বিক্ষুব্ধ তৃণমূল কাউন্সিলর দীপক দাসের শাস্তি ও গ্রেফতারের দাবিতে স্থানীয় মহিলা তৃণমূল কংগ্রেস সমর্থকেরা মিছিল করে এসে জেলার পুলিশ সুপারকে স্মারকলিপি দিলেন। বুধবারের ওই প্রতিবাদ মিছিলে পা মেলান সিউড়ির পুরপ্রধান উজ্জ্বল মুখোপাধ্যায়। উজ্জ্বলবাবুর অভিযোগ, “আন্দোলনের নামে দীপকবাবুরা নোংরামি করছেন। আন্দোলনের নামে আমার চরিত্র নিয়ে কটূক্তি করেছেন। পাশাপাশি অস্থায়ী মহিলা কর্মীদের সম্পর্কেও অশোভন মন্তব্য করেছেন। তা ক্ষমার অযোগ্য।”
এ দিন দুপুরে সিউড়ি তৃণমূল কার্যালয় থেকে কয়েকশো মহিলা মিছিল করে পুলিশ সুপারের দফতরে যান। তৃণমূলের শহর মহিলা সভানেত্রী আঁখি অধিকারী বলেন, “দীপকবাবুর কুরুচিকর মন্তব্য কিছুতেই মেনে নেওয়া হবে না। আমরা তাঁকে গ্রেফতারের দাবি জানিয়ে পুলিশকে স্মারকলিপি দিয়েছি।” এ দিন পুলিশ সুপার সি সুধাকর অবশ্য জেলার বাইরে ছিলেন। তাঁর বদলে স্মারকলিপি নেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার প্রশান্ত চৌধুরী। প্রশান্তবাবু বলেন, “জেলা পুলিশ সুপারের নির্দেশে আমি স্মারকলিপি নিয়েছি মাত্র। এ বিষয়ে যা ব্যাবস্থা নেওয়ার, তা জেলা পুলিশ সুপারই নেবেন।” এ দিকে, গোটা ঘটনায় দীপকবাবুর প্রতিক্রিয়া, “আমি কোনও মহিলা সম্বন্ধে কোনও রকমেরই মন্তব্য করিনি। আমার নিশানায় ছিলেন পুরপ্রধান। উজ্জ্বলবাবু মানুষকে বিভ্রান্ত করছেন। আসলে দুর্নীতিতে ডুবে দিশাহারা হয়ে তিনি এ সব করছেন।” তাঁর দাবি, “দুর্নীতির প্রতিবাদ করে যদি জেলে যেতে হয়, তা হলে যাব। কিন্তু পুরসভায় যাঁরা জনগণের ১২ কোটি টাকা চুরি করেছেন, তাঁদের আগে শাস্তি দেওয়া উচিত।” |