রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় যেখানে কংগ্রেস থেকে তৃণমূলে যোগ দেওয়ার ধুম লেগেছে, সেখানে বুধবার কংগ্রেস পরিচালিত বসিরহাট পুরসভার প্রধানের বিরুদ্ধে আনা অনাস্থা প্রস্তাব প্রত্যাহার করে নিলেন তৃণমূলের তিন কাউন্সিলর। কিছুদিন আগেই প্রধানের বিরুদ্ধে দুর্নীতি-সহ নানা অভিযোগে অনাস্থা প্রকাশ করে চিঠি দিয়েছিল তৃণমূল। কিন্তু তলবি সভা ডাকার আগেই পুরপ্রধানের বিরুদ্ধে আনা অনাস্থা প্রত্যাহার করে নিলেন তাঁরা।
স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বের তরফে অবশ্য বলা হয়েছে, সামনেই ব্রিগেড সমাবেশ। রাজ্য নেতৃত্বের পরামর্শেই আপাতত অনাস্থা প্রত্যাহার করা হয়েছে। যদিও তৃণমূলের একাংশের দাবি, গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের কারণেই অনাস্থা প্রত্যাখ্যান করেছেন ওই তিন কাউন্সিলর। পুরপ্রধান কৃষ্ণা মজুমদার বলেন, “কেন আমার বিরুদ্ধে অনাস্থা আনা হল, আর কেনই বা তা প্রত্যাহার করা হল জানি না। তবে এই ঘটনায় সত্যেরই জয় হল।”
পুরসভায় ২২টি আসনের মধ্যে ১০টি কংগ্রেস, ৭টি তৃণমূল ও ৫টি বামেদের দখলে। গত ৮ জানুয়ারি পুরপ্রধানের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব আনা হয়। তাতে ৭ জন তৃণমূল কাউন্সিলর ছাড়াও এক কংগ্রেস কাউন্সিলর সই করেন। অনাস্থা আনার ১৫ দিনের মধ্যে তলবি সভা ডাকার কথা। পুরপ্রধান তা না আনলে আরও সাত দিনের মধ্যে তা ডাকার কথা উপপুরপ্রধানের। কিন্তু তার আগেই বুধবার দুপুরে অনাস্থা প্রস্তাব প্রত্যাহার করা হয়। তৃণমূল কাউন্সিলর পার্থসারথি বসু বলেন, “৩০ জানুয়ারি ব্রিগেডে দলের জনসভা। রাজ্য নেতৃত্বের পরামর্শে তার প্রস্তুতিতেই আপাতত ব্যস্ত থাকতে হচ্ছে আমাদের। পরে ফের অনাস্থা আনা হবে।”
সাতজন কাউন্সিলারের মধ্যে কেন ৩ জন অনাস্থা প্রত্যাহারে সই করলেন সে প্রশ্নের উত্তরে পার্থবাবু বলেন, “রাজ্য নেতৃত্বের নির্দেশ যখন এসে পৌঁছয় সেই সময় ওই তিন জনই উপস্থিত ছিলেন।” দলে গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের কথা অস্বীকার করেছেন তিনি।
দুর্ঘটনায় মৃত শিশু। গাড়ির চাকায় পিষ্ট হয়ে মারা গেল একটি শিশু। মন্দিরবাজারের সংগ্রামপুর-মন্দিরবাজার রোডে কেচারকুড় মোড়ের কাছে বুধবার দুপুরে দুর্ঘটনাটি ঘটে। পুলিশ জানায়, ক্যানিংয়ের জেলেরহাট গ্রামের বাসিন্দা বছর ছয়েকের রুম্পা কয়াল বাবার সঙ্গে ঠাকুরমার শ্রাদ্ধের নিমন্ত্রণ করতে কেচারকুড় গ্রামে আত্নীয়ের বাড়িতে যাচ্ছিল। কেচারকুড় মোড়ে অটো থেকে নামার পরে রুম্পা বাবার হাত না ধরে একাই রাস্তা পেরোতে যায়। একটি গাড়ি তাকে পিষে দেয়। |