নয়া নজির গড়ল সেনসেক্স। বুধবার তা বাড়ল মাত্র ৮৬.৫৫ পয়েন্ট। কিন্তু বাজার বন্ধের সময়ে দাঁড়াল ২১,৩৩৭.৬৭ অঙ্কে, যা ভেঙে দিল গত ৯ ডিসেম্বরের ২১,৩২৬.৪২ অঙ্কের রেকর্ড। এই নিয়ে গত তিন দিনে সেনসেক্সর উত্থান হল ২৪৭ পয়েন্ট।
ডলারে টাকার দামও বেড়েছে ৭ পয়সা। এক ডলারের দাম দাঁড়িয়েছে ৬১.৮১ টাকা। বিদেশের বাজারে ডলারের চাহিদা থাকা সত্ত্বেও এ দিন টাকার দাম বাড়ার ঘটনা বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছেন বৈদেশিক মুদ্রা বাজার বিশেষজ্ঞরা।
এই অর্থবর্ষের তৃতীয় ত্রৈমাসিকে শিল্প সংস্থাগুলির আর্থিক ফল ভাল হবে বলে আশা শেয়ার বাজার মহলের। পাশপাশি সুদ কমার আশাও করছেন লগ্নিকারীরা। আগামী সপ্তাহে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক ঋণনীতির ত্রৈমাসিক পর্যালোচনায় বসছে। এখন মূল্যবৃদ্ধির হার যেখানে রয়েছে, তাতে শেয়ার বাজার মহলের আশা, এ বার সুদ কমাতে পারে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক। দাভোসে বিশ্ব অর্থনৈতিক ফোরামের বৈঠকে একই আশা জানান কেন্দ্রীয় অর্থনীতি বিষয়ক সচিব অরবিন্দ মায়ারাম। ক্যালকাটা স্টক এক্সচেঞ্জের প্রাক্তন সভাপতি ও স্টুয়ার্ট সিকিউরিটিজ -এর চেয়ারম্যান কমল পারেখ বলেন, “সুদ কমানো না-হলেও আমার আশা, গভর্নর রঘুরাম রাজন আগের বারের মতো এ বারও সুদ বাড়ানোর রাস্তায় অন্তত হাঁটবেন না। সুদ বাড়ানো না-হলে আর্থিক বাজারের হাল খারাপ হওয়ার সম্ভাবনা থাকবে না। সূচক উঠবে।”
তবে বহু বাজার বিশেষজ্ঞেরই ধারণা, নির্বাচনের আগে বাজারের ওঠা-নামার গতি বাড়বে না। বিএনকে ক্যাপিটাল মার্কেটসের এমডি অজিত খান্ডেলওয়াল বলেন, “বাজারে তেমন ঘটনা না-ঘটলে সূচকের উত্থান বা পতনের সম্ভাবনাও থাকবে না। লোকসভা ভোটের ঘণ্টা বেজে গিয়েছে, এখন কোনও লগ্নিকারীই ঝুঁকি নিয়ে শেয়ার বাজারে বড় মাপের বিনিয়োগ করবেন বলে মনে হয় না। কেন্দ্রে স্থায়ী সরকার গঠনের সম্ভাবনা সৃষ্টি হলে সূচক উপরের দিকে উঠবে।”
তবে বিশেষজ্ঞদের একাংশের মত, নির্বাচন পর্যন্ত ছোট মাপের হলেও, সূচক ঘন ঘন ওঠা-নামা করতে পারে। কারণ নির্বাচন হওয়া পর্যন্ত বাজার পড়লে শেয়ার কিনে, অল্প কিছু মুনাফা হলেই তা বিক্রির প্রবণতা বেশি দেখা যাবে। এর জেরে সূচকের উত্থান-পতন হবে দ্রুত। |