জুনিয়র থেকে মাধ্যমিক স্তরে উন্নীত হয়েছে বছর তিনেক আগেই। কিন্তু তার জন্য বরাদ্দ একজনও শিক্ষক মেলেনি এখনও। এর ফলে কার্যত জোড়াতালি দিয়ে চলছে ময়ূরেশ্বরের রাধানগর হাইস্কুল। ফল ভোগ করতে হচ্ছে ছাত্রছাত্রীদের।
শিক্ষা দফতর ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ১৯৮০ সালে প্রতিষ্ঠিত ওই জুনিয়র হাইস্কুলটি ২০১১ সালে মাধ্যমিকে উন্নীত হয়। মাধ্যমিক স্তরে পঠন-পাঠনের জন্য বরাদ্দ হয় চার জন শিক্ষক। কিন্তু আজও ওই সব পদে কাউকে পাঠানো হইনি। এমনকী জুনিয়র স্তরের জন্য অনুমোদিত আরও সাতটি শিক্ষক পদ পুরণের কোনও ব্যবস্থাই করা হইনি বলে স্কুল কর্তৃপক্ষের অভিযোগ। তার উপরে বছর দেড়েক ধরে ফাঁকা রয়েছে প্রধান শিক্ষকের পদটিও। এর ফলে চরম ডামাডোল চলছে ওই স্কুলে।
স্কুল সুত্রে জানা গিয়েছে, বর্তমানে ৮৫৬ জন ছাত্রছাত্রী রয়েছে। ৮ জন স্থায়ী শিক্ষক এবং ৩ জন পার্শ্বশিক্ষক রয়েছেন। পার্শ্বশিক্ষকেরা সপ্তাহে চার দিন স্কুল করেন। স্কুলের মোট শ্রেণির সংখ্যা দশটি। এই পরিস্থিতিতে স্কুল চালাতে হিমশিম খেতে হয় শিক্ষকদের। সহকারী শিক্ষক মহম্মদ মকরম আলি বলেন, “শিক্ষক সঙ্কটের কারণে, দু’টি বিভাগকে একত্রে বসিয়ে পড়াতে হয়। এই পরিস্থিতিতে সমস্যায় পড়তে হয় ছাত্রছাত্রীদের।” সপ্তম শ্রেণির ছাত্রী পারভিন সুলতানা, অষ্টম শ্রেণির ছাত্র রফিক শেখদের কথায়, “একত্রে পঠন-পাঠনের ফলে স্কুলে শিক্ষকদের পড়ানো শোনা যায় না বললেই চলে।” স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মানিকচন্দ্র মণ্ডল বলেন, “আমাকে মিড-ডে মিল দেখভাল করা-সহ প্রশাসনিক কাজও সামাল দিতে হয়। এক সঙ্গে এক কাজ করতে গিয়ে আরও সমস্যা হয়। তখন কোনও রকমে জোড়াতালি দিয়ে স্কুল চালাতে হয়।” স্কুল পরিচালন সমিতির সম্পাদক শাহজামাল শেখ বলেন, “শূন্য শিক্ষক পদ পূরণের জন্য আমরা বার বার জেলা শিক্ষা দফতরের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছি। কিন্তু কোনও লাভ হইনি।” এ দিকে, জেলা স্কুল পরিদর্শক (মাধ্যমিক) আসরাফ আলি মির্জার কথায়, “স্কুলের শিক্ষক নিয়োগের ব্যাপারটি স্কুল সার্ভিস কমিশনের এক্তিয়ারভুক্ত। আমরা স্কুল কর্তৃপক্ষের আবেদন অনুযায়ী সুপারিশ করতে পারি মাত্র। এখানে তাই করা হয়েছে। এর পরে স্কুল সার্ভিস কমিশন যা করার করবে।” |