনা ঘটল, সেটা এখনও পরিষ্কার নয় পুলিশের কাছে।
কমিশনারেটের এডিসিপি (পশ্চিম) সুব্রত গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, “আমরা সমস্ত সম্ভাবনা মাথায় রেখেই আমরা তদন্ত করছি। আশা করি কয়েক দিনের মধ্যেই ঘটনার কিনারা হয়ে যাবে।” |
ভেঙে পড়েছে বাড়ির একাংশ।—নিজস্ব চিত্র। |
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বুধবার রাত সাড়ে দশটা নাগাদ একটি একতলা বাড়িতে বিস্ফোরণের শব্দ পান স্থানীয় বাসিন্দারা। এলাকাটি জনবহুল হওয়ায় স্থানীয় বাসিন্দারা দ্রুত সেখানে পৌঁছে গিয়ে দেখেন বাড়িটির একাংশ ভেঙে গিয়েছে। ওই বাড়ি থেকে এক যুবককে অগ্নিদগ্ধ অবস্থায় উদ্ধার করেন তাঁরা। স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, ওই বাড়ির মালিকের নাম প্রকাশ চৌধুরি। তিনি বাদল বাউড়ি নামে এক যুবককে ওই বাড়িতে ভাড়ায় থাকতে দিয়েছিলেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক পুলিশ কর্তা বলেন, প্রাথমিক ভাবে মনে করা হচ্ছে তিনটি কারণে বাড়িটি ভেঙে পড়তে পারে। এক, স্টোভ ফেটে যেতে পারে। দুই, বাড়িটির নির্মাণ কাজে গাফিলতি থাকতে পারে। তবে, এই ঘটনার সম্ভাবনা খুবই কম। কারণ তা হলে ওই যুবকের অগ্নিদগ্ধ হওয়ার ঘটনা ঘটত না। তিন, বাড়িতে কোনও বিস্ফোরক মজুত থাকতে পারে। পুলিশ প্রথম ও তৃতীয় সম্ভাবনাটি খুব ভাল ভাবে খতিয়ে দেখছে। বৃহস্পতিবার এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, জনবহুল এলাকায় এই ঘটনা ঘটার ফলে স্থানীয় বাসিন্দারা খুব আতঙ্কিত হয়ে রয়েছেন। বুধবার ওই বাড়িতে বিস্ফোরণের সময়ে যে ভাবে আওয়াজ হয়েছে তাতে ওই বাড়িতে বিস্ফোরক ছিল বলেই মনে করছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। যদিও পুলিশের দাবি, প্রাথমিক তদন্তে ওই বাড়িতে বিস্ফোরক থাকার কোনও প্রমাণ মেলেনি। অগ্নিদগ্ধ ওই যুবক একটু সুস্থ হলে তাঁকে জিজ্ঞাসা করলেই পুরো বিষয়টি পরিষ্কার হবে মনে করছে পুলিশ। |