|
|
|
|
আদালতে গোপন জবানবন্দি তরুণীর
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
হাসপাতাল থেকে ছাড়া পাওয়ার পর মেদিনীপুর আদালতে গোপন জবানবন্দি দিলেন বেলদার সেই তরুণী। মেদিনীপুর শহরের ব্যস্ততম এলাকা থেকে ওই তরুণীকে তুলে নিয়ে গিয়ে গণধর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ ছিল। ওই ঘটনায় জড়িতদের কঠোর শাস্তির দাবিতে সরব হয় বিভিন্ন মহল। ঘটনার পর থেকে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন ওই তরুণী। বুধবারই তিনি হাসপাতাল থেকে ছাড়া পান। দুপুরে মেদিনীপুর আদালতের দ্বিতীয় বিচার বিভাগীয় ম্যাজিস্ট্রেট শর্মিষ্ঠা ঘোষের কাছে গোপন জবানবন্দি দেন তিনি। পুলিশের গাড়িতে করেই আদালতে এসেছিলেন ওই তরুণী। পুলিশ সূত্রে খবর, ধর্ষিতা তরুণী নিজের বাড়িতে ফিরে গিয়েছেন।
অন্য দিকে, ওই তরুণী এবং তাঁর পরিবারের লোকজনের সঙ্গে দেখা করতে বুধবার মেদিনীপুরে এসেছিল বিশিষ্টজনদের এক প্রতিনিধি দল। দলে ছিলেন রাজ্য মহিলা কমিশনের প্রাক্তন সদস্য তথা আইনজীবী ভারতী মুৎসুদ্দি, কবি মন্দাক্রান্তা সেন। ঠিক ছিল, ওই প্রতিনিধি দল দুপুরে হাসপাতালে গিয়ে তরুণীর সঙ্গে দেখা করবে। পরে মেদিনীপুর কোতয়ালি থানায় এসে গণধর্ষণের ঘটনায় জড়িতদের কঠোর শাস্তির দাবি জানাবে। কিন্তু, প্রতিনিধি দলের সদস্যরা এ দিন শহরে পৌঁছনোর পর জানতে পারেন, তরুণী মেদিনীপুর মেডিক্যাল থেকে ছাড়া পেয়ে গিয়েছেন। এ দিন দুপুরে মেদিনীপুর আদালতে তিনি গোপন জবানবন্দি দেবেন। সেই মতো ভারতীদেবীরা দুপুরে মেদিনীপুর আদালতে আসেন। ওই তরুণী বিশিষ্টজনেদের সঙ্গে কথা বলতে চাননি। তবে, তাঁর মা কথা বলেছেন। জানা গিয়েছে, তরুণীর মা পরিবারের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন। কেন তাঁরা মেদিনীপুরে এসেছেন, তা জানাতে গিয়ে ভারতীদেবী বলেন, “কিছু দিন ধরে খবর পাচ্ছিলাম, মেদিনীপুর শহরে গণধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। কোর্ট চত্ত্বর থেকে একটি মেয়েকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। কিন্তু, তাঁর সঙ্গে কেউ দেখা করতে পারছে না। অপরাধ দমনে পুলিশের কোনও পদক্ষেপও নেই। এটা উদ্বেগের। তরুণীর খোঁজখবর নিতেই আমরা শহরে এসেছি।” তাঁর কথায়, “আমরা চাই, অপরাধীরা শাস্তি পাক। শাস্তি না-হলে এ রকম ঘটনা বাড়তে পারে।”
জানা গিয়েছে, এ দিন সকালে পুলিশের গাড়িতে করেই হাসপাতাল চত্ত্বর ছাড়েন ওই তরুণী। ঘটনাটি গত ৭ জানুয়ারির। ওই দিন আদালত চত্বরের সামনে থেকে ওই যুবতীকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে তাঁকে ধর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ। ঘটনার কথা জানার পর ওই দিন রাতে ধর্ষিতা তরুণীর মা মেদিনীপুর কোতয়ালি থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগের প্রেক্ষিতে তদন্ত শুরু হয়। গত ৮ জানুয়ারি মঙ্গল দাস নামে এক অভিযুক্তকে গ্রেফতারও করে পুলিশ। ওই যুবক এখন পুলিশি হেফাজতে রয়েছে। অভিযোগ অনুযায়ী, ঘটনার সঙ্গে আরও দু’জন যুবক জড়িত। সপ্তাহ ঘুরলেও বাকি অভিযুক্তদের এখনও গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। কেন বাকি অভিযুক্তদের গ্রেফতার করা সম্ভব হল না, ইতিমধ্যে সেই নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। যদিও পুলিশ এ ব্যাপারে কিছু বলতে নারাজ। তাদের বক্তব্য, তদন্ত চলছে। তদন্তে কিছু তথ্য সামনে এসেছে। ওই সব তথ্য মিলিয়ে দেখা হচ্ছে। খুব শীঘ্রই কিনারা করা সম্ভব হবে।
|
পুরনে খবর: দিনেদুপুরে গণধর্ষণ, প্রশ্নের মুখে শহরের নিরাপত্তা |
|
|
|
|
|