ঝড়-বৃষ্টি-বন্যা তো ছিলই। তাতে নয়া সংযোজন তুষারপাত। ব্রিটেনের পরিবেশ দফতর জানিয়েছে, সপ্তাহান্তে উত্তর ইংল্যান্ড এবং স্কটল্যান্ডে তুষারপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। তাপমাত্রাও হিমাঙ্কের নীচে নামবে বলে আশঙ্কা আবহবিদ্দের।
তবে তা বলে বৃষ্টি-বন্যা থেকে এখনই ব্রিটেনের মুক্তির আশা নেই। পরিবেশ দফতর জানিয়েছে, আগামিকাল পর্যন্ত ইংল্যান্ড এবং ওয়েলসে প্রচুর বৃষ্টি হবে। স্কটল্যান্ড এবং উত্তর আয়ার্ল্যান্ডেও বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। তবে রবিবার থেকে উত্তর ব্রিটেনে তুষারপাত শুরু হবে। কিন্তু আবহাওয়া দফতরের আশঙ্কা, উইল্টশায়ার, হ্যাম্পশায়ার, ডরসেট, সমারসেট-এর মতো দক্ষিণ-পশ্চিম ইংল্যান্ডের কাউন্টিগুলোতে রবিবারও বৃষ্টি চলবে। তার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে যে বন্যার আশঙ্কাও বাড়বে, তা বলাই বাহুল্য। পরিবেশ দফতরের তথ্য বলছে, ইংল্যান্ড এবং ওয়েলস জুড়ে জারি হওয়া ৩০০-রও বেশি বন্যা সতর্কতা এখনও বহাল রাখা হয়েছে। কারণ, বেশিরভাগ নদীই প্রবল বৃষ্টির জেরে ফুঁসছে। তার উপর সপ্তাহান্তে যদি বৃষ্টি বাড়ে, সে ক্ষেত্রে পরিস্থিতি কী দাঁড়াবে, তা ভেবে উদ্বিগ্ন প্রশাসন। ইতিমধ্যেই নয়া উদ্যমে বন্যা-প্রতিরোধের তোড়জোড় শুরু করেছেন তাঁরা। |
মেরু ঘূর্ণাবর্তর জেরে জমে গিয়েছে ডেলাওয়্যার নদীর জল। নিউ জার্সিতে। শুক্রবার। ছবি: এপি। |
তবে তা সত্ত্বেও অকালমৃত্যু ঠেকাতে পারছে না ক্যামেরন-প্রশাসন। সম্প্রতি অক্সফোর্ডশায়ারের উইথ্যামে বন্যার জলে ডুবে এক সাইক্লিস্টের মৃত্যু হয়েছে। পুলিশের দাবি, বারবার বলা সত্ত্বেও পরিবেশ দফতরের নির্দেশ বা বন্যা-সতর্কতা মানছেন না অনেকেই। দফতরের এক কর্তা, পল মাস্টো বলেছেন, “মানুষ যাতে দ্রুত নিরাপত্তার ব্যবস্থা করতে পারেন, সে জন্যই বন্যা সতর্কতা জারি করা হয়।” কিন্তু তাতে কী? বন্যাবিধ্বস্ত ব্রিটেনের আবহাওয়ায় যেমন বদলের নামগন্ধ নেই, ঠিক তেমনই এ হেন গাফিলতির ছবিটাও বদলাচ্ছে না। বাড়ছে দুর্ভোগ।
অন্য দিকে, আমেরিকায় দুর্ভোগের ছবিটা কিছুটা হলেও বদলাচ্ছে। তাপমাত্রা ধীরে ধীরে বাড়ছে। স্বাভাবিক হচ্ছে জনজীবন। আর তখনই নজরে এল মিশিগান লেকের সেই অদ্ভুত সুন্দর দৃশ্য। জমে যাওয়া লেকে বিক্ষিপ্ত ভাবে পড়ে রয়েছে ‘আইস বোল্ডার’ বা বরফের গোলা। বিশেষজ্ঞদের ব্যাখ্যা, এর পিছনেও ‘পোলার ভর্টেক্সের’ই হাত রয়েছে। যা দেখে অনেকেই বলছেন, প্রবল ঠান্ডা আর তুষারপাতের অভিশাপ বাদ দিলে এই সুন্দর ছবিটা উপহার দেওয়ার জন্য অন্তত একটা ধন্যবাদ প্রাপ্য এই মেরু-ঘূর্ণাবর্তর।
|