রেড রোডে গত বছর প্রায় দু’ঘণ্টা ধরে প্রজাতন্ত্র দিবসের কুচকাওয়াজ হয়েছিল। এ বার সেই অনুষ্ঠান আগেই অনেকটা ছোট করা হয়েছে। ফের তা কিছুটা কাটছাঁট করার প্রস্তাব দিয়েছে রাজ্য সরকার।
২৬ জানুয়ারি রেড রোডের কুচকাওয়াজ আয়োজন করে সেনাবাহিনী। সেখানে ‘গার্ড অব অনার’ বা অভিবাদন গ্রহণ করেন রাজ্যপাল। প্রধান অতিথি হিসেবে থাকেন মুখ্যমন্ত্রী। কুচকাওয়াজের আয়োজন সেনাবাহিনী করলেও সেখানে কী ধরনের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হবে, কোন কোন স্কুল তাতে যোগ দেবে, কেমন ট্যাবলো থাকবে এগুলো ঠিক করে রাজ্য সরকার।
নবান্ন সূত্রের খবর, মাসখানেক আগে অনুষ্ঠানের মহড়া শুরু হয়। তারও আগে রাজ্য সরকারের তরফে অনুষ্ঠান কাটছাঁট করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। সেই অনুসারে অনুষ্ঠানের মেয়াদ দু’ঘণ্টা থেকে কমিয়ে সওয়া এক ঘণ্টা করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। কিন্তু বুধবার সরকার আর এক দফা প্রস্তাব পাঠিয়ে ৪৫ মিনিটে ওই অনুষ্ঠান শেষ করতে বলেছে। সরকারি সূত্রের খবর, ওই দিন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অন্য ব্যস্ততা থাকায় তাঁর পক্ষে রেড রোডের অনুষ্ঠানে এর থেকে বেশি সময় থাকা কঠিন। সেই জন্যই অনুষ্ঠানটি ছোট করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। সেনাবাহিনীর তরফে বলা হয়েছে, সরকার এই প্রস্তাব দিলেও এই নিয়ে এখনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। সেনাবাহিনীর এক অফিসার বলেন, “বিষয়টি নিয়ে আলোচনা চলছে। তবে এখনও কোনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি।”
প্রতি বছরই স্থল, নৌ এবং বিমানবাহিনী ২৬ জানুয়ারির কুচকাওয়াজে যোগ দেয়। থাকে কলকাতা ও রাজ্য পুলিশের বিভিন্ন বিভাগও। এর সঙ্গে অসামরিক প্রতিরক্ষা, এনসিসি-ও কুচকাওয়াজে যোগ দেয়। রাজ্য সরকারের কয়েকটি দফতরের ট্যাবলো থাকে। নানা ধরনের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানও হয়।
এ বার বিভিন্ন জেলা থেকে ছ’টি স্কুল এবং কলকাতার তিনটি স্কুলের পড়ুয়াদের কুচকাওয়াজে যোগ দেওয়ার কথা। মাসখানেক ধরে তারা মহড়া দিচ্ছে। প্রশাসনের এক শীর্ষ কর্তা বলেন, “আর মাত্র দু’দিন প্রজাতন্ত্র দিবসের মহড়া হবে। এই অবস্থায় অনুষ্ঠান ছোট করতে হলে কাকে রেখে কাকে বাদ দেওয়া যেতে পারে, তা নিয়ে আমরা দ্বিধায় পড়ে গিয়েছি।” |