বিশ্বের সেরা একশোর দরজায় কড়া নাড়া শুরু করলেন অনির্বাণ লাহিড়ী!
রবিবার তাইল্যান্ডে কিংস কাপের তৃতীয় স্থান বাঙালি গল্ফারকে বিশ্ব র্যাঙ্কিংয়ে এক ধাক্কায় ১০৯ থেকে তুলে দিয়েছে ১০১ নম্বরে। যা এ পর্যন্ত অনির্বাণের কেরিয়ারের সেরা র্যাঙ্কিং।
সদ্য সমাপ্ত মরসুমের গোড়ায় সেল-এসবিআই ওপেন জয়। তারপর সেলাঙ্গর মাস্টার্স, ভেনেশিয়ান ম্যাকাও ওপেন এবং হিরো ইন্ডিয়ান ওপেনে রানার্স হওয়া। এবং শেষ টুর্নামেন্টে তৃতীয়। সব মিলিয়ে এ বার অবিশ্বাস্য একটা মরসুম গিয়েছে অনির্বাণের। যেখানে অগস্ট নাগাদ হাঁটুর চোট কিছু দিন ভোগালেও তাঁর ক্ষুরধার ফর্মে থাবা বসাতে পারেনি। আরও তিনটি টুর্নামেন্টে প্রথম দশে থাকার সুবাদে শুধু পুরস্কারমূল্যে (২১ টুর্নামেন্টে) অনির্বাণের উপার্জন দাঁড়িয়েছে ৫ লাখ ১৭ হাজার মার্কিন ডলার। যা তাঁর ২০১২ মরসুমের (১৯ টুর্নামেন্টে) ২ লাখ ৮৯ হাজার ডলার উপার্জনের দ্বিগুণের প্রায় কাছাকাছি। স্বাভাবিক ভাবেই গতবার এশীয় অর্ডার অব মেরিট তালিকায় দশে থাকা অনির্বাণ এ বার শেষ করেছেন তৃতীয় স্থানে।
অনির্বাণ নিজেও বলেছেন, “এটাই আমার কেরিয়ারের সেরা মরসুম। যে ভাবে উন্নতি করতে চাইছি, হচ্ছে। নিজের খেলার মানটাও অনেকটা বাড়িয়ে নিতে পেরেছি।” নতুন মরসুমে যে উন্নতির ধারাটা অব্যাহত রাখতে চান ছাব্বিশ বছরের তারকা। এবং তার জন্য নিজের খেলার পাশাপাশি ফিটনেসেও উন্নতি আনতে খাটার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
অনির্বাণের মতোই রবিবার আবু ধাবিতে এইএসবিসি গল্ফে দশম হওয়া গগনজিৎ ভুল্লারও বিশ্ব র্যাঙ্কিংয়ে বেশ কিছুটা উঠে এসেছেন। গগনজিৎ টুর্নামেন্টটা শুরু করেছিলেন বিশ্বের ১৫০ নম্বর হিসাবে। এ দিন প্রকাশিত র্যাঙ্কিংয়ে কপূরথালার ছেলে আছেন ১৪১ নম্বরে। তাঁর ছিক দু’ধাপ পিছনে ১৪৩ আর এক ভারতীয়, শিব কপূর। এশীয় অর্ডার অব মেরিট তালিকায় গগনজিৎ আছেন পাঁচে। শিব দশ নম্বরে। প্রথম পাঁচে থাকায় মার্চের ইউরোপ এবং এশিয়া ট্যুর অনুমোদিত প্রথম ইউরেশিয়া কাপেও অনির্বাণের সঙ্গে দেখা যেতে পারে গগনজিৎকে। ইউরেশিয়া কাপে এই প্রথম ইউরোপ বনাম এশিয়া মুখোমুখি টক্করে নামবেন দুই মহাদেশের সেরা দশ গল্ফার।
এ দিকে, এশিয়ার সেরা ৬০ জনে থেকে নতুন মরসুমে নিজেদের এশীয় ট্যুর কার্ড ধরে রাখলেন ভারতের আরও ছয় তারকা। যার মধ্যে কলকাতা থেকে আছেন শিবশঙ্কর প্রসাদ চৌরাসিয়া (১৬) এবং রাহিল গাঙ্গজি (২৯)। বাকিরা জ্যোতি রণধাওয়া, রশিদ খান, চিরাগ কুমার এবং হিম্মত সিংহ রাই। |