|
|
|
|
ঋতুপর্ণা যখন দেবদাসী |
তরুণ মজুমদার-এর পরের ছবি। ‘জনপদবধূ’। লিখছেন সংযুক্তা বসু। |
‘আলো’ আর ‘চাঁদের বাড়ি’র পর আবার সেই জুটি।
এক দিকে পরিচালক তরুণ মজুমদার। অন্য দিকে ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত।
দেবদাসী প্রথার পটভূমিতে শচীন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়ের লেখা কাহিনি অবলম্বনে ছবির নাম ‘জনপদবধূ’।
দেবদাসী প্রথা যখন ছবির পটভূমি, ঋতুপর্ণা কি দেবদাসীর চরিত্রে? এ সম্পর্কে এখনই কোনও মন্তব্য করতে নারাজ পরিচালক বলছেন, “গল্পটা বা নায়িকার রোল কেমন, সেটা আমি এখনই প্রকাশ করতে চাই না। চিত্রনাট্য নিয়ে এখনও অনেক কাজ বাকি। চরিত্রগুলোর ভাঙাগড়া হবে আরও। তবে এখনও অবধি ঋতুপর্ণাকে নায়িকার চরিত্রে ভেবে উঠতে পেরেছি। বাকি শিল্পীদের ঠিক করা হয়নি। আপাতত টেলিসিরিয়াল ‘দুর্গেশনন্দিনী’ নিয়েই আমি ব্যস্ত। তবে পরের ছবি ‘জনপদবধূ’ই হবে। এবং ঋতুপর্ণাই নায়িকা।”
নতুন শিল্পীদের নিয়ে অনেক বারই ছবি করেছেন তরুণ মজুমদার। এর আগে দুটি ছবিতে ঋতুপর্ণার সঙ্গে কাজ করার পরও আবার কেন তাঁর কথা ভাবছেন? উত্তরে পরিচালক বললেন, “ঋতুপর্ণা খুব ভাল অভিনেত্রী। ওর সঙ্গে কাজ করার সুবিধে, একবার চিত্রনাট্য বুঝিয়ে দিলে নিখুঁত ভাবে কাজ করে। এবং নিজের সেরাটা দেওয়ার চেষ্টা করে।” |
|
অন্য দিকে ঋতুপর্ণা বলছেন “তরুণ মজুমদার এক জন সম্পূর্ণ পরিচালক। শিল্পীদের কাছ থেকে কাজ আদায় করে নেওয়া, চিত্রনাট্য বোঝানো, প্রত্যেকটা সিনে ইমোশনের সঠিক ব্যবহার, এবং টেকনিক সবেতেই উনি অসাধারণ। তরুণবাবুর লেখা চিত্রনাট্য হাতে পাওয়া মানে অভিনয়ের অনেকটা প্রস্তুতিই হয়ে যাওয়া। প্রতিটা ডিটেল সেখানে এমন ভাবে উল্লেখ করা থাকে। আমি তো ‘আলো’ আর ‘চাঁদের বাড়ি’র চিত্রনাট্য এখনও রেখে দিয়েছি।” চরিত্রটা ঠিক কেমন? “নায়িকার জীবন ঘিরেই গল্প। কিন্তু একটা পূর্ণ প্রেমের গল্প। দেবদাসী প্রথার প্রভাব আছে নায়িকার ওপর। বাকিটা জানব ছবি করতে করতে,” হেসে বলেন ঋতুপর্ণা।
যেহেতু দেবদাসী প্রথার প্রভাব আছে গল্পে, তাই নাচ-গানেরও ব্যবহারও থাকবে বেশি করে, বলে জানালেন ছবির অন্যতম সঙ্গীত পরিচালক শিবাজি চট্টোপাধ্যায়। “আমার স্ত্রী অরুন্ধতী হোম চৌধুরী এই ছবির আর এক পরিচালক। সঙ্গীত উপদেষ্টা হিসেবে থাকবেন পণ্ডিত তন্ময় বসু। যা শুনছি মার্চে শ্যুটিং শুরু হওয়ার আগে ফেব্রুয়ারিতেই শেষ হয়ে যাবে মিউজিক রেকর্ডিং। থাকবে ক্ল্যাসিকাল গান, ঠুমরি এবং রবীন্দ্রসঙ্গীতও। দক্ষিণ ভারতের দেবদাসী প্রথার পটভূমিতে লেখা গল্পে রবীন্দ্রসঙ্গীত আসছে নায়িকার বাবা শান্তিনিকেতনে বেড়ে ওঠে বলে,” বললেন শিবাজি চট্টোপাধ্যায়।
জানা গেল পণ্ডিত তন্ময় বসু ‘জনপদবধূ’র বিশেষ সঙ্গীত উপদেষ্টাই শুধু নন, ভূমিকা আরও খানিকটা বেশি। “আমি নায়িকার সঙ্গীত গুরুর চরিত্রেও অভিনয় করছি,” হেসে বললেন তন্ময়।
‘জনপদবধূ’র প্রস্তুতিও নিতে হচ্ছে ঋতুপর্ণাকে। বললেন, “চিত্রনাট্য নিয়ে তরুণবাবুর সঙ্গে আলোচনা করছি। নায়িকার ‘বডি ল্যাঙ্গোয়েজ’, ভাষা সব কিছু নিয়েই আলাদা করে ভাবার আছে। পোশাকও ঠিক বাঙালি মেয়েদের মতো নয়। অন্য ভাবে শাড়ি পরানো হবে। শুধু তা-ই নয়, নাচ এই ছবির একটা বড় অংশ।”
তাঁর কাছেই জানা গেল কুচিপুরী আর মোহিনীআট্টমের মতো দক্ষিণী নাচের ব্যবহার থাকবে ছবিতে।
নাচের বিভঙ্গ ও দৃশ্য পরিকল্পনায় কোনও বিশিষ্ট নৃত্যশিল্পীর সহযোগিতা নেওয়া হতে পারে। |
|
|
|
|
|