ছাত্র সংসদ নির্বাচনে সংঘর্ষ ঠেকাতে কাটোয়া কলেজ চত্বরে সিসিটিভি বা গোপন ক্যামেরা বসাল কলেজ কর্তৃপক্ষ। গত মাসে কাটোয়া কলেজে ছাত্র পরিষদ ও তৃণমূল ছাত্র পরিষদের মধ্যে কয়েক বার সংঘর্ষ হয়েছিল। তারপরে পড়ুয়াদের নিরাপত্তা মাথায় রেখে বেশ কিছুদিন কলেজ বন্ধ রাখা হয়েছিল। এরপরেই কাটোয়া থানা কলেজ চত্বরে সিসিটিভি বসানোর পরামর্শ দেয়। সেই পরামর্শ মেনে কলেজ পরিচালন সমিতি সিদ্ধান্ত নেয়, কলেজের মূল ভবনের সামনে বসানো হবে সিসিটিভি। আজ, মঙ্গলবার থেকে কাটোয়া কলেজে ছাত্র সংসদ নির্বাচন প্রক্রিয়া শুরু হচ্ছে। এ দিন সম্ভাব্য প্রার্থীরা মনোনয়ন পত্র তুলবেন। তার আগেই সিসিটিভি বসানোর কাজ শেষ হয়ে গিয়েছে।
কাটোয়া থানা সূত্রে জানা গিয়েছে, গত ডিসেম্বর মাসে ছাত্র সংঘর্ষের পর থেকে কাটোয়া কলেজ গেটে পুলিশ পাহারা দিচ্ছে। কিন্তু সারা বছর কলেজ গেটে নিরাপত্তা দেওয়া সম্ভব নয় বলেই কাটোয়ার পুলিশ কর্তারা কলেজ কর্তৃপক্ষকে সিসিটিভি বসানোর পরামর্শ দিয়েছিলেন। |
সিসিটিভি বসানোর সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে ছাত্র সংগঠনগুলি। ছাত্র পরিষদের কাটোয়ার নেতা শেখ সোলেমান বলেন, “আমরা এই সিদ্ধান্তকে প্রথম থেকেই স্বাগত জানিয়েছি। এর ফলে কারা কারা কলেজের ভিতর গোলমাল পাকাচ্ছে তা জানা যাবে।” টিএমসিপির বর্ধমান জেলার সহ সভাপতি শুভেন্দু দাসও সিসিটিভি বসানোর সিদ্ধান্তকে সাধুবাদ জানিয়েছেন।
কিন্তু কলেজে সিসিটিভি বসিয়ে ছাত্র সংঘর্ষ বন্ধ করা যাবে? কাটোয়া কলেজ কর্তৃপক্ষ মনে করে, এখনই সম্পূর্ণভাবে ছাত্র সংঘর্ষ বন্ধ করা সম্ভব নয়। কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ অনিন্দ্য বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “এখনও পর্যন্ত আটটি সিসিটিভি লাগানো হয়েছে। ছাত্র সংসদ নির্বাচন শেষ হয়ে গেলে আরও কিছু সিসিটিভি বসানো হবে। এর ফলে ছাত্র সংঘর্ষ হলে তাতে কারা যুক্ত সেটা অন্তত স্পষ্ট ভাবে জানা যাবে। এ ছাড়া বহিরাগতরা কলেজের ভিতরে ঢুকে অশান্তি পাকাচ্ছে কি না বোঝা যাবে সেটাও।”
|