মহারাষ্ট্রের কেদার যাদব আর বিজয় জোলের দুরন্ত ব্যাটিংয়ে রঞ্জি ট্রফি থেকে নাটকীয় বিদায় ঘটল মুম্বইয়ের। একই সঙ্গে রেলের বিরুদ্ধে বাংলা যদি জিতে যায়, তা হলে সেমিফাইনালে লক্ষ্মীরতন শুক্লদের প্রতিপক্ষ ঠিক হয়ে গেল। বিজয় জোলদের মহারাষ্ট্র।
১২২ রানে প্রথম ইনিংসে এগিয়ে থেকেও এ দিন হারল মুম্বই। এমন এক টিমের বিরুদ্ধে, যারা রঞ্জির ইতিহাসে মাত্র দু’বার হারাতে পেরেছে ৪০ বারের চ্যাম্পিয়ন টিমকে। কেদারের সেঞ্চুরি (১২০ ন.আ.) আর বিজয়ের ইনিংসে (৯১ ন.আ.) আট উইকেটে জিতে সেমিফাইনালে উঠল মহারাষ্ট্র।
দ্বিতীয় ইনিংসে ১২৯ রানে গুটিয়ে যাওয়ার পর মহারাষ্ট্রের সামনে টার্গেট ছিল ২৫২। ২৮-১ স্কোর নিয়ে খেলতে নেমে এ দিন শুরুতেই অন্য ওপেনারকে দ্রুত হারিয়ে চাপে পড়ে যায় মহারাষ্ট্র। ক্রিজে আসার কিছুক্ষণের মধ্যেই অভিষেক নায়ারের বলে বিজয় ক্যাচ তুলে দিলেও ফস্কান কৌস্তুভ পওয়ার। এটাই টার্নিং পয়েন্ট হয়ে দাঁড়ায়। আর কোনও সুযোগ না দিয়ে তৃতীয় উইকেটে ২১৫ রানের অপরাজিত পাটর্নারশিপে ম্যাচ পকেটে পুরে নেয় মহারাষ্ট্র।
ওয়াংখেড়ের পেস সহায়ক পিচে কাজটা সোজা ছিল না। তার উপর মুম্বই বোলিংয়ের নেতৃত্বে ছিলেন জাহির খান। বিজয়-কেদার জুটি ভাঙতে মিডিয়াম পেসারদের বারবার এনেও কাজ না হওয়ায় নিজে ছোট স্পেলে আক্রমণে আসেন জাহির। কিন্তু তিনিও ব্যর্থ হন।
মোহালিতে অন্য সেমিফাইনালে পঞ্জাব মুখোমুখি হবে কর্নাটকের। কোয়ার্টার ফাইনালে উত্তরপ্রদেশকে ৯২ রানে হারায় কর্নাটক। ৩৩৩ তাড়া করতে নেমে শ্রেয়াস গোপালের দাপটে (৫-৫৯) ২৪০ রানে থামে উত্তরপ্রদেশ। অন্য কোয়ার্টার ফাইনালে পঞ্জাব ১০০ রানে হারায় জম্মু ও কাশ্মীরকে। প্রথম ইনিংসে ২৭ রানে এগিয়ে থাকার পর পরভেজ রসুলদের জয়ের জন্য দ্বিতীয় ইনিংসে মনদীপ সিংহের সেঞ্চুরিতে ভর করে ৩২৪ রানের টার্গেট দেয় পঞ্জাব। বিক্রম সিংহ (৫-৪৩) আর মনপ্রীত গোনির (৩-৪৩) দাপটে ২২৩ রানেই শেষ জম্মু ও কাশ্মীরের দ্বিতীয় ইনিংস। |