|
|
|
|
ধর্ষণে ধৃত পুলিশ হেফাজতে
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
গণধর্ষণের ঘটনায় ধৃত যুবকের ফের ৫ দিনের পুলিশ হেফাজত হল। প্রথম পর্যায়ের পুলিশ হেফাজতের মেয়াদ শেষে শুক্রবার তাকে মেদিনীপুর সিজেএম আদালতে হাজির করা হয়। পুলিশের পক্ষ থেকে ফের ওই যুবককে নিজেদের হেফাজতে চেয়ে আবেদন করা হয়েছিল। আদালত সেই আবেদন মঞ্জুর করেছে। গত ৭ জানুয়ারির ঘটনা। ওই দিন আদালত চত্বরের সামনে থেকে ওই যুবতীকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে তাঁকে ধর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ। ঘটনার কথা জানার পর ওই দিন রাতে ধর্ষিতা তরুণীর মা মেদিনীপুর কোতয়ালি থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগের প্রেক্ষিতে তদন্ত শুরু হয়। ৮ জানুয়ারি মঙ্গল দাস নামে এক অভিযুক্তকে গ্রেফতারও করে পুলিশ। আদালতে হাজির করা হলে তার পুলিশ হেফাজত হয়। অভিযোগ অনুযায়ী, ঘটনার সঙ্গে আরও দু’জন যুবক জড়িত। দেড় সপ্তাহ ঘুরেছে। অথচ, বাকি অভিযুক্তদের এখনও গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। কেন বাকি অভিযুক্তদের গ্রেফতার করা সম্ভব হল না, ইতিমধ্যে সেই নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। যদিও পুলিশ এ ব্যাপারে কিছু বলতে নারাজ। তাদের বক্তব্য, তদন্ত চলছে। খুব শীঘ্রই কিনারা করা সম্ভব হবে। ঘটনার পর থেকে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন ওই তরুণী। গত বুধবার হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়ে মেদিনীপুর আদালতে গোপন জবানবন্দি দেন তিনি। পুলিশ সূত্রে খবর, ধৃত যুবকের কাছ থেকে একটি মোবাইল এবং একটি মোটর সাইকেল বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। প্রথম পর্যায়ে ৮ দিনের পুলিশ হেফাজত হয়েছিল। পুলিশ হেফাজতের মেয়াদ শেষে শুক্রবার তাকে ফের মেদিনীপুর সিজেএম আদালতে হাজির করা হয়। সরকারপক্ষের আইনজীবী সৈয়দ নাজিম হাবিব জানান, ওই যুবককে ফের ২২ জানুয়ারি আদালতে হাজির করার নির্দেশ হয়েছে। |
|
|
|
|
|