সর্ষেখেতে মহিলার দেহ উদ্ধারের ঘটনায় গোপন জবানবন্দি নেওয়া হল তাঁর বছর পাঁচেকের ছেলের। শুক্রবার শিশুটি ছাড়াও কাটোয়া এসিজেএম বিচারকের কাছে গোপন জবানবন্দি দেন মৃতার মা ও স্থানীয় এক বাসিন্দা।
বর্ধমানে কাটোয়ার সিপাইদিঘি মোড় থেকে কিছুটা দূরে বৃহস্পতিবার সকালে সাবিনা বিবি (৩৫) নামে ওই মহিলার দেহের পাশে বসে কাঁদছিল শিশুটি। পুলিশকে সে জানায়, মুর্শিদাবাদ থেকে মায়ের সঙ্গে কাটোয়া এসেছিল সে। সঙ্গে ছিল এক ‘কাকু’। স্টেশনের সামনে থেকে বাস ধরে কিছু দূরে গিয়ে নামে তারা। তখন চারপাশ অন্ধকার ছিল। মা তাকে ঘুমিয়ে পাড়িয়ে দেন। ঘুম ভেঙে সে দেখে, মা ঘুমোচ্ছে। ডেকেও সাড়া মেলেনি। সাবিনাকে শ্বাসরোধ করে খুন করা হয়েছে বলে পুলিশ জানায়।
পুলিশ সূত্রে খবর, বৃহস্পতিবার দুপুর থেকে নানা ভাবে কথা বলা হয় শিশুটির সঙ্গে। এ দিন সাবিনার মা মমতা বেওয়া, দিদিমা বানু বেওয়া ও মামা আলি হোসেন মুর্শিদাবাদের নিয়াল্লিশপাড়া হল্ট স্টেশন লাগোয়া বহড়া গ্রাম থেকে কাটোয়ায় এসে পৌঁছন। দিদিমা মমতা বেওয়ার কোলে ঝাঁপিয়ে পড়ে শিশুটি বলে, “মা হাসপাতালে। মা মরে গিয়েছে।” এর পরে সারা দিন শিশুটি কখনও পুলিশের দেওয়া লাল বল নিয়ে থানা চত্বরে ছুটে বেড়িয়েছে, কখনও আবার পুলিশকর্মীদের সঙ্গে বসে চা খেয়েছে।
পুলিশ জানায়, বছরখানেক আগে বিবাহ বিচ্ছেদের পর থেকে মামার বাড়িতে থাকতেন সাবিনা। মঙ্গলবার বিকেলে বহরমপুরের কাছে রানিনগরে দিদির বাড়ি যাবেন বলে কয়েক হাজার টাকা ও ছেলেকে নিয়ে বাড়ি থেকে বেরোন সাবিনা। তাঁর মামা আলি হোসেনের দাবি, “সেই রাতে সাবিনা ফোনে জানায়, সে কাটোয়া পৌঁছেছে। এখানে এক যুবককে বিয়ে করবে বলে জানায়।” সাবিনার পরিজনেরা ওই যুবকের নাম নির্দিষ্ট করে জানাতে পারেননি। যে কয়েকটি নাম তাঁরা বলেছেন, তার ভিত্তিতে খোঁজ হচ্ছে। আদালতে জবানবন্দির পরে দেহ নিয়ে মুর্শিদাবাদ রওনা হন পরিজনেরা। |