|
|
|
|
কোচবিহারের পাতলাখাওয়ায় চিহ্নিত ৮০০ বিঘা জমি |
বন ফেরাতে চারা লাগাবে দফতর
নিজস্ব সংবাদদাতা • কোচবিহার |
হারানো সবুজ ফেরাতে কোচবিহারের পাতলাখাওয়ায় ৮০০ বিঘা জমিতে গাছ লাগানোর পরিকল্পনা করেছে বন দফতর। সত্তরের দশকে পাতলাখাওয়া এলাকায় বিস্তীর্ণ বনাঞ্চল ছিল। তোর্সা নদী পেরিয়ে দূরের চিলাপাতা জঙ্গলের মতো পাতলাখাওয়ার বনাঞ্চলেও কিছু বন্যপ্রাণীর আনাগোনা ছিল। আশির দশকের শুরু থেকে জনবসতি বাড়তে থাকায় সবুজের পরিমাণ কমে। ওই এলাকার ৮০০ বিঘা জমি পরিত্যক্ত পড়ে। সম্প্রতি পাতলাখাওয়ায় একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিতে গিয়ে রাজ্যের বনমন্ত্রী, বন উন্নয়ন নিগম চেয়ারম্যান, ভূমি সংরক্ষণ আধিকারিকদের মধ্যে ওই জমিতে সবুজায়নের প্রকল্প নিয়ে আলোচনা হয়। তার পরই পরিকল্পনা চূড়ান্ত করে বন দফতর। প্রকল্পে এলাকায় ১৫ শতাংশ মরসুমি ফলের গাছ লাগানো হবে। বন দফতরের ভূমি সংরক্ষণ বিভাগের উত্তরবঙ্গের বনপাল মণীন্দ্র বিশ্বাস বলেন, “এই নিয়ে প্রাথমিক সমীক্ষা হয়েছে। ওই এলাকার মাটিতে বালিস্তর রয়েছে। সেখানকার পরিবেশ ১০ প্রজাতির গাছ লাগানোর পক্ষে আদর্শ। তার তালিকা করেছি।”
প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে প্রায় ৩ কোটি টাকা। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে আগামী বর্ষার আগেই পাতলাখাওয়ার বনাঞ্চলের তোর্সার পাড় লাগোয়া জমিতে খয়ের, শিমুল, শিশু, পাকা সাজ, পানিসাজ, গোকুল, সিট্রোলিনা, আমলকির মত নানা চারা লাগানোর কাজ শুরুর সম্ভাবনা রয়েছে। রাজ্যের বনমন্ত্রী বিনয়কৃষ্ণ বর্মন বলেছেন, “এক সময়ে পাতলাখাওয়ায় গভীর জঙ্গল ছিল। তার বড় অংশই কয়েক দশক আগে ধ্বংস হয়ে গিয়েছে। এলাকার পুরানো সেই ছবি ফেরাতেই ওই ৮০০ বিঘা জমিতে নতুন করে গাছ লাগানর ব্যাপারে ব্যবস্থা নিতে আধিকারিকদের নির্দেশ দিয়েছে।” বন উন্নয়ন নিগমের চেয়ারম্যান রবীন্দ্রনাথ ঘোষ বলেছেন, “দ্রুত ওই এলাকায় সবুজ ফিরবে বলে আশা রাখি।”
রাজ্যে মোট জমির মধ্যে বনভূমির পরিমাণ ২২ শতাংশ। কোচবিহার জেলার ক্ষেত্রে ওই বনভূমির পরিমাণ ২ শতাংশর কিছু কম। পাতলাখাওয়ায় ১২ হাজার বিঘা এলাকায় একসময় বনাঞ্চল ছিল। তার মধ্যে দেড় হাজার বিঘে জমি মাঠে পরিণত। রাজ্যের প্রাক্তন বনমন্ত্রী অনন্ত রায় বলেছেন, “পাতলাখাওয়ার বিস্তীর্ণ এলাকায় আমরা নতুন করে সবুজায়ন করতে উদ্যোগী হয়েছিলাম। এ বিষয়ে আরও উদ্যোগী হওয়া নিঃসন্দেহে এক ভাল পদক্ষেপ। সেই সঙ্গে রক্ষণাবেক্ষণের বিষয়টিও নিশ্চিত করা দরকার।” |
|
|
|
|
|