সরস্বতী পুজোর ব্যবস্থাপনা নিয়ে পুজো মণ্ডপের কর্তাদের সঙ্গে বৈঠক হয়ে গেল পুলিশ প্রশাসনের। রবিবার শহরের মালঞ্চ হলের ওই বৈঠকে হাজির ছিলেন কালনার এসডিপিও ইন্দ্রজিৎ সরকার, সিআই রাকেশ মিশ্র, কালনা থানার ওসি দীপঙ্কর সরকার প্রমুখ। এছাড় উপ-পুরপ্রধান দেবপ্রসাদ বাগ, পূর্ত কর্মাধক্ষ সুনীল চৌধুরী ও দমকলের আধিকারিকেরাও হাজির ছিলেন।
ক্লাব কর্তাদের অভিযোগ, পুজোর জন্য অনুমতি পেতে প্রচুর ঝামেলা হয়। কখনও থানায়, কখনও দমকলে আবার কখনও মহকুমাশাসকের কার্যালয়ে যেতে হয়। এছাড়া টাকা দেওয়ার জন্য রাষ্ট্রায়ত্ব ব্যাঙ্ক থেকে ড্রাফট কাটারও ব্যাপার থাকে। সময় বাঁচাতে ‘ওয়ান উইনডো’ বা এক জানালা পদ্ধতি চালু করার কথা বলেন তাঁরা। এই পদ্ধতিতে এক জায়গা থেকেই সমস্ত অনুমতি মেলে। ওসি দীপঙ্করবাবু বলেন, “মহকুমাশাসকের কার্যালয়ে পুজো নিয়ে আরও একটি বৈঠক হবে। সেখানে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করা হবে।”
এই বৈঠকে ক্লাব কর্তারা সবচেয়ে বেশি ক্ষোভ উগড়ে দেন বিদ্যুত দফতরের বিরুদ্ধে। এক ক্লাব সদস্য শ্যামসুন্দর বৈরাগ্যের অভিযোগ, “পুজোর আগেই বিদ্যুত দফতর প্রত্যেক ক্লাবের কাছে আগাম টাকা জমা নিয়ে নেয়। নিয়মানুযায়ী যা বিল হয়েছে তা কেটে বাকি টাকা ফেরত দেওয়া কথা। কিন্তু গত বারের পাওনা টাকা এখনও মেলেনি।” অন্যান্যরাও তাঁর সঙ্গে সহমত হন। এছাড়া পুজোর সময় শহরে রিকশা যাতায়াত শিথিল করা, ভিড় নিয়ন্ত্রণে মণ্ডপে সিভিক পুলিশের ব্যবস্থা করারও দাবি ওঠে। এসডিপিও জানান, বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখা হচ্ছে। বৈঠকে দমকলের তরফে জানানো হয়, প্রতিটি মণ্ডপেই কমবেশি দাহ্য পদার্থ থাকে। তাই আগুন লাগার ব্যাপারে আগাম সতর্ক থাকতে হবে। প্রতিটি মণ্ডপেই পর্যাপ্ত জল ও বালি মজুত রাখার কথা বলা হয়। পুলিশের তরফে ক্লাব কর্তাদের জোরে মাইক না বাজানো, মণ্ডপের ৫০ মিটারের মধ্যে কোনও স্টল না রাখা, পুজো মণ্ডপের আশপাশে দাহ্য পদার্থ না রাখা, পানীয় জল ও প্রাথমিক চিকিৎসার ব্যবস্থা করার কথা বলা হয়। |