রোহিত-ধবন। শুরুটা ‘জমাট’ করতে গেলে এই দু’জনই প্রধান ভরসা। |
শিধর ধবন, রোহিত শর্মারা দক্ষিণ আফ্রিকার ব্যর্থতা থেকে ঠিক কতটা শিখতে পেরেছে সেটা দেখার জন্য আমাদের অপেক্ষা করা ছাড়া উপায় নেই। তবে আমি মনে করি, এই সিরিজে ভারতের শুরুটা ধুন্ধুমার হওয়া একেবারেই জরুরি নয়। তার বদলে প্রতি ম্যাচে ওপেনারদের জমাট শুরু করে দলকে মজবুত ভিতের উপর দাঁড় করানোর দায়িত্ব নিতে হবে। যাতে শেষের পঁয়ত্রিশ ওভারে হাতে উইকেট নিয়ে খেলা যায়। এটা হলেই জেতার জায়গায় থাকবে ভারত। সেটা রান গড়াই হোক বা তাড়া করে হোক। নিউজিল্যান্ডের মাঠগুলো বড় নয়। তাই শেষের দিকে ওঠা প্রতিটা রানের কিন্তু আলাদা মূল্য থাকবে।
আজ ভারত কী কম্বিনেশন নামায় সেটা গুরুত্বপূর্ণ। মিডল অর্ডারে গভীরতার জন্য দক্ষিণ আফ্রিকায় ভাল ফর্মে থাকায় অজিঙ্ক রাহানের দিকেই তাকিয়ে থাকবে ধোনি। অজিঙ্ক চার নম্বরে নামা মানে ধোনি আর সুরেশ রায়না পরে নেমে পুরনো বলটা খেলার সুযোগ পাবে। ফলে অনেক বেশি ফ্রি ব্যাট করতে পারবে ওরা। ধোনি আট নম্বরে স্টুয়ার্ট বিনিকে আনে কি না, দেখতে চাই। ছেলেটা বলটাও পারে। পিচে ঘাস থাকলে কিন্তু স্টুয়ার্টের বোলিং যথেষ্ট কাজে আসবে ভারতের। স্পিন বিভাগে ধোনির এক নম্বর পছন্দ অবশ্যই রবীন্দ্র জাডেজা। দলে এক স্পিনার রাখলে জাডেজাই খেলবে বলে মনে হয়। তবে চাইব, পিচ দেখার পরেই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিক ধোনি।
আগেই বলেছি নিজেদের ঘরের মাঠে ব্ল্যাক ক্যাপরা একেবারে অন্য শক্তি। তার উপর জেসি রাইডার এই মুহূর্তে দারুণ ফর্মে। ভারতের বিরুদ্ধে ওর রেকর্ডও দুর্দান্ত। শুধু জেসি একাই নয়, নিউজিল্যান্ড ব্যাটিংয়ে যথেষ্ট গভীরতা রয়েছে। সঙ্গে ওদের তরুণ পেসার অ্যাডাম মিলনেকে নিয়েও অনেক কথা শুনছি। ছেলেটা ভারতে একটা ম্যাচ খেলেছিল। তবে ভারতীয় পিচে বল করা আর নিউজিল্যান্ডের পিচে বল করা একেবারে দু’টো আলাদা ব্যাপার। সব মিলিয়ে লড়াই জমবে বলেই মনে হচ্ছে। |