|
|
|
|
জেতা ছাড়া এখন অন্য কিছু ভাবছিই না, বলছেন ওডাফা
রতন চক্রবর্তী • মঞ্জেরি |
ড্র করলেই শেষ চারে। তবু কাল জিতেই সেমিফাইনাল যেতে চাইছেন ওডাফা। “জেতার অভ্যাসটা না রাখলে কখনও ট্রফি পাওয়া যায় না। বিশেষ করে নক আউট টুর্নামেন্টে। জিতেই আমরা সেমিফাইনাল যেতে চাই। অন্য কিছু মাথায় রাখছিই না।”
ধারাবাহিক ভাল খেলা ইচের আবার মন্তব্য, “বহু দিন মোহনবাগান ট্রফি পায়নি। আমরা সবাই এখানে ফেড কাপ জিততে মরিয়া। যদিও সেটা এখনও অনেক দূর। আপাতত প্রথম কাজ সালগাওকরকে হারিয়ে শেষ চারে যাওয়া।”
শেষ চারে যাওয়ার জন্য মঞ্জেরিতে বেঙ্গল তাকিয়ে অন্য দলের দিকে। কোচিতে বাগানের সমস্যা অন্য অনেকেই ধরে নিয়েছে ‘লাকি’ ফেড কাপ ফের গঙ্গাপাড়ের তাঁবুতে যাচ্ছে। কিন্তু বাস্তব হল, দু’ম্যাচ জিতে ছ’পয়েন্ট পেয়ে অ্যাডভান্টেজ বাগান হলেও সেমিফাইনালে চার্চিল ব্রাদার্সকে পাবে কি না এখনও নিশ্চিত নয়। “কে বলছে আমরাই চ্যাম্পিয়ন হব? এখনও তো সেমিফাইনাল উঠলাম না। মঙ্গলবার রাতে বোঝা যাবে আমরা কোথায় দাঁড়িয়ে। ইস্টবেঙ্গল এক পয়েন্ট পেয়ে এখনও শেষ চারে যেতে পারে। আমরা ছয় পয়েন্ট পেয়ে এখনও ছিটকে যেতে পারি। ফেড কাপের তো এটাই মজা,” বলে দিলেন কোচ করিম। |
|
তাঁর টিমের খেলা নিয়ে হইচই কাতসুমিদের মধ্যে আত্মতুষ্টি ঢুকে পড়তে পারে, সেই আতঙ্কে ভুগছেন বাগান কোচ। কিন্তু যাদের সঙ্গে মঙ্গলবার গ্রুপের শেষ ম্যাচ খেলবেন শিল্টন-প্রীতম কোটালরা সেই সালগাওকর কোচ ডেরিক পেরিরা কিন্তু বলছেন, “মোহনবাগান খুব ব্যালান্সড সাইড। ওদের হারিয়ে সেমিফাইনালে যাওয়া খুব কঠিন। তবে আমরা চেষ্টা করব।” দেশের অন্যতম শিক্ষিত কোচ ডেরেক স্বীকার করছেন, মোহনবাগান বদলে গিয়েছে। “ওদের টিমে ক্রিস্টোফার ঢোকার পর টিম অনেক শক্তিশালী হয়েছে।”
মাঝমাঠে কাতসুমিকে আটকাতে মার্কার লাগাবেন ঠিক করেছেন ডেরেক। তেমনই ওডাফা এবং ক্রিস্টোফারের গোল রুখতে স্ট্র্যাটেজি বদলাচ্ছে সালগাওকর। সম্ভবত সে জন্য আজ স্টেডিয়ামের বদলে অন্য একটা মাঠে অনুশীলন করালেন ডেরেক। দু’দলেরই অনুশীলন কোচি স্টেডিয়ামেই রেখেছিলেন সংগঠকরা। কিন্তু স্ট্র্যাটেজি দেখতে দেবেন না বলে ডারেল ডাফিদের নিয়ে অন্য মাঠে চলে যান সালগাওকর কোচ।
বাগান অবশ্য স্টেডিয়ামেই অনুশীলন করল। সেটপিস, ওয়ান টাচ অনুশীলন হল। দলে কোনও পরিবর্তন করছেন না করিম। শিলং লাজং-কে হাফডজন গোলে হারানো দলই রাখছেন বাগান কোচ।
কিন্তু ফেড কাপের পরিকাঠামো দেখে ক্ষিপ্ত জাতীয় কোচ উইম কোভারম্যান্স। কোচি এবং মঞ্জেরির মাঠ নিয়ে সরব না হলেও অনুশীলনের জঘন্য মাঠ নিয়ে ঘুরিয়ে তোপ দেগেছেন ফেডারেশনের বিরুদ্ধে। “আমাকে সবাই জিজ্ঞাসা করছে ভারত কবে বিশ্বকাপ খেলবে। আমি বলছি সেখানে যেতে গেলে অনেক ভাল পরিকাঠামো দরকার। না হলে কোনও দিনই স্বপ্ন সফল হবে না। অনুশীলনের মাঠ ভাল পরিকাঠামোরই অন্যতম অঙ্গ। ফেড কাপে যে মাঠে অনুশীলন করতে পাঠানো হচ্ছে দলগুলোকে তা খুবই খারাপ।” রীতিমতো সাংবাদিক সম্মেলন করে বলে দিলেন ডাচ কোচ।
গত কয়েক দিন কেরলে থাকার সময় ক্লাব কোচেদের সঙ্গে দফায় দফায় আলোচনা করেছেন কোভারম্যান্স। কেরের ফুটবল কর্তারা ফেড কাপের কোনও ক্লাবকেই অনুশীলনের জন্য পুরো মাঠ দিতে পারেনি। যা দেওয়া হয়েছে সেগুলোও খেলার অযোগ্য। কোথাও গরু চরে। কোথাও ঘাস নেই। তা নিয়ে সরব ছিলেন সব দলের কোচই। কিন্তু ফেডারেশন কর্তারা তাতে কান দেননি। এ দিন জাতীয় কোচ বোমা ফাটানোয় ফেডারেশনের টনক নড়ে কি না দেখার। জাতীয় কোচ এ দিন আরও জানান, ভারতীয় দলে নেওয়ার আগে আইএমজি-আরের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ রহিম নবি, সুব্রত পাল, গৌরমাঙ্গী সিংহদের আরও কিছু দিন দেখতে চান। “ফেড কাপে এদের দেখলাম। এ বার আই লিগে দেখব। তার পর সিদ্ধান্ত নেব। তবে ওদের নিয়ে সমস্যা অনেকটা কেটেছে।”
|
মোহনবাগানকে শেষ চারে যেতে হলে |
• শিলং লাজং যদি মুম্বই এফসি-কে হারিয়ে দেয় তা হলে সালগাওকরের বিরুদ্ধে হারলেও মোহনবাগান সেমিফাইনাল চলে যাবে।
• যদি শিলং লাজং-মুম্বই এফসি ম্যাচ অমীমাংসিত ভাবে শেষ হয় তা হলে সালগাওকরের সঙ্গে ড্র করলেই বাগান শেষ চারে।
• মুম্বই এফসি যদি শিলং লাজংয়ের বিরুদ্ধে জিতে যায় তা হলে সালগাওকরের কাছে হারলে ফেড কাপ থেকে ছিটকে যাবে মোহনবাগান। |
|
পুরনো খবর: কাপের কথা শুনলেই রেগে যাচ্ছেন করিম |
|
|
|
|
|