এসএফআই আসরে নেই। তবু মনোনয়ন পত্র জমা দেওয়ার সময়ে গোলমাল বাধল দুর্গাপুরের মাইকেল মধুসূদন মেমোরিয়াল কলেজ। টিএমসিপি-র দু’টি গোষ্ঠীর সংঘর্ষের জেরে বুধবার সেখানে অশান্তি হয়। পুলিশ গিয়ে দু’পক্ষকে হঠিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। ঘটনায় জড়িত সন্দেহে দুই ছাত্রকে পুলিশ আটক করেছে।
পুলিশ ও কলেজ সূত্রে জানা গিয়েছে, কলেজের ছাত্র সংসদে ৪৪টি আসন। টিএমসিপি-র তরফে সব আসনের জন্য মনোনয়ন তোলা হয় মঙ্গলবার। এর বাইরে আরও ২১টি মনোনয়ন পত্র তোলা হয়। বুধবার টিএমসিপি-র সঙ্গে ওই ২১টি আসনেও মনোনয়ন জমা দেওয়ার প্রক্রিয়া চলছিল। সেই সময়ে দু’পক্ষের মধ্যে হাতাহাতি শুরু হয়ে যায়। অশান্তি হবে আঁচ করে কলেজে আগে থেকেই পুলিশি প্রহরা ছিল। তাই গোলমাল বড় আকার নেয়নি। পুলিশ লাঠি উঁচিয়ে দু’পক্ষকে সরিয়ে দেয়। রাজীব মণ্ডল ও শেখ সাদ্দাম হোসেন নামে দুই ছাত্রকে আটক করেছে পুলিশ। টিএমসিপি-র দুর্গাপুর মহকুমা সভাপতি রজত বিশ্বাস বলেন, “গণ্ডগোল একটা হয়েছে। খোঁজ নিয়ে দেখছি। আমাদের সবাই মনোনয়ন জমা দিয়ে দিয়েছে।” |
তাড়া পুলিশের। দুর্গাপুরের কলেজে বুধবার তোলা নিজস্ব চিত্র। |
তবে খনি-শিল্পাঞ্চলে অন্য নানা কলেজে এ দিন শান্তিতেই মনোনয়ন জমা পড়েছে বলে কলেজগুলির তরফে জানানো হয়েছে। মঙ্গলবার রানিগঞ্জের টিডিবি কলেজে মনোনয়ন পত্র তোলার সময়ে বাধা দেওয়া, পরিচয়পত্র কেড়ে ছিঁড়ে দেওয়া এবং মারধরের অভিযোগ উঠেছিল টিএমসিপি-র একটি গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে। এ দিন অবশ্য সেখানে তেমন কোনও গোলমাল বাধেনি। এই কলেজে মোট ৬০টি আসনে ১৪৭টি মনোনয়ন তোলা হলেও শেষ পর্যন্ত বুধবার ৫৯টি মনোনয়ন জমা হয়েছে। খান্দরায় ২৩টি এবং পাণ্ডবেশ্বরে ১২টি আসনে টিএমসিপি ছাড়া অন্য কোনও সংগঠনের তরফে মনোনয়ন জমা হয়নি বলে জানা গিয়েছে। টিডিবি কলেজের অধ্যক্ষ নেপঙ্কর হাজরা জানান, একটি আসনে কোনও মনোনয়ন জমা পড়েনি। টিএমসিপি-র জেলা সভাপতি অশোক রুদ্র জানান, কেন এমন হল, তা খতিয়ে দেখা হবে। আসানসোলের কলেজগুলিতেও এ দিন শান্তিতেই মনোনয়ন জমা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। |