র্যাঙ্কিংয়ে লাস্ট বেঞ্চের টিমের কাছে হেরে ফার্স্ট বয়ের মুকুট খোয়ানো টিমের নেতা পরের ম্যাচেই বদলের ইঙ্গিত দিলেন। “নিশ্চিতভাবে আমাদের কয়েকটা বদল করে দেখতে হবে পারফরম্যান্সে হের-ফের ঘটাতে পারি কি না। এটাই এখন সবচেয়ে বড় ব্যাপার। কয়েকটা বিষয় আমাদের পক্ষে ছিল না। তবে সুযোগ পেলে তার সদ্ব্যবহার করে ম্যাচ জেতাটা খুব গুরুত্বপূর্ণ,” বলে দেন টিম ইন্ডিয়ার ক্যাপ্টেন মহেন্দ্র সিংহ ধোনি।
নিউজিল্যান্ডের ঘরের মাঠে হলেও হ্যামিল্টনে হার এবং দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজ নিয়ে ওয়ান ডে-তে টানা পাঁচ ম্যাচ জয়ের মুখ দেখেনি ভারত। তবে ‘ক্যাপ্টেন কুল’ কিন্তু এর পরও ড্রেসিংরুমের পরিবেশে ব্যর্থতার প্রভাবের কথা উড়িয়ে দিচ্ছেন, “দলের মানসিকতার দিক থেকে বলতে পারি আমাদের ড্রেসিংরুম কিন্তু প্রাণবন্তই আছে। আমরা ক্রিকেটের উপর বেশি জোর দিই। ড্রেসিংরুমের পরিবেশে খুব বেশি প্রভাব পড়ে এমন নয়।” তা হলেও মাঠের পারফরম্যান্সের সঙ্গে ড্রেসিংরুমের পরিবেশের একটা সম্পর্ক তো থাকেই। ধোনি বলেন, “হ্যাঁ থাকে। তবে ভাল পারফর্ম করলে একেবারে অন্যরকম পরিবেশ আর হারলেই গোটা ব্যাপারটা বদলে যায় ঠিক এ রকম নয়। আমরা ড্রেসিংরুমের পরিবেশটা ভাল রাখতে পেরেছি। হারি বা জিতি তাতে কিছু যায় আসে না।”
এ দিনের হারের পর ওপেনারদের আরও বেশি করে দায়িত্ব নেওয়ার কথা বলেন ধোনি, “উইকেট না হারনোর দিক থেকে দেখলে এ দিন শুরুটা আমাদের ভাল হয়েছিল। কিন্তু ২৯০ রান তাড়া করতে গিয়ে প্রথম দশ ওভারেই ৩৮ রানে দুই উইকেট পড়ে গেলে মিডল অর্ডারের পক্ষে কাজটা কঠিন হয়ে যায়। বিশেষ করে এমন একটা উইকেটে যাতে বৃষ্টির পর দু’রকম গতি ছিল।” সঙ্গে তিনি আরও যোগ করেন, “ওপেনাররা প্রথম ১০ ওভার লড়লেও আমার মনে হয় আরও ১০-১৫ ওভার লড়াই করাটা গুরুত্বপূর্ণ ছিল। যাতে ২২-২৫ ওভারের পর আমরা বড় শট নেওয়ার দিকে এগোতে পারি। তবে অনেক সময় পরিকল্পনা অনুযায়ী সব হয় না। আগের ম্যাচে আমি আউট হয়ে গিয়েছিলাম। এখানে বিরাট ফিরে গেল। তাই পার্টনাপশিপ গড়াটা খুব জরুরি। আমাদের পর যে প্লেয়াররা নামছে তাদের পক্ষে খোলা মনে শট নেওয়াটা কঠিন।”
পাশাপাশি কিউয়ি পেসারদেরও প্রশংসা করেন ধোনি, “নিউজিল্যান্ডের বোলারদের স্লোয়ার এড়িয়ে বড় স্ট্রোক নেওয়াটা খুব কঠিন ছিল। বিরাটের মতো দুরন্ত ফর্মে থাকা ব্যাটসম্যানেরও টানা হিট করতে সমস্যা হচ্ছিল।” আর ভারতের পেসারদের পারফরম্যান্স? ‘মেন ইন ব্লু’ ক্যাপ্টেন বলেন, “ভুবনেশ্বর কুমার ডেথ ওভারে যেমন পারফর্ম করেছে, শামিও ধারাবাহিক ভাবে ভাল বল করছে।”
নিউজিল্যান্ড ক্যাপ্টেন ব্রেন্ডন ম্যাকালাম আবার চাপের মুখে টিমের ঠিক সময়ে জ্বলে ওঠা নিয়ে খুব খুশি। তিনি বলে দেন, “চাপের মধ্যে ভারতের মতো ব্যাটিং লাইন আপের বিরুদ্ধে এই পারফরম্যান্স টিমের আত্মবিশ্বাস বাড়াতে অনেক সাহায্য করবে। কয়েক দিনের মধ্যে আমাদের আবার ঠিক এ ভাবেই চ্যালেঞ্জ জানাতে হবে।” বৃষ্টির পর ভারতের জন্য ঠিক করে দেওয়া টার্গেট নিয়ে প্রশ্ন করলে কিউয়ি ক্যাপ্টেন বলেন, “আমার মনে হয় এ রকম ম্যাচে পরে ব্যাট করলে টার্গেটটা জানার সুবিধা থাকে। তবে ওভার যদি ১০ ওভারের কাছাকাছি কমে যায় তা হলে পরে ব্যাট করা টিমের কাছে এটা অসুবিধার।” |
সুনীল গাওস্কর বলেন |
• “সিরিজ বাঁচাতে গেলে টিমের কম্বিনেশনের দিকেও লক্ষ্য দিতে হবে। আমাদের বুঝতে হবে ভারত বিদেশে খেলছে আর পাঁচ ব্যাটসম্যান আর পাঁচ বোলারের কম্বিনেশন কাজ করছে না। ভারতকে ব্যাটিং লাইন আপের জোর আরও বাড়াতে হবে। টিমে বোলারের জায়গায় একজন ব্যাটসম্যান চাই।” • “প্রত্যেক ক্যাপ্টেনেরই টিম নিয়ে কিছু বিশ্বাস থাকে। যেমন সৌরভ বাঁ হাতি স্পিনারের উপর খুব একটা বিশ্বাস করত না। তাই ওর সময়ে খুব বেশি বাঁ হাতি স্পিনারকে উঠে আসতে দেখা যায়নি।” • “ধোনিকে আরও নমনীয় হতে হবে। ও টিমের জন্য সেরা ফলটাই চায়। টিম ম্যানেজমেন্ট, কোচ আর নির্বাচকদের ওকে বলতে হবে কোনটা টিমের জন্য সেরা কম্বিনেশন।” |
|