|
|
|
|
অবস্থান বিক্ষোভে আইআইটি কর্মীরা |
নিজস্ব সংবাদদাতা • খড়্গপুর |
কেন্দ্রীয় সরকারের কর্মচারী হওয়া সত্ত্বেও তাঁদের সঙ্গে ঠিকাকর্মীর মতো আচরণ করা হচ্ছে। খড়্গপুর আইআইটি কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ তুলে অনির্দিষ্ট কালের জন্য অবস্থানে বসল ‘রেসিডেন্সিয়াল হল ওয়ার্কার্স ইউনিয়ন’। বুধবার আইআইটি-র ‘হল ম্যানেজমেন্ট সেন্টারে’র সামনে অবস্থান শুরু হয়। ওই সংগঠনের দাবি, অবস্থানের জেরে পড়ুয়াদের হস্টেল পরিষেবায় কোনও বিঘ্ন হয়নি। আইআইটি সূত্রে খবর, বেতন কাঠামো-মেডিক্যাল-নিম্নমানের আবাসন-সহ একাধিক ইস্যুতে ২০০৯ সালের পর থেকেই সরব হস্টেল কর্মীরা। কিন্তু কোনও ভাবেই সেই সমস্যা মেটেনি। |
|
খড়্গপুর আইআইটিতে এইচএমসি অফিসের সামনে অবস্থান।—নিজস্ব চিত্র। |
গত বছর কর্মচারীদের সংগঠন রেসিডেন্সিয়াল হল ওয়ার্কার্স ইউনিয়ন জয়ী হয়। তারপর থেকেই কর্তৃপক্ষের ‘বৈষম্যের’ বিরুদ্ধে সুর চড়ায় প্রায় তিনশো কর্মী। সরোজনী নাইডু হলের কর্মী পরেশ মালাকার, মেঘনাথ সাহা হলের কর্মী প্রদীপ দুবে বলেন, “আমাদের বেতন থেকে কোয়ার্টার সবেতেই বঞ্চিত করে রেখেছে আইআইটি কর্তৃপক্ষ। কেন্দ্রীয় সরকারী কর্মী হলেও আমাদের সঙ্গে ঠিকাকর্মীর মতো আচরণ করা হচ্ছে।” সংগঠনের দাবি, গত বছরের ২ জুলাই আইআইটি-র রেজিস্ট্রার তপনকুমার ঘোষাল ও তদানীন্তন দায়িত্বপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান অদৃজিত গোস্বামী এক বৈঠকে আশ্বাস দেন, হস্টেল কর্মীদের দাবি মেনে নেওয়া হবে। ছ’মাস অতিক্রান্ত হলেও সেই প্রতিশ্রুতি আইআইটি কর্তৃপক্ষ রক্ষা করেনি বলে সংগঠনের অভিযোগ। ইতিমধ্যে বদলে গিয়েছেন চেয়ারম্যান। এখন সেই পদের দায়িত্ব নিয়েছেন মেকানিক্যাল বিভাগের অধ্যাপক বিশ্বজিত মাইতি। ওয়ার্কার্স ইউনিয়নের সভাপতি প্রদীপ ধর, যুগ্ম-সম্পাদক অপূর্ব ঘোষের অভিযোগ, আমাদের কথা দিয়েও তা রাখা হয়নি। প্রদীপবাবুর কথায়, “আমরা বাধ্য হয়ে অবস্থানে বসেছি।” তাঁর হুঁশিয়ারি, দাবি মানা না হলে অবস্থান চলবে। যদিও হল ম্যানেজমেন্ট সেন্টারের চেয়ারম্যান বিশ্বজিত মাইতি বলেন, “আমরা ওদের দাবিগুলি খতিয়ে দেখছি।” রেজিস্ট্রার তপনকুমার ঘোষাল জানান, “ওদের যে সব দাবি নায্য, তা মেনে নেওয়া হবে। বিষয়টি এখন প্রসেসে রয়েছে।” |
|
|
|
|
|