|
|
|
|
পুড়ল পার্টি অফিস, অভিযুক্ত কংগ্রেস |
নিজস্ব সংবাদদাতা • খড়্গপুর |
রেলশহরে রাতের অন্ধকারে যুব তৃণমূলের একটি কার্যালয় পুড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠল কংগ্রেসের আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। মঙ্গলবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে খড়্গপুর শহরের জনতা মার্কেটের শান্তিনগরে। বুধবার ওই ঘটনায় নূরউদ্দিন মল্লিক (ওড়িয়া), শেখ আফসার (বুজু) ও শেখ আজাদকে খড়্গপুর টাউন পুলিশ গ্রেফতার করেছে। ধৃতদের এলাকার কংগ্রেস কার্যালয়ে যাতায়াত রয়েছে বলে যুব তৃণমূলের অভিযোগ।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, পুরসভার ২২ নম্বর ওয়ার্ডে মাস তিনেক আগে বাঁশ-চাঁচের দলীয় কার্যালয় গড়ে এলাকার যুব তৃণমূল কর্মীরা। ওই এলাকায় কংগ্রেসেরও দলীয় কার্যালয় থাকলেও গত আট মাস ধরে তা বন্ধ ছিল। মঙ্গলবার সকালে কংগ্রেস পার্টি খোলা হয় সেখানে বৈঠক করেন স্থানীয় কংগ্রেস কাউন্সিলর বিষ্ণুবর্ধণ কামি। ঘটনাচক্রে ওই দিনই রাত সাড়ে ১২টা নাগাদ আগুন লাগে তৃণমূল অফিসে। ঘিঞ্জি এলাকায় আগুন দেখে আতঙ্কে ছুটে আসেন স্থানীয়রা। তাঁরাই আগুন নেভান। ততক্ষণে যুব তৃণমূল কার্যালয়ের একাংশ পুড়ে গিয়েছিল বলে তৃণমূল সূত্রে খবর। বুধবার সকাল থেকেই কার্যালয় পুড়ে যাওয়া নিয়ে তরজা শুরু হয় কংগ্রেস-তৃণমূলে।
কংগ্রেস আশ্রিত দুষ্কৃতীরা পার্টি অফিসে আগুন লাগিয়ে দিয়েছে বলে অভিযোগ করেন ওই ওয়ার্ডের যুব তৃণমূল নেতা শেখ রিয়াজ। তাঁর অভিযোগ, “কংগ্রেস আশ্রিত তিন দুষ্কৃতী আগেই আমাদের পার্টি অফিস পুড়িয়ে দেবে বলে হুমকি দিয়েছিল।” তাঁরাই এ দিন ওই তিন দুষ্কৃতীকে পুলিশের হাতে তুলে দেন বলে জানা গিয়েছে। এলাকার কংগ্রেস কাউন্সিলার বিষ্ণবর্ধণ কামি বলেন, “মঙ্গলবার আমাদের পার্টি অফিস খোলা নিয়ে মিটিং করেছিলাম। ওদের পার্টি অফিস কে বা কারা পুড়িয়ে দিয়েছে তা জানি না।” তাঁর পাল্টা অভিযোগ, “তৃণমূলের পার্টি অফিস খোলার পর থেকেই কিছু নেশাগ্রস্ত দুষ্কৃতী ওখানে আশ্রয় নিচ্ছে। ওরাই নেশা করার সময় কোনও ভাবে আগুন লেগে গিয়েছে।” খড়্গপুর টাউন পুলিশ জানিয়েছে, তৃণমূলের পার্টি অফিস পুড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগেই ওই তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। |
|
|
|
|
|