ব্যাটে-বলে নায়ক রসুল |
অন্য তিন কোয়ার্টার ফাইনালও জমজমাট
নিজস্ব প্রতিবেদন
১০ জানুয়ারি |
শুধু ইডেনেই নয়। রঞ্জি কোয়ার্টার ফাইনাল জমে উঠেছে ওয়াংখেড়ে, চিন্নাস্বামী আর বডোডরার মোতি বাগ স্টেডিয়ামেও। তিনটে ম্যাচেই প্রতিদ্বন্দ্বী দু’দলের যে কেউ সরাসরি জিততে পারে।
যেমন ওয়াংখেড়েতে মুম্বইয়ের চেয়ে প্রথম ইনিংসে ১২২ রানে পিছিয়ে পড়লেও পাঁচ দিনের ম্যাচের তৃতীয় দিনে মহারাষ্ট্র পাল্টা লড়াইয়ে গতবারের চ্যাম্পিয়নদের ছিটকে দেওয়ার সম্ভাবনা তৈরি করেছে। মুম্বইয়ের ৪০২ রানের জবাবে এ দিন মহারাষ্ট্রের প্রথম ইনিংস ২৮০-তে শেষ হয়। কিন্তু দ্বিতীয় ইনিংসে বিপক্ষের তিন পেসারের দাপটের সামনে মুম্বই মাত্র ১২৯ রানে গুটিয়ে যায়। মহারাষ্ট্রের অনামী পেসার-ত্রয়ী সামাদ ফাল্লা (৩-৪৫), অনুপম সঙ্কলেচা (৪-৫৭) এবং শ্রীকান্ত মুন্ডে (৩-২৬) জাহির খানের দলের দশটা উইকেটই নিজেদের মধ্যে ভাগাভাগি করে নেন। জেতার জন্য দু’দিনের বেশি সময়ে ২৫২ রান তুলতে নেমে এ দিন মহারাষ্ট্রের দ্বিতীয় ইনিংসে সংগ্রহ ২৮-১। তবে আজ তৃতীয় দিনই সব মিলিয়ে ১৪ উইকেট পড়েছে এবং পিচ এখনও যথেষ্ট পেস বোলিং সহায়ক বলে ৪০ বারের রঞ্জি চ্যাম্পিয়ন মুম্বইকে হারানো মহারাষ্ট্রের কাছে হয়তো সহজ হবে না।
চিন্নাস্বামীতেও অনেকটা একই রকম ছবি। উত্তরপ্রদেশের জিততে চতুর্থ ইনিংসে দরকার আরও ২৭৮ রান। |
বডোডরায় পাঁচ উইকেট নেওয়ার পথে রসুল। ছবি: পিটিআই। |
কর্নাটকের জিততে চাই বিপক্ষের ৯ উইকেট। এই ম্যাচেও কর্নাটকের (৩৪৯) চেয়ে প্রথম ইনিংসে ১২৮ রানে পিছিয়ে ২২১-৯ স্কোরে উত্তরপ্রদেশ ডিক্লেয়ার করতে বাধ্য হয়। এগারো নম্বর ব্যাটসম্যান আরপি সিংহ চোটের কারণে এই ম্যাচের বাইরে চলে যাওয়ায়। কিন্তু দলের সেরা পেসার আরপি-কে ছাড়াই উত্তরপ্রদেশ আক্রমণ দ্বিতীয় ইনিংসে কনার্টককে মাত্র ২০৪ রানে গুটিয়ে দিয়ে প্রবল ভাবে ম্যাচে ফিরে আসে। বাঁ-হাতি স্পিনার আলি মুতার্জা একাই ছ’উইকেট নেন ৬৪ রানে। তা-ও কর্নাটক ওপেনার লোকেশ রাহুল আগাগোড়া ব্যাট করে অপরাজিত ৯২ না করলে তাঁদের ইনিংসের অবস্থা আরও খারাপ দাঁড়াত।
দিনের শেষে উত্তরপ্রদেশ ৫৫-১। তবে ঘরের মাঠে কর্নাটকের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিজ্ঞ পেসার-জুটি বিনয় কুমার এবং অভিমন্যু মিঠুন যে কোনও সময়ে জ্বলে উঠতে পারেন। প্রথম ইনিংসেও দু’জনে মিলে ৭ উইকেট নিয়েছিলেন।
তবে সবচেয়ে চিত্তাকর্ষক অবস্থা মোতি বাগে হরভজন-যুবরাজের পঞ্জাবের সঙ্গে রঞ্জি কোয়ার্টার ফাইনালে প্রথম বার ওঠা জম্মু কাশ্মীরের লড়াই। বরং বলা ভাল পঞ্জাব বনাম ভারতীয় ক্রিকেটের নবতম অলরাউন্ডার পরভেজ রসুলের লড়াই। পঞ্জাবের ৩০৪ রানের জবাবে এক সময় ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়েও অধিনায়ক রসুলের সেঞ্চুরির (১০৩) দাপটে জম্মু কাশ্মীর (২৭৭) বিপক্ষকে মাত্র ২৭ রানের বেশি ‘লিড’ নিতে দেয়নি।
এর পর পঞ্জাবের দ্বিতীয় ইনিংসে বল হাতে ভেলকি দেখান রসুল (৫-৫৮)। তাঁর অফস্পিনের ফাঁসে এ দিন পঞ্জাবের সেঞ্চুরিকারী মনদীপ সিংহ (১০১) এবং যুবরাজ সিংহ (৪০)-সহ পাঁচ জন ধরাশায়ী। অধিনায়ক হরভজনকে (০) প্রথম বলেই এলবিডব্লিউ করেন রসুল। ঐতিহাসিক জয়ের (প্রথম বার রঞ্জি সেমিফাইনাল) জন্য ৩২৪ রানে টাগের্টের সামনে তৃতীয় দিনের শেষে জম্মু কাশ্মীর ৭৭-২। হাতে আট উইকেট নিয়ে এখনও ২৪৭ রান দরকার। ব্যাপারটা কঠিন হলেও অসম্ভব নয়। |
|