দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের নিষেধাজ্ঞা উঠে যাওয়ায় এ বার হলদিয়ায় কর্মযজ্ঞ শুরু হবে বলে আশা প্রকাশ করলেন রাজ্যের প্রাক্তন শিল্পমন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। বুধবার বিকেলে হলদিয়ায় বাণিজ্য মেলার উদ্বোধন করে তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী পার্থবাবু জানান, গত বছর ‘বেঙ্গল লিডস’এ ২৬ হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগের প্রস্তাব এসেছিল। নিষেধাজ্ঞা উঠে যাওয়ার পর ওই বিনিয়োগগুলি কার্যকরে উদ্যোগী হয়েছে রাজ্য সরকার ও হলদিয়া উন্নয়ন পর্ষদ।
মেলায় উপস্থিত শিল্পসংস্থার প্রতিনিধিদের হাতে পর্ষদের পক্ষ থেকে হলদিয়া ‘ল্যান্ড ব্যাঙ্কে’র নথি তুলে দেওয়া হয়। পর্ষদের চেয়ারম্যান তথা তৃণমূল সাংসদ শুভেন্দু অধিকারী বলেন, “৫৯৭ একর জমি রয়েছে শিল্পের জন্য। |
বুধবার হলদিয়ায় বাণিজ্য মেলার উদ্বোধন অনুষ্ঠানে সাংসদ
শুভেন্দু অধিকারী ও মন্ত্রী পার্থ চট্ট্যোপাধ্যায়। ছবি: আরিফ ইকবাল খান। |
প্রয়োজনে আরও জমি উচিত মূল্যে কিনে শিল্পসংস্থার হাতে তুলে দেবে পর্ষদ। শিল্পসংস্থাগুলি নিজেরাও জমি কিনতে পারেন সরাসরি।” বেশ কিছু বিনিয়োগের উল্লেখ করে শুভেন্দুর দাবি, “হলদিয়ায় উন্নয়নে গতি এসেছে। পরিবেশ শিল্প সহায়ক হয়েছে।” হলদিয়ার উন্নয়ন বাংলার অর্থনৈতিক উন্নয়নকে ত্বরাণ্বিত করবে বলে আশা রাজ্যের পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমের।
তবে, হলদিয়া বন্দরে নাব্যতা নিয়ে উদ্বেগের সুর শোনা যায় বাণিজ্য মেলায় উপস্থিত সকলের কথায়। শুভেন্দু বলেন, “হলদিয়া শিল্পাঞ্চলের একটা বড় সমস্যা হুগলি নদীর নাব্যতা কমে যাওয়া। কেন্দ্রীয় সরকার ড্রেজিংয়ের জন্য ১৫০০ কোটি টাকা দিলে বন্দর গতিশীল হবে।” তাঁর অভিযোগ, “এখন যে কেন্দ্রীয় সংস্থা ড্রেজিং করছে, তাদের আধুনিক ব্যবস্থা
নেই।” বেসরকারি সংস্থার মাধ্যমে উন্নততর প্রযুক্তিতে ড্রেজিং করার দাবি জানান শুভেন্দু। |
পার্থবাবুও হলদিয়া বন্দরের নাব্যতা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন। পাশাপাশি রসুলপুরে গভীর সমুদ্র বন্দরের সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা করেন তিনি। পিপিপি মডেলে (সরকারি-বেসরকারি উদ্যোগে) হলদিয়ায় একটি ‘হার্ডওয়্যার পার্ক’ গড়ার প্রস্তাব আছে বলে জানান পার্থবাবু। কলকাতার নিউটাউনে হিডকো-র কাছে ‘ইন্টার-ন্যাশনাল ট্রেড ফেয়ার’ করার চিন্তা-ভাবনা চলছে বলে জানান তিনি। |