ধুন্ধুমার নয়, আজ
ভারতের শুরুটা জমাট চাই
জ থেকে আরও একটা অ্যাওয়ে সিরিজে নেমে পড়ছে ভারত। প্রতিপক্ষ নিউজিল্যান্ড আবার নেপিয়ারে প্রথম ম্যাচে নামছে টাটকা টাটকা ঘরের মাঠে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হারিয়ে ওঠার বাড়তি আত্মবিশ্বাস-সহ। টেস্টের তুলনায় এক দিনের ম্যাচে ওয়েস্ট ইন্ডিজ অনেক বেশি শক্তিশালী দল। তাদের বিরুদ্ধে হাড্ডাহাড্ডি সিরিজের পর ব্রেন্ডন ম্যাকালামরা এই মুহূর্তে রীতিমতো তেতে আছে। তবে এ বার ওদের টক্কর ভারতের সঙ্গে। যারা দক্ষিণ আফ্রিকায় যতই বিশ্রী হেরে থাকুক ধারে আর ভারে দল হিসাবে অনেক বেশি ওজনদার।
এটা ঠিক যে দক্ষিণ আফ্রিকায় এক দিনের সিরিজটায় ভারত দাঁড়াতেই পারেনি। কিন্তু বাজি ধরে বলতে পারি, সফর থেকে অভিজ্ঞতার ভাঁড়ার ভরিয়ে নিয়ে ফিরেছে আমাদের তরুণ ব্রিগেড। সাধারণত দেখা যায়, একটা দল কঠিন সিরিজ থেকে ফিরে সব সময় বেশি ভাল খেলে। আশা করি দক্ষিণ আফ্রিকায় পাওয়া শিক্ষাটা ভারতীয় দলের তরুণদেরও অনেক বেশি পরিণত ক্রিকেটার করে তুলেছে।
নিউজিল্যান্ড কেমন উইকেট তৈরি করেছে দেখা যাক। তবে উইকেট যেমনই হোক, ভারতকে পিচের চরিত্র বুঝে নিজেদের খেলা সাজাতে হবে। দক্ষিণ আফ্রিকায় ধোনির দলের ভরাডুবির পিছনে সবচেয়ে বড় কারণ ছিল শুরুতেই পরপর উইকেট হারিয়ে বসা। নিউজিল্যান্ডে অন্য রকম ফল চাইলে সবার আগে এই প্রবণতাটা কাটিয়ে উঠতে হবে। বিশেষ করে ভারতের প্রথম তিন ব্যাটসম্যানকে এখানকার কন্ডিশন অনুযায়ী নিজেদের ব্যাটিংয়ের ধরন বদলাতেই হবে।

রোহিত-ধবন। শুরুটা ‘জমাট’ করতে গেলে এই দু’জনই প্রধান ভরসা।
শিধর ধবন, রোহিত শর্মারা দক্ষিণ আফ্রিকার ব্যর্থতা থেকে ঠিক কতটা শিখতে পেরেছে সেটা দেখার জন্য আমাদের অপেক্ষা করা ছাড়া উপায় নেই। তবে আমি মনে করি, এই সিরিজে ভারতের শুরুটা ধুন্ধুমার হওয়া একেবারেই জরুরি নয়। তার বদলে প্রতি ম্যাচে ওপেনারদের জমাট শুরু করে দলকে মজবুত ভিতের উপর দাঁড় করানোর দায়িত্ব নিতে হবে। যাতে শেষের পঁয়ত্রিশ ওভারে হাতে উইকেট নিয়ে খেলা যায়। এটা হলেই জেতার জায়গায় থাকবে ভারত। সেটা রান গড়াই হোক বা তাড়া করে হোক। নিউজিল্যান্ডের মাঠগুলো বড় নয়। তাই শেষের দিকে ওঠা প্রতিটা রানের কিন্তু আলাদা মূল্য থাকবে।
আজ ভারত কী কম্বিনেশন নামায় সেটা গুরুত্বপূর্ণ। মিডল অর্ডারে গভীরতার জন্য দক্ষিণ আফ্রিকায় ভাল ফর্মে থাকায় অজিঙ্ক রাহানের দিকেই তাকিয়ে থাকবে ধোনি। অজিঙ্ক চার নম্বরে নামা মানে ধোনি আর সুরেশ রায়না পরে নেমে পুরনো বলটা খেলার সুযোগ পাবে। ফলে অনেক বেশি ফ্রি ব্যাট করতে পারবে ওরা। ধোনি আট নম্বরে স্টুয়ার্ট বিনিকে আনে কি না, দেখতে চাই। ছেলেটা বলটাও পারে। পিচে ঘাস থাকলে কিন্তু স্টুয়ার্টের বোলিং যথেষ্ট কাজে আসবে ভারতের। স্পিন বিভাগে ধোনির এক নম্বর পছন্দ অবশ্যই রবীন্দ্র জাডেজা। দলে এক স্পিনার রাখলে জাডেজাই খেলবে বলে মনে হয়। তবে চাইব, পিচ দেখার পরেই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিক ধোনি।
আগেই বলেছি নিজেদের ঘরের মাঠে ব্ল্যাক ক্যাপরা একেবারে অন্য শক্তি। তার উপর জেসি রাইডার এই মুহূর্তে দারুণ ফর্মে। ভারতের বিরুদ্ধে ওর রেকর্ডও দুর্দান্ত। শুধু জেসি একাই নয়, নিউজিল্যান্ড ব্যাটিংয়ে যথেষ্ট গভীরতা রয়েছে। সঙ্গে ওদের তরুণ পেসার অ্যাডাম মিলনেকে নিয়েও অনেক কথা শুনছি। ছেলেটা ভারতে একটা ম্যাচ খেলেছিল। তবে ভারতীয় পিচে বল করা আর নিউজিল্যান্ডের পিচে বল করা একেবারে দু’টো আলাদা ব্যাপার। সব মিলিয়ে লড়াই জমবে বলেই মনে হচ্ছে।

আজ টিভিতে
প্রথম ওয়ান ডে-তে মুখোমুখি ভারত ও নিউজিল্যান্ড (সোনি পিক্স, সকাল ৬-৩০)

পুরনো খবর:




First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.