|
|
|
|
মামলা খারিজের আর্জি দেবযানীর
সংবাদ সংস্থা • নয়াদিল্লি
১১ জানুয়ারি |
বিদেশ মন্ত্রকে এসে দেবযানী খোবরাগাড়ে জানালেন, আমেরিকার ঘটনা নিয়ে তাঁর হয়ে জবাব দেবে ভারত সরকারই। সেই সঙ্গে মামলা খারিজ করার জন্য মার্কিন আদালতে আর্জিও জানিয়েছেন তাঁর আইনজীবী।
এক পরিচারিকাকে নিয়ে সমস্যার জেরে নিউ ইয়র্কে ভারতের ডেপুটি কনসাল দেবযানীকে গ্রেফতার করে মার্কিন পুলিশ। তা নিয়ে বড় ধরনের টানাপোড়েনে জড়িয়ে পড়ে ভারত ও আমেরিকা। নয়াদিল্লি জানায়, দেবযানী রাষ্ট্রপুঞ্জে ভারতীয় দূতাবাসের সঙ্গেও যুক্ত। সুতরাং তাঁর পূর্ণ কূটনৈতিক রক্ষাকবচ আছে। দেবযানীকে গ্রেফতার করার অধিকার মার্কিন পুলিশের নেই।
বহু চাপানউতোরের পরে গত কাল দেবযানীকে জি-১ ভিসা দেয় আমেরিকা। ফলে, পূর্ণ কূটনৈতিক রক্ষাকবচ পান তিনি। কিন্তু সেই সঙ্গে দেবযানীর রক্ষাকবচ তুলে নেওয়ার জন্যও ভারতের কাছে আবেদন জানায় ওয়াশিংটন। নয়াদিল্লি তাতে কান দেয়নি। তার পরে তড়িঘড়ি দেবযানীকে ভারতে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেয় প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার প্রশাসন। ক্ষুব্ধ ভারত নয়াদিল্লিতে মার্কিন দূতাবাসের ডিরেক্টর পদমর্যাদার এক অফিসারকে ‘বহিষ্কার’ করে। |
রয়ে গেল চিন্তা। শনিবার সাউথ ব্লকে দেবযানী খোবরাগাড়ে। ছবি: পিটিআই |
গত কাল রাতে দেশে ফেরেন দেবযানী। আজ বিদেশ মন্ত্রকে আসেন তিনি। তখনই এক প্রশ্নের উত্তরে বলেন, “কঠিন সময়ে পাশে দাঁড়ানোর জন্য দেশের মানুষকে ধন্যবাদ। এই বিষয়ে আমার কিছু বলার নেই। যা বলার ভারত সরকার ও আমার কৌঁসুলি বলবেন।”
আজ নিউ ইয়র্কের আদালতে একটি চার পাতার আর্জি পেশ করেন দেবযানী। আর্জিতে তিনি জানান, দেবযানী পূর্ণ কূটনৈতিক রক্ষাকবচ পেয়েছেন। তাই তাঁর বিরুদ্ধে মামলা তুলে নেওয়া হোক।
দেবযানী কাণ্ড যে ভারত-মার্কিন সম্পর্ককে বড় ধাক্কা দিয়ে গেল তা ঘরোয়া আলোচনায় মেনে নিচ্ছেন মার্কিন কর্তারাও। মার্কিন বিদেশ দফতর প্রকাশ্যেও মেনে নিয়েছে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের এ এক কঠিন সময়। তবে হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র জে কার্নির মতে, ভারত ও আমেরিকার বন্ধুত্বের অনেক দিক রয়েছে। একটি ‘বিচ্ছিন্ন’ ঘটনায় তা নষ্ট হবে না।
মার্কিন কূটনৈতিক সূত্রে খবর, পুরো বিষয়টির উপরে নজর রেখেছেন স্বয়ং ওবামা। তাঁর সঙ্গে সক্রিয় রয়েছেন বিদেশসচিব জন কেরি ও জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা সুসান রাইস। নিজে বিদেশ সফরে থাকা সত্ত্বেও বিদেশমন্ত্রী সলমন খুরশিদের সঙ্গে কথা বলেন কেরি। তখন তিনি ঘটনার জন্য ক্ষমা চেয়েছিলেন বলেও কূটনৈতিক সূত্রে খবর। ঘরোয়া স্তরে এক মার্কিন শীর্ষ কর্তা পুরো বিষয়টিকে নিউ ইয়র্ক পুলিশের ‘চরম বোকামি’ বলে মন্তব্য করেছেন বলেও একটি সূত্রের দাবি।
এই পরিস্থিতিতে দেবযানীর বিরুদ্ধে মামলা খারিজের উপরেই জোর দিচ্ছে ভারত। বিদেশমন্ত্রী সলমন খুরশিদ বলেছেন, “দেবযানী কোনও অন্যায় করেননি। দু’পক্ষের মত নিয়েই বিষয়টি মিটিয়ে ফেলার চেষ্টা চলছে।” |
পুরনো খবর: মার্কিন কূটনীতিককে সরিয়ে পাল্টা জবাব |
|
|
|
|
|