যাত্রীদের আশঙ্কাই সত্যি হল। সৌন্দর্যায়নের পর চার মাস কাটতে না কাটতেই হতশ্রী চেহারা নিয়েছে যাদবপুর এইটবি বাসস্ট্যান্ড। অভিযোগ, সৌন্দর্যায়নের কাজ শেষ হওয়ার কয়েক মাস পরেও নিরাপত্তাকর্মী না থাকায় বাসস্ট্যান্ডের এমন দুর্দশা। প্রশাসনের প্রতিশ্রুতি ছিল এখানে নিরাপত্তাকর্মী রাখা হবে।
নিত্যযাত্রীদের অভিযোগ, সুসজ্জিত যাত্রীশেডে কোথাও কাচ ভাঙা, কোথাও বৈদ্যুতিক পাখা দুমড়ে-মুচড়ে রয়েছে। যাত্রী ছাউনির পাশে ছড়ানো-ছেটানো থাকে আবর্জনা। তাঁদের আশঙ্কা রক্ষণাবেক্ষণের ব্যবস্থা না হলে ক্রমশই হাল খারাপ হবে যাদবপুর এইটবি বাসস্ট্যান্ডের।
|
দীর্ঘ দিন ধরে বেহাল অবস্থায় ছিল যাদবপুর এইটবি বাসস্ট্যান্ড।
গত সেপ্টেম্বর মাসে কয়েক লক্ষ টাকা ব্যয়ে এইটবি বাসস্ট্যান্ডের সংস্কারের কাজ শুরু করেছিল রাজ্য পরিবহণ দফতর। এই কাজের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল হুগলি রিভার ব্রিজ কমিশনার্সকে (এইচআরবিসি)।
যাদবপুর এইটবি বাসস্ট্যান্ড থেকে এস৩১, এস৯, ই১ এই তিনটি রুটের বাস ছাড়ে। কয়েক মাস আগে এই বাসস্ট্যান্ডেই যাত্রীদের জন্য তিনটি ছাউনি তৈরি করা হয়েছিল। রঙিন ছবি দিয়ে সাজানো হয়েছিল যাত্রী শেডের দেওয়াল। যাত্রীদের জন্য বসানো হয়েছিল চেয়ার। শেডের মেঝেতে বসানো হয়েছিল টাইলস। প্রকল্পে ব্যয় হয়েছিল পৌনে ছয় লক্ষ টাকা।
সৌন্দর্যায়ন প্রকল্প চলাকালীনই এলাকার বাসিন্দা এবং নিত্য যাত্রীদের আশঙ্কা ছিল রক্ষণাবেক্ষণের ঠিক মতো না হলে কয়েকমাসের মধ্যেই এইটবি বাসস্ট্যান্ডের সৌন্দর্যায়ন মুখ থুবড়ে পড়বে। বাসিন্দা এবং নিত্যযাত্রীদের এই আশঙ্কার কারণ ছিল উন্মুক্ত এইটবি বাসস্ট্যান্ডে শুধু যাত্রীরাই নয় অনেক বাহিরাগত এবং ভবঘুরেদের অবাদ বিচরণ। |
নিত্যযাত্রী রঙ্গন দেবনাথ বলেন, “এক সময়ে খোলা আকাশের নীচে এই বাসস্ট্যান্ডে অপেক্ষা করতে হত। যাত্রী ছাউনিগুলো তৈরি হওয়ার পরে আমাদের সুবিধাই হয়েছে। কিন্তু এই সব ছাউনির রক্ষণাবেক্ষণ হচ্ছে না।
ফলে যাত্রীদের আবার সেই পুরনো সমস্যার সম্মুখীন হওয়ার আশঙ্কা থাকছেই।”
এইটবি বাসস্ট্যান্ডের সৌন্দর্যায়নের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে পরিবহণমন্ত্রী মদন মিত্র জানিয়েছিলেন সৌন্দর্যায়ন যাতে নষ্ট না হয় তার জন্য এই বাসস্ট্যান্ডে নিরাপত্তা কর্মীর ব্যবস্থা করা হবে।
কিন্তু এত দিনেও কোনও নিরাপত্তাকর্মী চোখে পড়েনি নিত্যযাত্রী এবং এলাকার বাসিন্দাদের।
কেন এমন হল? এই প্রশ্নের উত্তরে পরিবহণমন্ত্রী মদন মিত্র বলেন, “খুব শীঘ্রই এইটবি বাসস্ট্যান্ডে নিরাপত্তা কর্মী নিয়োগ করা হবে। টেন্ডার ডাকা হয়েছে।” |