|
|
|
|
দলত্যাগী খুনে দোষী ৩ সিপিএম কর্মী
নিজস্ব সংবাদদাতা • নয়াদিল্লি
২২ জানুয়ারি |
কেরলে টি পি চন্দ্রশেখরন খুনের মামলায় অস্বস্তিতে পড়ল সিপিএম। দলত্যাগী ওই নেতার খুনের পিছনে আজ সিপিএমের নিচুতলার তিন নেতাকে দোষী সাব্যস্ত করেছে কোঝিকোড় দায়রা আদালত। তবে সিপিএম নেতৃত্বকে স্বস্তি দিয়ে দলের জেলা সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য পি মোহননকে বেকসুর খালাস দিয়েছে আদালত। যা দেখিয়ে আজ সিপিএমের পলিটব্যুরো দাবি করেছে, আদালতের রায়ে প্রমাণ হয়েছে, চন্দ্রশেখরনের খুনে সিপিএম নেতাদের হাত থাকার অভিযোগ মিথ্যে।
কোঝিকোড় জেলা সিপিএমের গুরুত্বপূর্ণ নেতা টি পি চন্দ্রশেখরন দল ছেড়ে নতুন দল রেভলিউশনারি মার্ক্সিস্ট পার্টি (আরএমপি) তৈরি করেছিলেন। তাঁর নতুন দল ওই এলাকায় সিপিএমের মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়ায়। ২০১২ সালে অজ্ঞাতপরিচয় দুষ্কৃতীরা চন্দ্রশেখরনকে কুপিয়ে খুন করে। অভিযোগ ওঠে, দলত্যাগী নেতাকে মারার জন্য সিপিএমের জেলা নেতৃত্বই ভাড়াটে খুনি লাগায়। কংগ্রেসের পাশাপাশি দলের প্রবীণ নেতা ভি এস অচ্যুতানন্দনও এই খুনের পিছনে পার্টির নেতা-কর্মীদের হাত থাকার বিষয়ে সন্দেহ প্রকাশ করায় পরিস্থিতি জটিল হয়। এই মামলায় মোট ৩৬ জন অভিযুক্তের মধ্যে আজ ২৪ জনকে বেকসুর খালাস দিয়েছে আদালত। এর মধ্যে রয়েছেন সিপিএমের জেলা নেতা মোহননও। কিন্তু যে ১২ জনকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে, তার মধ্যে রয়েছেন দলের জোনাল কমিটির সদস্য পি কে কুনহনন্দন এবং লোকাল কমিটির সদস্য কে সি রামাচন্দ্রন ও মনোজন। তারা খুনের চক্রান্তে জড়িত ছিলেন বলে রায় দিয়েছে আদালত। কাল শাস্তি ঘোষণা হবে।
চন্দ্রশেখরনের স্ত্রী আরএমপি-নেত্রী কে কে রেমা বলেন, আদালতের রায় থেকেই স্পষ্ট, সিপিএমই খুনি। স্বামীর খুনে সিবিআই তদন্তের দাবিও তুলেছেন তিনি। রেমার অভিযোগ, সাক্ষীদেরও উপরেও চাপ তৈরি করা হয়েছে। তাই মামলা চলাকালীন ৫২ জন সাক্ষী বয়ান পাল্টে ফেলেছেন।
সিপিএমের কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব অবশ্য দলের জেলা কমিটির নেতা মোহননের বেকসুর খালাস পাওয়াটাকেই গুরুত্ব দিচ্ছেন। আজ দিল্লিতে সিপিএমের পলিটব্যুরো বৈঠকে যোগ দিতে এসে কেরলের রাজ্য সম্পাদক পিনারাই বিজয়ন বলেন, “আমরা প্রথম থেকেই বলছিলাম, এই খুনের সঙ্গে দলের সম্পর্ক নেই। পুরোটাই রাজ্যের ইউডিএফ-সরকারের চক্রান্ত। আদালতেও আমাদের বক্তব্যই প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।” সিপিএমের পলিটব্যুরোর তরফে জানানো হয়েছে, রায় খতিয়ে দেখে রাজ্য নেতৃত্ব পরবর্তী পদক্ষেপ ঠিক করবে। দলীয় সূত্রের খবর, দোষী সাব্যস্ত তিন নেতার হয়ে উচ্চ আদালতে আবেদন করা হবে। |
|
|
|
|
|