বসিরহাট ও দেগঙ্গার ৭টি কলেজের মধ্যে দু’টিতে নির্বাচন স্থগিত থাকলেও বাকি সব ক’টিতে ভোটে জয়ী হল তৃণমূল ছাত্র পরিষদ। তবে ভোট ঘিরে বুধবার উত্তেজনা ছিল টান টান। মিনাখাঁর বামনপুকুর কলেজে উত্তেজনা ছড়ালেও সেখানে র্যাফ লাঠি উঁচিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেয়।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের খবর, বসিরহাট ও দেগঙ্গা কলেজে সকাল থেকেই বিশাল পুলিশ-র্যাফ মোতায়েন করা হয়েছিল। ছাত্র সংগঠনগুলির মধ্যে কয়েক বার সামান্য বচসা বাধলেও বড়সড় কোনও গোলমাল ছড়ায়নি। বসিরহাট কলেজে তৃণমূল ছাত্র পরিষদ ছাড়া অন্য কোনও ছাত্র সংগঠন মনোনয়নই দাখিল করেনি। স্বরূপনগরের তেঁতুলিয়া শহিদ নুরুল ইসলাম কলেজে ৯৬টি আসনের মধ্যে এসএফআই ৪১টিতে প্রার্থী দিয়েছিল। কিন্তু টিএমসিপির বিরুদ্ধে সন্ত্রাসের অভিযোগ তুলে পরে তারা প্রার্থী প্রত্যাহার করে। ওই কলেজেও নিরঙ্কুশ জয় পেয়েছে তৃণমূল ছাত্র পরিষদ। হিঙ্গলগঞ্জ কলেজে মোট আসন ২১টি। এ বার প্রথম নির্বাচন হচ্ছে সেখানে। এসএফআইয়ের দাবি, তারা সব আসনেই প্রার্থী দিয়েছিল। কিন্তু হুমকির মুখে ১১ জন মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নিতে বাধ্য হয়েছেন। তার প্রতিবাদে এ দিন ভোট শুরুর আগেই বামপন্থী ছাত্র সংগঠনটি লিফলেট ছড়িয়ে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ায়। এখানেও সব আসনে জয়ী হয়েছে টিএমসিপি প্রার্থীরা। মিনাখাঁর বামনপুকুর কলেজেও এ বার প্রথম ছাত্রসংসদের ভোট হচ্ছে। ২৯টি আসনের ২টিতে জয়ী হয়েছে এসএফআই। বাকিগুলিতে জয়ী টিএমসিপি। |
অন্য দিকে, দেগঙ্গার বেড়াচাঁপায় চন্দ্রকেতুগড় শহিদুল্লাহ স্মৃতি মহাবিদ্যালয়ে মনোনয়ন জমা দেওয়ার সময়েই মারপিট বেধেছিল দুই ছাত্র সংগঠনের। ভোট উপলক্ষে কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা ছিল। এ দিন ভোটদাতা ছাড়া কাউকে কলেজের ধারেকাছে ঘেঁষতে দেয়নি পুলিশ। গণনার পরে দেখা যায়, ৪২টি আসনের মধ্যে এসএফআই ও ছাত্র পরিষদ জোটের প্রার্থীরা ৬টি আসনে জয়ী হয়েছে। ৩৬টিতে জয়ী তৃণমূল ছাত্র পরিষদ।
কলেজ ভোটকে কেন্দ্র করে সন্ত্রাস, হুমকির অভিযোগ তুলে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সমালোচনা করেছে এসএফআই। যদিও তৃণমূল ছাত্র পরিষদ নেতৃত্বের দাবি, অভিযোগ মিথ্যা। জনভিত্তি নেই বলেই বেশির ভাগ জায়গায় প্রার্থী দিতে পারেনি বামপন্থী ছাত্র সংগঠনটি। কোথাও আবার পরাজয় নিশ্চিত জেনে প্রার্থীপদ প্রত্যাহার করেছে। টাকি সরকারি কলেজ ও সন্দেশখালির কালীনগর কলেজে অবশ্য ভোট স্থগিত আছে। |