|
|
|
|
এসএফআই-টিএমসিপি সংঘর্ষ চাঁইপাট কলেজে
নিজস্ব সংবাদদাতা • ঘাটাল |
মনোনয়নপত্র পরীক্ষা চলাকালীন তৃণমূল ছাত্র পরিষদ (টিএমসিপি) ও এসএফআইয়ের সংঘর্ষে রণক্ষেত্রের চেহারা নিল দাসপুরের চাঁইপাট কলেজ। শুক্রবার দুপুরের এই সংঘর্ষে দু’পক্ষের ১০ জন আহত হন। মারধরে জখম হন এক শিক্ষকও। কলেজের মূল গেটে তালা দিয়ে দেওয়ায় শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীরা প্রায় তিন ঘণ্টা কলেজে আটকে থাকেন। পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
ঘটনায় এসএফআই ও টিএমসিপি পরস্পরের বিরুদ্ধে অভিযোগের আঙুল তুলেছে। প্রতিবাদে চাঁইপাট-সুলতাননগর সড়ক অবরোধ করেন এসএফআই সমর্থকরা। পরে দাসপুর থানা থেকে পুলিশ বাহিনী গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। কলেজের অধ্যক্ষ দেবাশিস সর্দার বলেন, “আমরা কলেজের দো’তলায় মনোনয়নপত্র পরীক্ষার কাজে ব্যস্ত ছিলাম। আচমকা ভাঙচুর ও চিৎকারের শব্দ শুনতে পাই। বেরিয়ে দেখি মারপিট চলছে। পরিস্থিতি দেখে পুলিশকে ডাকি।” অধ্যক্ষের বক্তব্য, “ঘটনায় কে বা কারা জড়িত তা আমি বলতে পারব না। তবে কলেজে ভাঙচুর হয়েছে, ইতিহাসের শিক্ষক রামপদ মাইতি গুরুতর জখম হয়েছেন।”
দুই মেদিনীপুরের সব কলেজে ছাত্র সংসদ নির্বাচন আগামী ২৮ জানুয়ারি। মনোনয়ন পর্ব শুরু হতেই নানা কলেজে গোলমাল শুরু হয়েছে। ঘাটাল মহকুমার চারটি কলেজের মধ্যে এক মাত্র চাঁইপাট কলেজেই এসএফআই মনোনয়ন জমা দিয়েছে। ১৫টি আসনে প্রার্থী রয়েছে তাদের। এসএফআইয়ের দাসপুর জোনাল সম্পাদক বিমল দাস বলেন, “পুলিশের উপস্থিতিতেই গণ্ডগোল হয়েছে। ভোট পণ্ড করতে মনোনয়ন পত্র ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টাও করে ওরা।” বিমলবাবুর মতে, “আমাদের সংগঠন ওখানে ভাল। তা টিএমসিপি তা সহ্য করতে না পেরে হিংসার রাজনীতি করে কলেজের পরিবেশটাই নষ্ট করে দিল।” টিএমসিপি-র পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা সভাপতি রমাপ্রসাদ গিরির পাল্টা অভিযোগ, “চাঁইপাট কলেজে আমাদের মহিলা সহ-সংগঠনের সদস্যদের মারধর করা হয়। প্রতিবাদ করলে এসএফআই কলেজ থেকে সবাইকে বের করে কলেজে ভাঙচুর চালায়, তালা দেয়।”
অন্য দিকে, ছাত্রভোটে তৃণমূলের অন্তর্দ্বন্দ্ব বজায় থাকল বেলদায়। তৃণমূল জেলা পরিষদের কর্মধ্যক্ষ-সহ ৩ জনের বিরুদ্ধে মারধরের অভিযোগ তুললেন দলেরই পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য। শুক্রবার সকালে নারায়ণগড় ব্লকের বেলদা থানায় অভিযোগ দায়ের হয়। অভিযোগ, বৃহস্পতিবার রাতে বেলদার সুভাষপল্লিতে জেলা পরিষদ কর্মাধ্যক্ষ সূর্য অট্ট, পঞ্চায়েত সদস্য অলোক রায়-সহ তিন জনের হাতে আক্রান্ত হন পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য কেশব দে ও স্থানীয় নেতা মদনমোহন রায়। অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে দাবি সূর্য অট্টের। |
|
|
|
|
|