প্রশাসনের আধিকারিকদের কম খরচে থাকার বন্দোবস্ত করার পাশাপাশি দফতরের আয় বাড়ানোর পথ খুঁজতে উদ্যোগী হয়েছে জলপাইগুড়ি জেলা যুব কল্যাণ দফতর। এত দিন মূলত জেলা ও মহকুমা সদর শহরে যুব আবাস তৈরি করা হলেও সম্প্রতি অল্প খরচে থাকার ব্যবস্থা করার জন্য পর্যটন কেন্দ্রগুলিকে বাছাই করার কাজ শুরু করেছেন জেলা যুব কল্যাণ দফতরের কর্তারা। প্রাথমিক ভাবে জলপাইগুড়ি জেলায় জলদাপাড়া, গরুমারা ও বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের জঙ্গল লাগোয়া এলাকায় যুব আবাস তৈরির জন্য জমি খোঁজার কাজ শুরু হয়েছে। দুটি যুব আবাস তৈরির কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে।
জলপাইগুড়ি জেলা যুব কল্যাণ আধিকারিক থেনডুপ শেরপা বলেন, “অনেক চিন্তাভাবনা করে জেলার মনোরম স্থানে যুব আবাস তৈরির জন্য বাছাই করা হচ্ছে। ইতিমধ্যে কিছু জমি মিলেছে। এটা হলে এক দিকে যেমন প্রশাসনের আধিকারিকদের থাকার সমস্যা মিটবে। অন্য দিকে পর্যটকরা কম খরচে থাকার সুযোগ পাবেন।” জেলা যুব কল্যাণ দফতর সূত্রে জানা যায়, জলদাপাড়া লাগোয়া মাদারিহাটে ২ কোটি ৫০ লক্ষ টাকা এবং গরুমারা জঙ্গল সংলগ্ন মূর্তি এলাকায় ৪ কোটি টাকা খরচ করে আধুনিক যুব আবাস তৈরির কাজ শুরু হয়েছে। সেখানে বাতানুকূল ঘর ছাড়া থাকবে ডরমেটরি এবং রেস্তোরাঁ।জেলা যুব কল্যাণ দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রতিটি ব্লকে যুব আবাস তৈরি করা হবে। আবাসগুলিতে অন লাইনে রুম বুকিং করা যায় কিনা ভাবছেন দফতরের কর্তারা। পর্যটন মরসুমে স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় ছাড়া বিভিন্ন প্রকৃতিপ্রেমী সংগঠন থেকে জেলার ডুয়ার্স এলাকায় প্রকৃতিপাঠ শিবির, শিক্ষামূলক ভ্রমণের আয়জন করা হয়। যুব আবাস থাকলে এবং অন লাইন বুকিংয়ের ব্যবস্থা হলে ওই সমস্যা থাকবে না। ২০১৫-র মধ্যে ওই যুব আবাস তৈরির কাজ শেষ করার পরিকল্পনা রয়েছে। |