কলেজ নির্বাচন ঘিরে তৃণমূলের দ্বন্দ্ব বেলদায়
লেজ নির্বাচন ঘিরেও তৃণমূলের অন্তর্দ্বন্দ্ব বজায় থাকল বেলদায়। তৃণমূল জেলা পরিষদের কর্মধ্যক্ষ-সহ ৩ জনের বিরুদ্ধে মারধরের অভিযোগ তুললেন দলেরই পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য। শুক্রবার সকালে নারায়ণগড় ব্লকের বেলদা থানায় ওই অভিযোগ দায়ের হয়। অভিযোগ, বৃহস্পতিবার রাতে বেলদার সুভাষপল্লিতে জেলা পরিষদ কর্মাধ্যক্ষ সূর্য অট্ট, পঞ্চায়েত সদস্য অলোক রায়-সহ তিন জনের হাতে আক্রান্ত হন পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য কেশব দে ও স্থানীয় নেতা মদনমোহন রায়। অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে উড়িয়ে দিয়েছেন সূর্য অট্ট।
নারায়ণগড়ে তৃণমূল ব্লক সভাপতি মিহির চন্দ ও জেলা পরিষদ কর্মাধ্যক্ষ সূর্য অট্টের বিরোধ কারও অজানা নয়। গত জানুয়ারিতে এলাকায় সভা করতে এসে দুই গোষ্ঠী সতর্ক পর্যন্ত করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

শুক্রবার বেলদায় যুব তৃণমূলের মহামিছিল। —নিজস্ব চিত্র।
তারপরেও বিরোধ মেটেনি। কলেজ নির্বাচন ঘিরে সেই বিবাদই ফের প্রকাশ্যে এল। এ বার বেলদা কলেজের কমার্স বিভাগ বাদে ৩৫টি আসনে মিহির-অনুগামী ৩৩ জন মনোনয়ন দিয়েছেন। সূর্য গোষ্ঠীর তরফে মনোনয়ন জমা পড়েছে ৩৪টি। বৃহস্পতিবার মনোনয়ন জমা শেষ হয়। তারপর রাত সাড়ে ১০টা নাগাদ একই মোটরসাইকেলে কলেজ সংলগ্ন এলাকা দিয়ে যাচ্ছিলেন কেশব দে ও মদনমোহন রায়। তখনই সূর্য অট্ট, গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্য অলোক রায় ও তৃণমূল সমর্থক কৃষ্ণেন্দু মাইতি তাঁদের পথ আটকান বলে অভিযোগ। দু’পক্ষের হাতাহাতি বাধে। কেশববাবুর অভিযোগ, “কৃষি মেলা শেষে বাড়ি ফিরছিলাম। কলেজ নির্বাচনের আগে সন্ত্রাস সৃষ্টি করতে সূর্য অট্টরা আমাদের উপর ধারালো অস্ত্র নিয়ে চড়াও হয়। জামা ছিঁড়ে দেয়।” সূর্যবাবু অবশ্য বলেন, “কী ঘটেছে জানি না। রাতে আমি বাড়িতেই ছিলাম।” এ প্রসঙ্গে তৃণমূল ব্লক সভাপতি মিহিরবাবুর বক্তব্য, “নিন্দনীয় ঘটনা। দলের রাজ্য নেতৃত্বকে জানানো হবে। তাঁরা নিশ্চয়ই ব্যবস্থা নেবেন।”


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.