চলন্ত ট্রেনে লুঠপাটের পাঁচ দিন কেটে যাওয়ার পরেও ঘটনার কোনও কিনারা করতে পারেনি রেল পুলিশ। দুষ্কৃতীদের সম্পর্কে উল্লেখযোগ্য কোনও তথ্য মেলেনি এখনও। এই ঘটনায় ক্ষুদ্ধ নিত্যযাত্রীরা।
হাওড়ার রেল পুলিশ সুপার মিলন কান্তি দাশ বলেন, “বলার মতো উল্লেখযোগ্য কিছু এখনও পাইনি। তবে কয়েকটি সূত্র পাওয়া গিয়েছে। যেগুলি এখনই বলা সম্ভব নয়। রেল পুলিশ দুষ্কৃতীদের খোঁজে সম্ভাব্য এলাকাগুলিতে খোঁজখবর চালাচ্ছে। আশা করি খুব দ্রুত দুষ্কৃতীদের গ্রেফতার করা যাবে।”
শনিবার রাত সাড়ে সাতটা নাগাদ আপ হাওড়া-অমৃতসর মেলের একটি অসংরক্ষিত কামরায় প্রায় ৫০ লাখ টাকা লুঠ করে পালায় একদল দুষ্কৃতী। মারধর করা হয় বিহারের বক্সারের বাসিন্দা কয়েক জন পশু ব্যবসায়ীকে। ডাকাতির এই ঘটনাটি ঘটেছিল আসানসোল ডিভিশনের নিমচা হল্ট ও কালীপাহাড়ি স্টেশনের মাঝে। ওই পশু ব্যবসায়ীরা ব্যবসার কারণে তাঁরা প্রায়ই ট্রেনে করে পানাগড়ে যাতায়াত করতেন। শনিবারও তাঁদের প্রায় ২০ জন দল বেঁধে পানাগড় থেকে ট্রেনে উঠে বক্সারে যাচ্ছিলেন। রেল পুলিশ সূত্রে জানা যায়, দুষ্কৃতীরা ওই কামরায় কয়েক জন পশু ব্যবসায়ীকেই শুধু আক্রমণ করেছিল। আর কারও কাছ থেকে লুঠপাট করা হয়নি।
শনিবার দুষ্কৃতীরা যাত্রী সেজেই ওই ট্রেনে চেপেছিল। আসানসোল রেল ডিভিসনের নিমচা হল্ট ও কালিপহাড়ি স্টেশনের মাঝে ডাকাতি করে দুষ্কৃতীরা চেন টেনে ট্রেন থামিয়ে নেমে পালায়। চলন্ত ট্রেনের কামরায় এই লুঠপাটের ঘটনায় প্রশ্ন উঠছে যাত্রী নিরাপত্তা নিয়ে। ঘটনার পাঁচ দিন কেটে যাওয়ার পরেও কেউ গ্রেফতার না হওয়ায় যাত্রীরা তদন্তের অগ্রগতি নিয়েই প্রশ্ন তুলছেন।
ডাকাতির তদন্তে নেমে রেল পুলিশের প্রাথমিক অনুমান ছিল, দুষ্কৃতীরা ওই পশু ব্যবসায়ীদের পরিচিত। এরা কোথায় টাকা রাখে দুষ্কৃতীরা সবই জানে। পশু ব্যবসায়ীরা মূলত বীরভূমের ইলামবাজারে তাঁদের গরু বিক্রির জন্য নিয়ে আসে। সেই কারণে দুষ্কৃতীরা ইলামবাজার অথবা বক্সারের বাসিন্দা বলে অনুমান করছে রেল পুলিশ। যদিও এখনও সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময় আসেনি বলে জানিয়ে রেলের আসানসোল ডিভিসনের সিনিয়র সিকিউরিটি কমিশনার অমরেশ কুমার বলেন, “আমি নিজে এই ঘটনার তদন্ত করছেন। দুষ্কৃতীদের খোঁজে জোরদার তল্লাশি চলছে।” |