চার দিনের জন্য জেলে গেলেন তৃণমূলের এক ব্লক সভাপতি। ছ’বছর আগে রেশন-রোষের সময় এক রেশন ডিলারের বাড়িতে ও দোকানে হামলায় অভিযুক্ত তৃণমূলের পাত্রসায়র ব্লক সভাপতি স্নেহেশ মুখোপাধ্যায় শুক্রবার বিষ্ণুপুর আদালতে আত্মসমর্পণ করেন। বিষ্ণুপুর আদালতের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা বিচারক দুর্গা খৈতান তাঁর জামিনের আবেদন খারিজ করে দিয়ে চার দিন জেলহাজতে রাখার নির্দেশ দেন। ২১ জানুয়ারি তাঁকে ফের আদালতে তোলা হবে।
বাঁকুড়ার পুলিশ সুপার মুকেশ কুমার বলেন, “সম্প্রতি আদালত ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছিল। তাঁকে দীর্ঘদিন ধরে খোঁজা হচ্ছিল। কিন্তু ধরা যায়নি। আত্মসমর্পণের আগাম খবর আমাদের কাছে ছিল না।” |
আত্মসমর্পণের পরে।—নিজস্ব চিত্র। |
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০০৭ সালের ৫ নভেম্বর পাত্রসায়রের হামিরপুর গ্রামের বাসিন্দা রেশন ডিলার নেপাল পাত্রের দোকান ও বাড়িতে হামলা চালায় একদল দুষ্কৃতী। ওই ঘটনায় নেপালবাবুর ছেলে সঞ্জয় পাত্র তৃণমূল নেতা স্নেহেশ মুখোপাখ্যায় সহ-২৯ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছিলেন। ওই ঘটনায় তিনি জড়িত না থাকা সত্ত্বেও সিপিএমের অঙ্গুলিহেলনে তাঁর বিরুদ্ধে ওই রেশন ডিলারের ছেলে মিথ্যা অভিযোগ করেছেন বলে দাবি করেন স্নেহেশবাবু। পরে অবশ্য কলকাতা হাইকোর্ট থেকে তিনি জামিন পান। কিন্তু তার পর দীর্ঘ দিন ধরে স্নেহেশবাবু ওই মামলায় গরহাজির ছিলেন। সম্প্রতি বিষ্ণুপুর আদালত তাঁর বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করে। সেই মামলাতেই স্নেহেশবাবু এ দিন বিষ্ণুপুর আদালতে আত্মসমর্পণ করেন।
স্নেহেশবাবুর অনুগামী পাত্রসায়র পঞ্চায়েত সমিতির পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ সুচাঁদ দাস বলেন, “সিপিএম বিরোধী রাজনীতি করার জন্যই স্নেহেশদার নাম ওই ঘটনায় জড়িয়ে দিয়ে মিথ্যা অভিযোগ দায়ের করিয়েছিল সিপিএম। পুলিশ নিরপেক্ষ তদন্ত করলেই সত্য প্রকাশ হত।” তৃণমূলের বাঁকুড়া জেলা সভাপতি অরূপ খাঁয়ের দাবি, “আমাদের দলের বহু নেতা কর্মীকে সিপিএম একের পর এক মিথ্যা অভিযোগ করে ফাঁসিয়েছে। স্নেহেশের বিরুদ্ধেও সিপিএম মিথ্যা অভিযোগ করিয়েছিল। ওই ঘটনায় স্নেহেশ কোনও ভাবেই জড়িত নয়।” এ দিন আদালত থেকে বেরিয়ে ‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জিন্দাবাদ’ স্লোগান দিতে দিতেই প্রিজন ভ্যানে ওঠেন ওই তৃণমূল নেতা। |